Steem Bangladesh Contest - Sports||Boating|| by @bashar1426.

Hello.....!
How is everyone ???
I am @bashar1426 from #Bangladesh.🇧🇩

Image Source বাংলাদেশর অন্যতম একটি খেলা নৌকা বাইচ।ফারসি শব্দ বাইচ যার অর্থ বাজি বা প্রতিযোগিতা।এই খেলাটি খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা। এই খলাটি বর্তমান সময় একটু কম হচ্ছে। নৌকা বাইচ খেলাটি জাতীয় পরর্যায় ও হয়ে থাকে।নদী মাতৃক বাংলাদেশে সরনীয় হয়ে আছে নৌকা বাইচ খেলা। যখন জাতীয় পর্যায় খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তখন এর দূরত্ব হয় ৬৫০ মিটার। প্রতিটি নৌকায় ১০০,২৫,৫০,অথবা৭ জন মাঝি বা খেলোয়ার থাকতে পারে। বাংলাদেশর বিণিন্ন যায়গায় বিভিন্ন ধরনের নৌকা দেখতে পাওয়া যায়। কোসা ধরনের নৌকা ব্যবহার করা হয়ে থাকে প্রধানত এলাকাতে খুব বড় ধরনের নৌকা ব্যাবহার হয়। এর গঠন সরু একটু লম্বায় ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট।নৌকাটির সামনে ও পিছনে একদম সোজা। এটি তৈরি করা হয়ে থাকে :শীল কড়ই,চাম্বুল,দেশীয় শাল ইত্যাদি।

এ জেলায় দ্রুতগামী সরু ও লম্বা ছিপ জাতীয় নৌকা ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

এটি লম্বায় ১৫০ ফুট এর মতো।এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো সামনের দিকটা পানির সাথে মিলানো থাকে এবং পিছনের দিকটা পানি থেকে ৫ ফুট উচুতে থাকে।এটি সামনের ও পিছনের দিকে বিভিন্ন নকসা করা হয়ে থাকে।এটি তৈরি করা হয়ে থাকে :শাল,শীল কড়ই,চাম্বুল,দেশীয় শাল ইত্যাদি।

সারেঙ্গী নৌকা এ অঞ্চল এ বেশ জনপ্রিয়। সাধারন নৌকা গুলো থেকে এর প্রস্থ কিছুটা বেশি হয়ে থাকে ৫-৬ ফুট।এগুলো পিছনে ও সামনের দিকটা হাশের মুখের মতো দেখতে পানি থেকে ২-৪ ফুট উপরে থাকে। এখানে আবার গয়না নৌকা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর দৈর্ঘ্য ১৫০-২০০ফুট মাঝখানে ৮-৯ ফুট প্রশস্ত। সমনের দিকটা পানি থেকে ৩ ফুট লম্বা ও পিছনের দিকটা পানি থেকে ৪-৫ ফুট উচিতে। নৌকা বাইচ এর আয়জন করতে মুসলিম যুগের বড় বড় নবাব বা বাদশাগন।তাদের প্রশাসিন অম্যতম শক্তি ছিলো এ নৌশক্তি।বাংলার বারো ভূঁইয়া নৌবল দিয়ে মোগল দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।নৌকা বাইচ বাংলাদেশর জাতীয় জীবনে বিরাজমান হয়ে আছে।

Image source
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাটি আন্তর্জাতিক প্রর্যায়ে হয়ে থাকে।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা বিভিন্ন নামে পরিচিত রয়েছে।যেমন : ড্রাগন বোট রেস,সোয়ান বোট রেস,বোয়িং বোট রেস,কেনিয় ও কাইয়াক বোট রেস ইত্যাদি নামে বিভিন্ন দেশে প্রতিযোগীতা হয়ে থাকে।

আশ্বিন-ভাদ্র মাষে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে খেলাটি।যখন শুরু হয় তারা এক সাথে আল্লাহ, আল্লাহ ইত্যাদি বলে থাকে এর মূল লক্ষ অতিরিক্ত শক্তি পাওয়ার আশা। নৌকার গতি অনুসারে এদের সুন্দর সুন্দর নাম দেওয়া হয়ে থাকে যেমন: সাইমুন ঝড়ের পাখি, পঙ্খীরাজ, তূফান মেল, অগ্রদূত, দ্বীপরাজ ও সোনার তরী ইত্যাদি। যখন সবাই নৌকাতে ওঠে তখন মাথায় একই রঙ্গের গামছা ও শরীরে গেঞ্জি পরে পাক পবিত্র হয়ে উঠেন।

Image Source
যারা নৌকা চালান তারা পিছনে থাকেন,মাঝখানে থাকে নৌকার নির্দেশক ও সাথে কিছু লোক থাকেন মাঝিদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
নৌকা বাইচ উন্নয়ন এর জন্য ১৯৭৪ সালে রোয়িং ফেডারেশন এই ফেডারেশন সনাতন নৌকা বাইচ ও রোয়িং এর মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করেছে।বাংলাদেশের এই ফেডারেশন আন্তর্জাতিক রোয়িং ফেডারেশন এর সদশ্য।
প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে জাতীয় নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিক নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়।

---

THANKS EVERYONE