Steem Bangladesh Contest-Science,
আধুনিক যুগ মানেই বিজ্ঞানের যুগ।
'Science' শব্দের বাংলা অনুবাদ বিজ্ঞান। Science শব্দটি 'socio' থেকে উৎপত্তি, যার অর্থ জানা। বাংলায় বিজ্ঞান শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় বি+জ্ঞান, যার অর্থ দাঁড়ায় বিশেষ জ্ঞান। অর্থাৎ কোন বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান কে বলা হয় বিজ্ঞান।
অন্ধকার যুগকে আলোর যুগে এনে দিয়েছে এই
বিজ্ঞান।এর অবদান যে কতো ব্যাপক তা প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা বুঝতে পারি।
আধুনিক বিজ্ঞান
সভ্যতার ক্রমবিকাশের হাত ধরে বিজ্ঞান আজ পূর্ণরূপে সমৃদ্ধি লাভ করেছে।বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষ আজ প্রকৃতিকে পেয়েছে হাতের মুঠোয়।ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে একবিংশের বিজ্ঞান আরো উন্নত।
বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার
অতীতে মানুষ বিজ্ঞানের আলো থেকে বঞ্চিত ছিলো।অন্ধকার গুহায় বাস করতো মানুষ।গুহাবাসী মানুষেরা পাথরে পাথরে ঘর্ষণে আগুণ জালায়।তখন থেকেই শুরু হয় বিজ্ঞানের আবিষ্কার।বিজ্ঞান কেবল জনজীবনেই নয় পাতাল থেকে মহাকাশ প্রতি ক্ষেত্রেই এর ছোঁয়া রয়েছে।
মানুবজীবনে বিজ্ঞানের অবদান
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় কাজকর্মের মধ্যে বিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য। বলা যায়, এখন বিজ্ঞানই মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের নিয়ন্ত্রক।
মানুবজীবন এবং বিজ্ঞান এক সূতায় গাথা।যাতায়াত,শিক্ষা,চিকিৎসা,শিল্প,কৃষি সকল ক্ষেত্রে
বিজ্ঞানের অবদান বলে শেষ করা যাবেনা।
নিন্মে কিছু বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরা হলো যেখানে বিজ্ঞান ওতপ্রোতভাবে জড়িত:-
দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে চা থেকে শুরু করে অফিস যাওয়া এবং বাসায় এসে ঘুমাতে যাওয়ার আমপূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত বিজ্ঞানের সাথে জড়িত আমরা।পাখা,হিটার,চুলা,বিদ্যুৎ,এসি এসব কিছুই বিজ্ঞানের অবদান।
নাগরিক জীবনে বিজ্ঞান
আমরা শহরের দিকে তাকালেই দেখতে পাই আলো ঝলমলে শহর।যেখানে নিয়নের আলোয় পথঘাট জ্বলে ওঠে নানান রঙ্গে।নগর মানেই বিজ্ঞান।বিদ্যুৎ,গ্যাস,এসি কয়েক ঘন্টার জন্য না থাকলে শহরে বাস করা অচলাবস্থা হয়ে পরে।
মহাশূন্যের রহস্যে বিজ্ঞান
মানুষের কৌতুহলী মন এখন আর দেশে বসে নেই।এটি পাতাল থেকে মহাকাশে গমন করেছে।বিজ্ঞানের অবদানে মানুষ বিভিন্ন গ্রহে বিচরণ করতে পারছে।সারা বিশ্ব স্যাটেলাইট,রকেট আবিস্কার করে তা গ্রহে পাঠিয়ে অজানা সব তথ্য এনে দিচ্ছে আমাদের।
পরিবহন এ যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞান
পূর্বের তুলনায় যোগাযোগ ব্যাবস্থায় আমূল পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে কেবল বিজ্ঞানের ছোঁয়ায়।আমরা দাদা-নানা কিংবা পূর্বপুরুষ দের মুখে শুনে এসেছি মানুষ মাইলের পর মাইল পথ পারি দিয়ে যাতায়াত করতো।কিন্তু এখন তা ভাবলেই আমাদের ভয় অনুভূত হয় ভাবি কি করে সম্ভব!অসম্ভব মনে হওয়ার কারণ হলো আমরা পেয়েছি বিজ্ঞানের আবিষ্কারে উড়োজাহাজ,জলজান,ট্রেন প্রভূতি।যা আমাদের যাতায়াত কে করেছে সহজ।মোবাইল,ফ্যাক্স এসব যোগাযোগ কে করেছে স্মুথ।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
চিকিৎসায় যুগান্তর পরিবর্তন এনেছে এই বিজ্ঞান।দূরারোগ্য ব্যাধিতে মানুষকে এখন প্রাণ দিতে হয় পূর্বের তুলনায় অনেক কম পেনিসিলিন,এক্সরে,আল্ট্রাস্নো,ই.সি.জি মৃত্যুপথযাত্রী কে দিচ্ছে আশ্বাস।বর্তমানে বৃক্ক,ফুসফুস,হৃদপিন্ড প্রভূতি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা সহজ হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞানের ব্যবহারে।হার্ট ব্লক,হার্ট এটাক এসবের দ্রুত চিকিৎসা নেয়া যাচ্ছে এখন।
শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞান
শিল্পক্ষেত্রে পূর্বে সকল কাজ করা হতো হাতের সাহায্য যা অনেক কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ।কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের আবিষ্কারে তৈরি হচ্ছে নিত্য নতুন সব যন্ত্র যা সময় কে বাচিয়ে দিয়েছে বহুগুণ।ফলে খরচ কমে গিয়েছে আগের চেয়ে অনেক এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।যার ফলস্বরুপ দেশের জি.ডি.পি বৃদ্ধি পাচ্ছে সর্বদা।
কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান
কৃষি বলতে আমরা বুঝি ভোঁতা লাগল দিয়ে চাষ করাকে।কিন্তু এখন সেসব কল্পনা মাত্র।তৈরি হয়েছে উন্নত ট্রাক্টর,সেচ পাম্প ফলে কৃষিক্ষেত্রে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।ফলন ও বেড়েছে ঢেরগুন।
বিজ্ঞানের উল্টোপিঠ
এতোক্ষণ কেবল বিজ্ঞানের আশীর্বাদ /উপকারী দিক নিয়েই আলোচনা করেছি তার মানে এই নয় যে এর কোনো অপকারী দিক নেই।আসুন তবে জেনে নেই এর উল্টোপিঠ সম্পর্কে -বিজ্ঞান যেমন আশীর্বাদ তেমনি অভিশাপ ও।এর অপর পিঠ অনেক ভয়ঙ্কর।এর ফলে আবিষ্কার হচ্ছে হাইড্রোজেন বোমা,পারমাণবিক বোমা,বোমারু বিমান,ট্যাঙ্ক যা জীবনকে ধ্বংসের দিকে পতিত করছে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা কর্তৃক হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে নিক্ষিপ্ত বোমা এর জলন্ত প্রমাণ।
I would like to mention @udygold nd @idaali for participate this contest.
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Terima kasih 🙏kawan @arjinarahman atas undangannya, kontes yang luar biasa semoga sukses👍
My pleasure dear.Take ❤️