Steem Bangladesh contest-science

in Steem Bangladesh2 years ago (edited)

আসসালামুয়ালাইকুম

কেমন আছেন সবাই?আশা করছি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি


আজ @steem-bangladesh কমিউনিটিতে আয়োজিত Science প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।আজ আমি শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান সম্পর্কে তুলে ধরার ট্রাই করবো।


Science in Education system


printer-790396_640.webp

Source


আধুনিক শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান অনস্মীকার্য যা বলে শেষ করা যাবে না।বর্তমানে আমরা যেই শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার পুরোটাই যে বিজ্ঞানের অবদান তা আর বলার উপেক্ষা রাখে না।দৈনন্দিন জীবনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত খাতা কলম থেকে শুরু করে বর্তমানে ডিজিটাল ক্লাসরুম পর্যন্ত এর সবকিছুই বিজ্ঞানের অবদান।যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান লাভ করার জন্য আর প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়না।ইন্টারনেট সংযোগ থথাকলে ঘরে বসে খুব সহজেই যেকোনো কিছু আপনি শিখে ফেলতে পারবেন।

আদিমকালে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপকরণ সমূহ

আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে যে সকল উপকরণ ব্যবহার করে থাকি যেমন বই, খাতা, কলম, পেন্সিল, রাবার, স্কেল ইত্যাদি এসব এক দিনে কিংবা এমনি এমনি তৈরি হয়ে যায় নি।আগেকার দিনে মানুষ লেখার জন্য দোয়াত কালি ব্যবহার করে থাকতেন।সময়ের সাথে সাথে বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা কলম তৈরি করতে শিখি এবং কলমের ব্যবহার শিখতে পারি। এভাবেই ক্রমান্ময়ে উন্নতি ঘটছে একের পর এক।আমরা বই পুস্তকে পড়ে এসেছি প্রাচীন যুগে মানুষ লেখালেখিই জানত না প্রযুক্তিতো বহু দূরের বেপার। এমকি মধ্য যুগেও লেখার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের পশুর চামড়া, গাছের ছাল/বাকল,পাথর এবং আরও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করে থাকতো।

আধুনিক সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে

বিজ্ঞানের উন্নয়নের ফলে বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে এসেছে দাড়ুন পরিবর্তন এবং মুদ্রণ কাজেও এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।আমরা সকলে জজানি যে পঞ্চাশ বছর আগেও মুদ্রণ কাজ এতো সহজ ছিল না।পূর্বে টাইপ রাইটারের মাধ্যমে লেখা মুদ্রণ করতে হতো কিন্তু বর্তমানে আধুনিক মুদ্রন যন্ত্রের আবিষ্কার এবং কম্পিউটারে মুদ্রণের কারনে খুব অল্প সময়ে এবং কম খরচে লক্ষ লক্ষ কপি ছাপা যাচ্ছে খুব সহজে।আমাদের পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা হয় এই সিস্টেমে এবং পাঠ্যপুস্তক তৈরির কাজে এই প্রযুক্তি যুগান্তকারী পরিবর্তন বয়ে নিয়ে এসেছে।

পরীক্ষার ফলাফল তৈরি এবং প্রকাশের ক্ষেত্রে

বিজ্ঞানের অবদান আমরা শিক্ষাক্ষেত্রের প্রতি পরতে পরতে অনুধাবন করতে পারি।বর্তমানে সব ধরণের পরীক্ষার ফলাফল তৈরির জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আপনি দেখতে পাবেন।এমনকি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঠিকঠাক মতো হলো কি না, এর যাচাই বাছাই করার ক্ষেত্রেও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার আমরা দেখতে পাই।পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর যাচাই করার জন্য ওএমআর মেশিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।পরীক্ষার ফলাফল তৈরির ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির ব্যবহার বেশ লক্ষনীয়।বিজ্ঞানের আবিষ্কারে আমরা কম সময়ে পেয়ে যাচ্ছি পরীক্ষার ফল।এতে আমাদের সময় অনেক সাশ্রয়ী হচ্ছে।আমাদের সকল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করা থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্র যাচাই, ফলাফল তৈরি এবং ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের অবদান বলে শেষ করা যাবেনা।এমনি রেজাল্ট প্রকাশের দিন আগের মতো আর স্কুল/কলেজে গিয়ে বসে থাকতে হয়না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই পরীক্ষার ফলাফল আমারা পেয়ে যাই।যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ফল আমরা পেয়ে যাাই মুহূর্তেই।তাছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা এবং চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় যা ামাদের বিজ্ঞানেরই আবিষ্কার।

প্রেজেন্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে

the-conference-3248255_640.webp

Source

বর্তমান যুগ মানেই বিজ্ঞানের আধুনিক যুগ।আমাদের শিক্ষা পার্পাসে কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লাস প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে হয়।আর এই প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খুব সহজে কোন বিষয় সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের সামনে উপস্থাপন করা যায়।আমাদের কম্পিউটারে দক্ষতা থাকলে মাইক্রোসফট অফিস পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই নান্দনিক ক্লাস প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যাচ্ছে।পড়াশুনা বাদে আপনি চাকরি ক্ষেত্রেও চমৎকার একটি প্রেজেন্টেশন দিয়ে সকলের দৃষ্টি কাড়তে পারেন।

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম

istockphoto-1126010207-612x612.jpg

Source

মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম বলতে আমরা বুঝি যেখানে ভিডিও প্রোজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হয়ে থাকে। স্কুল,কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল যায়গাতেই
এর ব্যবহার আমাদের চোখে পরে।মাল্টিমিডিয়া সিস্টেমেই চলছে পড়াশুনা।আমাদের বর্তমান সরকার দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষে এসব বেপারে বেশ জোর দিয়েছেন তা আমরা দেখতে পাচ্ছি।এমনকি সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ কারা হয়েছে।এর মাধ্যমে ক্লাশে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যক তথ্য উপস্থাপন করা যায়।দেশ ডিজিটাল হওয়ায় এই পদ্ধতিতে পাঠদান করলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বেশি থাকে এবং শিক্ষার্থীরা স্কুল ফাঁকি দেয়া থেকে বিরত থাকে।

থিসিস পেপার তৈরির ক্ষেত্রে

একটা সময় ছিল যখন আমরা কেবল পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর থাকতাম কিন্তু বর্তমানে আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সময়ে যেকোনো বিষয়ের উপর জ্ঞান লাভ করতে পারি খুব সহজে।আমরা গবেষণা করার ক্ষেত্রেও দেশ বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত সব পেপার থেকে সাহায্য নিতে পারি।এর সবকিছু সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞানের সহায়তায়।আর আমরা সকলে জানি যে ইন্টারনেটে তথ্য প্রাপ্তির বেপারটি সীমাহীন।শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।

I would like to mention @maulidar & @lili21
to participate this contest.

Sort:  
 2 years ago 

ব্রো সেই লেখোসে। পরীক্ষার লেখা সব এটেকোনা লেখি দেওছে। অস্থির ব্রো 👌

 2 years ago 

তোরা পিটুনি খাইবেন।যাস্ট ওয়েট ব্রো।😆

 2 years ago 

অসম্ভব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

 2 years ago 

Thanks a bunch vaia.

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.12
JST 0.026
BTC 57379.94
ETH 2522.43
USDT 1.00
SBD 2.32