Creative writing contest
আসসালামুয়ালাইকুম
কেমন আছেন সবাই?আশা করছি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি
আজ আমি আপনাদের নিজের লেখা একটি গল্প শেয়ার করবো।গল্পের শিরোনাম আপনারা নিজেরা ভেবে নিয়েন।
দিন-ক্ষণ সবই যায় কিন্তু তাদের আর এক হওয়া হয়না।
দূরত্ব কখনো তাদের আলাদা করেনি।আর করবেই বা কি করে?সেল ফোনের মাঝে ওই দূর দেশ থেকে বাতাসে ভেসে আসে স্বস্তির নিঃশ্বাসটুকু।ওরা এভাবেই বেঁচে থাকে দিনের পর দিন।গল্পের আদি টা কেমন যেনো এক্টু অদ্ভুদ টাইপের।মিরাকলে মিলন ঘটেছে দুটি প্রাণের।এক সুতোয় বাধা পড়ে গিয়েছে।
দিন যায় বেশ কোলাহলের মাঝেই।রাত তো বিভীষিকাময়।কেনো আসে ওই ঘুটঘুটে রজনী?
ফ্যামিলি,টিউশনি, বন্ধুদের সাথে দিনভর আড্ডা,এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো ওই বেখেয়ালি ছেলেটির দিনগুলো।পড়াশুনায় হাই লেভেলের এলার্জি তার।বাবা-মায়ের জন্য ইচ্ছা না থাকা শর্তেও করতে হয় আরকি!নাম রাফী হলেও চৌধুরী সাহেব নামেই বন্ধুদের কাছে বেশ জনপ্রিয় সে।আশেপাশে অনেক সুন্দরীর ভীর থাকলেও কেউ কখনো তার মনটা চুরি করতে পারেনি।যাতে সফল হয়েছে না দেখা রাজকন্যা।রাজকন্যা না অপ্সরী কোন নামে আখ্যায়িত করবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।
চৌধুরীরর মন খারাপ কখনো হয় বলে জানা যায়নি।হাসি লেগেই আছে ঠোঁটের কোণায়।যদি কখনো বলা হয় কিরে মন খারাপ?অট্র হাসি হেসে বলে -আব্বে রাফীর কখনো মন খারাপ থাকেনা।কথার তুড়িতে সব
কষ্ট কে ফানুস বানিয়ে উড়িয়ে দেয় ঐ নীল আকাশে।কিন্তু তার মলিন মুখ খানি জানান দেয় -কন্যার খবর না পাওয়ার গল্প।ওর নয়নজোড়া বলে দেয়,আমি ভালো নেই রে...
"নিতু" এটা কেবল এক্টা নাম নয়।এটা আবেগ,মায়া,মমতা,ভালো লাগা,ভালোবাসা,ভালো থাকার ট্যাবলেটের নাম।ডাগর আঁখির নিতু নামের মেয়েটি কি করে যেনো ওই আস্ত পাগলটার "হৃদয় কেড়েছে।রোজ সেই দেবীর পূজো হয় চৌধুরীর হিয়ার মন্দীরে।দিন-মাস-বছর, এভাবেই কেটে যায় তাদের সময়গুলো।দূরথেকে ভেসে আসা কন্ঠের মাঝে দুটি প্রাণ সুখ খুঁজে পায়।স্বপ্নের সাগরে ভাসতে থাকে দুজন।এইসময় প্রলয় ঘটে গেলেও যেনো কিচ্ছু এসে যায়না তাদের।ঘটা করে কখনো আই লাভ ইউ ও বলা হয়নি ওদের।দামী গিফ্ট,চাইনিজ রেস্ট্রুরেন্ট এসবের বিন্দুমাত্র ঠাঁয় নেই চাহিদায়।দু প্রান্তে থাকা মানুষ দুটি যেনো ভালো থাকে এটিই তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা।দুনিয়া একদিকে আর নিতুকে আরেকদিকে রেখে চৌধুরীকে প্রশ্ন করলে ও আগে পিছে না ভেবেই নিতুকে চেয়ে বসবে।
পাগলো বটে!ছেলে মানুষ আবার এমন প্রেমিক পুরুষ হয় নাকি!!
এ যুগে এসেও ওরা চিঠি লিখে।
কন্যার চিঠির অপেক্ষায় প্রহর যেনো কাটেনা।পত্র পাওয়া মাত্রই পড়ে ফেলার লোভটুকু সামলিয়ে রাখতে হয় রাত আসা অব্দি।বুক পকেটে যত্নে থাকে কন্যার আলতো ভালোবাসাটুকু।ব্যাস্ত নগরী যখন ঘুমে বিভোর চৌধুরী তখন সুখ খুজে কন্যার লেখা চিঠির প্রতি ভাঁজে ভাঁজে।পড়তে পড়তে কখনো হাসিতে ফেটে পড়ে আবার কখনো কষ্টে অশ্রু সিক্ত হয় নয়নজোড়া।নিকোটিনের ধোঁয়ায় বারংবার পুড়ে নিজেকে।অন্ধকার নগরী,দীর্ঘরাত।ভোর দেখার অপেক্ষায়।দিনের আলোয় ব্যাস্ততার মাঝে যেনো কন্যাকে কাছে না পাওয়ার কষ্টকে খানিক হলেও ভুলে থাকা যায়।
কিন্তু,হঠাৎ আচমকা এক দমকা হাওয়া কেঁড়ে নেয় নিতুকে।রাফী আজো হন্নে হয়ে নিতুকে হাতড়িয়ে বেড়ায় তাঁর স্মৃতির মাঝে।
রাত কেন বিভীষিকাময়। কি হয়েছিল রাতে? সেই লেখোসেন তোরা
গল্পটা পড়লেই বুঝবা।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
আপনার ক্রিয়েটিভ রাইটিং এর শেষটা বেদনাদায়ক। কিন্তু আপনার লেখার তারিফ করতে হয়।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটি বাস্তব জীবনের গল্প থেকে আমি যাস্ট আমার লেখায় তুলে ধরার ট্রাই করেছিমাত্র ❣️