Steem bangladesh contest || science technology and computing || science || discover of science || 17th march 2022 Eng.
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন,আমিও ভালো আছি। আমি স্টিম বাংলাদেশ আয়োজিত সায়েন্স টেকনোলজি এবং কম্পিউটিং কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতেছি।
Rampur
https://goo.gl/maps/cRjbiDANd4zLEgEq6
বিষয়
বিজ্ঞান
বিজ্ঞান বলতে আমরা বুঝি কোন বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান,আর এই বিশেষ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে মানুষ যা কিছু আবিষ্কার করেছে তাই হল বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। তাই বলা যায় যে বিজ্ঞানের চর্চা মানুষ যে আদিম যুগ থেকেই করে আসছে। আদিম যুগ থেকেই মানুষ তাদের বিশেষ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে একের পর এক উদ্ভাবন করেছে নানান যন্ত্র ও পদ্ধতি।
বিজ্ঞানের কিছু আবিষ্কার ইতিহাসে আছে যা মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে।আমি এরকম কিছু আবিষ্কার নিয়ে আলোচনা করব।
চাকা আবিষ্কার
Source
সম্ভবত মানুষের জীবন ধারাকে আমূল বদলে দেওয়ার প্রথম বিজ্ঞানের আবিষ্কার ছিল চাকা। অনেকের মনে হতে পারে এটি আবার এমনকি আবিষ্কার।কিন্তু 3600 খ্রিষ্টপূর্বে এই সামান্য আবিষ্কার ছিল বিজ্ঞানের অপার দ্বার উন্মোচন।
একবার ভেবে দেখুন তো বর্তমান সময়ে আমরা কতটা চাকার উপর নির্ভরশীল। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন কিংবা বাহারি মালপত্র বহন এ আমরা যে যানবাহনের ব্যবহার করি তার সূত্রপাত এটি চাকার হাত ধরে। সভ্যতার অগ্রগতিতে আমরা জলে স্থলে আকাশে গমন করতে পারে এমন অনেক বাহন পেয়েছি কিন্তু সবকিছু সূত্রপাত হয়েছে 3600 খ্রিস্টপূর্বে দিকে চাকা আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। সভ্যতার শুরুতে মানুষ পায়ে হেঁটে পথ পাড়ি দিত ও মালপত্র পরিবহন থেকে শুরু করে যে কাজের জন্য মানুষকে নির্ভর করে কায়িক শ্রম এর উপর। মানুষ মাঝে মাঝে পশুকেও তাদের এই পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতো কিন্তু সেটি বেশ সংক্ষিপ্ত। আবিষ্কার বলতে ব্যাপারটি এমন ছিলনা যে বৃত্তাকার আকৃতির কোন কাঠামো তৈরি। সেরকম কোন কাঠামো মানুষ তার আগেই শিখে ফেলেছিল। কঠিন বিষয়টি ছিল কিভাবে এই বৃত্তাকার কাঠামোকে কোন মজবুত ও স্থির কোন কাঠামোর সাথে যুক্ত করা যা চাকা গুলোকে খুলতে সাহায্য করবে। আর এই উপায়টি মানুষ এই সময়ে এসে আয়ত্ত করে। আবার সভ্যতার সেই সময়টিতে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে একদম পিছিয়ে ছিল না।তখন মানুষ গিয়েছিল কিভাবে ধাতুর সংকর তৈরি করতে হয় এবং তা দিয়ে কিছু সূক্ষ্ম ও জটিল যন্ত্র আবিষ্কার করতে হয়। শুধু সমস্যাটা ছিল এখন কোন আবিষ্কারের যার মাধ্যমে তাদের সময় ও পরিশ্রম দুটি লাঘব হয়। এভাবে ধীরে ধীরে তারা সিলিন্ডার আকৃতির কোন কাঠামোকে মজবুত অস্থি কোন কাঠামোর সাথে যুক্ত করে সেটিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গরিয়ে নিতে পারে এমন পদ্ধতির আবিষ্কার করে।
বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার
বৈদ্যুতিক বাতির উপকারিতা সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই নতুন করে,এর উপকারিতা বলে শেষ করার মতো নয়। রাতের আঁধার দূর করে বৈদ্যুতিক বাতি শুধু আমাদের চারদিক আলোকিত করে না এটি আলোকিত করেছে মানবসভ্যতার ভবিষ্যতকে। আমরা জানি টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেন। তবে তার হাত ধরেই এটি সম্ভব হয়েছে এটি বলা ভুল হবে। বৈদ্যুতিক বাতির আবিষ্কারের পেছনে অনেক বিজ্ঞানীর অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে । বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার এর সূত্রপাত ঘটে ইতালীয় বিজ্ঞানী আলেসান্দ্রো ভোল্টার হাত ধরে আঠারশ সালের দিকে। এরপর হাসফি ডেভি নামের একজন বিজ্ঞানী ভোল্টাইক পাইলকে চারকোল ইলেক্ট্র কন্ডাক্টের সাথে যুক্ত করে বাতি জ্বালানোর কৌশল শেখান। এভাবে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর হাত ধরে এগিয়ে যেতে থাকে বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার এর প্রক্রিয়া। তবে এই যাত্রার শেষ হয় জোসেফ সোয়ান ও টমাস আলভা এডিসন এর হাত ধরে। জোসেফ সোয়ান হাজার 850 সালের দিকে ভ্যাকুয়াম টিউব এর ভেতর ফিলামেন্ট রেখে বাতি জ্বালানোর কৌশল দেখান। ফিলামেন্ট হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন কার্বনযুক্ত কাগজ। তবে সে সময়ে এই ভ্যাকুয়াম টিউবের পদ্ধতি ছিল বেশ ব্যয়বহুল। ফলে তার এই পদ্ধতি শুধু আবিষ্কার হিসেবেই অসাধারণ ছিল দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্য নয়। টমাস আলভা এডিসন এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন। তারা ধারণাটি ছিল এমন যে যদি ফিলামেন্ট টিকে পাতলা এবং কোন অধিক রোধের বস্তু দিয়ে তৈরি করা যায় তাহলে এটি খুব অল্প বিদ্যুৎ এই জ্বলে উঠবে। এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তিনি 1879 সালে তার আবিষ্কারটি প্রকাশ করেন। এরপর এডিসন ও তার দল বিভিন্নভাবে এই বাতিকে সহজলভ্য ও টেকসই করার জন্য বিভিন্নভাবে গবেষণা করে গেছেন।
কাগজ আবিষ্কার
আমরা মানব সভ্যতাকে বদলে দেওয়া বিজ্ঞানের যে আবিষ্কারের কথাগুলো বলি তাদের মধ্যে অন্যতম হলো কাগজ আবিষ্কার এটি বিজ্ঞানের একটি অভূতপূর্ণ আবিষ্কার।
কাগজ আবিষ্কারের ইতিহাস প্রায় 2 হাজার বছর পুরনো,তখন চীনারা কাপড়ের তৈরি চাদরকে বিভিন্ন ধরনের অংকন ও লেখার কাজে ব্যবহার করত। তবে কাগজ বলতে বর্তমান সময়ে যেটি বুঝি তার আবিষ্কার হয়েছিল চীনের একজন কোর্ট অফিসিয়াল Ts'ai Lun এর হাত ধরে। তিনি তুঁতের বাকল ও পানি একত্রিত করে এক ধরনের মন্ড তৈরি করতেন এই মণ্ডকে চাপ দিয়ে পাতলা করে তারপর রোদে শুকাতে দিতেন।
অষ্টম শতাব্দীর দিকে কাগজ তৈরি পদ্ধতি সম্পর্কে মুসলিম শাসকেরা জানতে পারেন এবং পরবর্তীতে তাদের হাত ধরে ইউরোপে এই পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর প্রথমে স্পেনে কাগজ কল স্থাপিত হয় এবং ধীরে ধীরে সমগ্র ইউরোপে। এরকম অসংখ্য কাগজ কল স্থাপিত হতে থাকে। অবশ্য তখন কাগজ শুধু দরকারি নতিও বই ছাপাতে ব্যবহৃত হতো। সর্বসাধারণের কাছে কাগজ পৌঁছে দেয় মূলত ব্রিটিশরা 15 শতকে দিকে তারা বিশাল পরিসরে কাগজ উৎপাদন শুরু করে এবং উপনিবেশ মুক্ত দেশগুলোতে ছড়িয়ে দেয়। আর বর্তমানে কাঠ দিয়ে কাগজ তৈরির পদ্ধতি এসেছিল আমেরিকানদের হাত ধরে আর এভাবেই আমরা পাই দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
আমাদের জীবনে বিজ্ঞানের এসব গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বিশেষ ভূমিকা পালন করে বিজ্ঞানের ছোয়ায় আমাদের জীবন অনেকটা সহজতর হয়ে গেছে। আমরা আশা করি বিজ্ঞান আমাদের আরো নতুন নতুন আবিস্কার করে আমাদের জীবনকে আরও গতিময় করে তুলুক।
বন্ধুরা এই ছিল আমার বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার বিষয়। আমি আমার আলোচনায় বিজ্ঞানের কিছু আবিষ্কার আলোচনা করেছি।আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।
আমি @maulidar @avibauza এই দু'জনকে এই কনটেস্টটিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনি। পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you also.
Las invenciones han mejorando en gran medida la vida de todos en la actualidad.
চাকা, বৈদ্যুতিক বাতি ও কাগজের অনেক সুন্দর বর্নণা করেছেন আপনি।
Thank you.