Steem bangladesh contest || science technology and computing || technology || 5G || 17th march 2022 Eng.
Rampur
https://goo.gl/maps/cRjbiDANd4zLEgEq6
টেকনোলজি
ফাইভ-জি কি ?
ফাইভ-জি হল মোবাইল ফোনের পঞ্চম জেনারেশন এর ইন্টারনেট। এ কে সংক্ষেপে ফাইভ-জি বলা হয়। এর মাধ্যমে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট তথ্য ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়। এর সেবার আওতাও অনেক।
বর্তমানে স্মার্টফোন দিয়ে আমরা যাই করি না কেন, ফাইভ-জি হলে তা আরো দ্রুতগতিতে এবং ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।
ফাইভ-জি আসলে বেশি সুবিধা হবে মোবাইল গেমারদের। ভিডিও কল আরো পরিস্কার হবে। শরীরে লাগানো ফিটনেস ডিভাইসগুলো নিখুঁত সময়ে সংখ্যা দিতে পারবে। ফলে জরুরী চিকিৎসা সেবাতেও আমূল পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
4 জি ও 5 জি এর মধ্যে পার্থক্য
ফাইভ-জি একেবারে নতুন একটি রেডিও প্রযুক্তি।তবে প্রথমেই হয়তো দ্রুতগতির বিষয়টি নজরে আসবে না,কারণ নেটওয়ার্ক অপারেটররা বর্তমান ফোরজি নেটওয়ার্কে ফাইভ-জি তে বাড়িয়ে গ্রাহকদের আরো উন্নত সেবা দিতে চাইবে। তবে দ্রুতগতির বিষয়টি নির্ভর করবে কোন স্পেকট্রাম ব্যান্ড এ ফাইভ-জি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মোবাইল কোম্পানিগুলো মাস্ট এবং ট্রান্সমিটার এর পেছনে কতটা বিনিয়োগ করছে।
ফাইভ-জি প্রটোকলের মান এখনো নির্ধারিত হয়নি 3.5 গিগাহার্জের থেকে 26 গিগাহার্জের মতো হাইয়ার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের অনেক ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু স্বল্প তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কারণে তাদের আওতা কম থাকে।
বর্তমানে 4g প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক গড়ে সর্বোচ্চ 45 এমবিপিএস গতির সুবিধা দিতে পারে।
এ বিষয়ে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোয়ালকম বলছে ফোরজির তুলনায় ফাইভ-জি 10 থেকে 20 গুন গতি দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় একটি ভাল মানের চলচ্চিত্র হয়তো মাত্র 1 মিনিটে ডাউনলোড করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশে অনেক আগেই পঞ্চম প্রজন্মের মুঠোফোন নেটওয়ার্ক 5G চালু হয়ে গেছে। তবে আশা করা যাচ্ছে 2023 সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপি প্রায় 100 কোটি গ্রাহক তৈরি হবে।
ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ
মানুষ দিনের পর দিন অনেক অনেক উন্নত টেকনোলজি আবিষ্কার করে চলেছে এবং এই আবিষ্কার ইন্টারনেটের পরিসেবার ক্ষেত্রে অনেক উন্নত হচ্ছে ধীরে ধীরে।প্রথমে ওয়ান-জি তারপর টু-জি তারপর থ্রি-জি বর্তমানে ফোর-জি এবং ধীরে ধীরে ফাইভ-জির দিকে আমরা এগোচ্ছি। তাই আমাদের জেনে নেওয়া উচিত ফাইভ-জি এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধাগুলো।
আমরা বর্তমানে যে ফোর জি ইন্টারনেট ব্যবহার করি এই ইন্টারনেটের স্পিড আমাদের বিভিন্ন কাজের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
বিভিন্ন এ স্মার্ট ডিভাইস আছে যা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে গেলে আমাদের 5g ইন্টারনেট স্পিড এর প্রয়োজন হয়।
যেমন বিভিন্ন আই ও টি ডিভাইস 4g ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কাজ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি আমরা পাঁচ জি ইন্টারনেট স্পিড পাই, তাহলে বিভিন্ন আইওটি ডিভাইস আমরা ফাইভ- জি ইন্টারনেট এর সঙ্গে যুক্ত করে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ওইসব ডিভাইস কে অপারেট করতে পারি।
এছাড়াও ক্লাউড গেমিং এর মতো পরিষেবা ব্যবহার করা সম্ভব ফাইভ-জি ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
আধুনিক যুগে অস্ত্রপাচারের মত কাজ রোবট এর মাধ্যমে দূর থেকেও করা সম্ভব ফাইভ-জি ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে এটির স্পিড বাড়ার সাথে সাথে নেটওয়ার্ক কভারেজ কমে যায়।
উদাহরন হিসাবে ধরুন আপনি বাড়ি থেকে অনেক দূরে যদি কোনো টুজি নেটওয়ার্কের টাওয়ার থাকে তাহলে ওই টাওয়ার অনেক দূরে থাকলেও আপনি খুব সহজেই আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক পেতে পারেন থ্রিজি এর ক্ষেত্রে ওই দূরত্ব কিছুটা কম হবে এবং ফোর জির ক্ষেত্রে ওই গুরুত্ব আরো অনেকটা কম হবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে 5g নেটওয়ার্ক এর খুব কাছে যদি থাকেন তাহলে মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাবেন তা না হলে নেটওয়ার্ক পাওয়া সম্ভব নয় অর্থাৎ ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর এরিয়া খুবই ছোট হয়।
ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর আরো একটি সমস্যা হল ফাইভ-জি এর ফলে রেডিও সিগন্যাল এর সমস্যা হতে পারে high-frequency 5g সিগন্যাল এর ফলে রেডিও সিগন্যাল ফ্রিকুয়েন্সি কে অনেক বেশি বুঝতে সমস্যা হবে।
বন্ধুরা ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে আমার এই ছিলো বিস্তারিত আলোচনা ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক আমাদের জীবনকে অনেকটা গতিময় করে তুলবে আমরা আশা করি এবং আমাদের লাইফ স্টাইল পরিবর্তনে অনেকটা ভূমিকা পালন করবে।
আমি @maulidar @avibauza এই দু'জনকে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।