Steem Bangladesh Contest || Sports: Virat Kohli A real captain|| 🏏🏏🏏🏏

in Steem Bangladesh2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, সবাইকে স্বাগতম।।


আমি আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ , সুন্দর রয়েছেন এবং Steem Bangladesh এর সাথেই রয়েছেন।


আজকের আমার পোস্টের বিষয় খেলাধুলা বা sports নিয়ে। আমি অপেক্ষায় থাকি এই সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংসগ্রহন করার জন্য। খেলাধুলা বর্তমানে বিশ্বের বিনোদনের অন্যতম প্রধান অংশ।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম খেলা জনপ্রিয়। তেমনি খেলার সাথে জড়িত মানুষ গুলো সবার নিকট কম বেশি প্রিয়। ফুটবলের মেসি, লন টেনিসের ফেদেরার, ক্রিকেটের বিরাট কহলি একেক জন মানুষের কাছে প্রিয়। আজ আমি আমার পছন্দের একজন প্লেয়ার বিরাট কোহলিকে নিয়ে আলোচনা করবো।



Age is no barrier. its a limitation put on your mind. (Jhonson)



টি-২০ খেলায় যে কোন একজন ভালো ব্যাটসম্যান একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। তবে এই ভালো ব্যাটসম্যানকে টি-২০ তে পাওয়ার হিটার বলা হয়। পাওয়ার হিটাররা একবার খেলা শুরু করলে বোলারদের ঘাম ছুটে জায়। টবে যত বড় ব্যাটসম্যানই হোক না কেন সবারি কিছু না কিছু দুর্বলতা থাকে। আজকে আমি বর্তমান সময়ের পাওয়ার হিটারদের কাএ কোথায় দুরবলাতা াছে তা তুলে ধরবো

Virat-Kohli-Indian-cricket-team-captain-410048-pixahive.webp

Source



বিরাট কোহলি জখন জুব বিশ্বকাপ খেলে তখন থেকেই সে আমার নজরে পড়েছিল।দক্ষিন আফ্রিকার সাথে লো স্কোরের একটা ম্যাচ চলছিল। আগে ব্যাট করে অল্প পুজি গড়া ভারতকে ম্যাচ জেতাতে তিনি বলারদের উৎসাহ দেয়া, উজ্জীবিত রাখা, এবং আর অনেক কিছু করছিলেন। ২ বল হাতে থাকতেই জখন দলের জয় প্রায় নিশ্চিত যত ঠিক তখনো দর্শকদের আংগুল দিয়ে চুপ থাকতে বলেন। এইটুক্য বয়সেই তার এই পরিণত আচরন আমাকে বিমুগ্ধ করেছিল।ম্যাচ শেষ না হতেই সেলিব্রেশন নয় এই মন্ত্রে তিনি বিশ্বাস করতেন। তার অধিনায়কত্ব তখন থেকেই আমার চোখে ধরেছিল। তখন কোহলি নামের এত ওজন ছিলনা। তবে তার অধিনায়কত্ব আমার মনে ধরেছিল।

source



এরপর কিছুদিনপরেই ভারতের মুল দলে ডাক পেলেন। তারপর নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিলেন রান মেষিন হিসেবে। একের পর এক রেকর্ড ভেঙ্গে নিজেকে নিয়ে জেতে থাকলেন এক অনন্য উচ্চতায়। তারপর আস্তে আস্তে দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে নিজেকে পরিনত করতে থাকলেন। এরপর ধোনির কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে দায়িত্ব বুঝে নিলেন। অভিষেক টেস্টে করলেন জোড়া সেঞ্চুরি। তার সেই ইনিংস অনেক দিন মনে রাখার মত। এরপর ৩৬৪ রান তাড়া করার চিন্তা মাথায় ভর করলো। জদিও পরিসংখ্যান বলে সেই ম্যাচ ভারত হেরে গিয়েছিল কিন্তু তার যে সাহস আর মানসিকতা তার কথা আলাদা করে বলতেই হয়।

source



ভারতীয় দলে তখন রঙ বদলের হাওয়া চলছিল। টেস্টের পর এবার তার কাধে ওয়ানডের দায়িত্ব তুলে নেয়ার পালা। ১.৫ বছর পর সেই দায়িত্ব বুঝে নিলেন। ধোনির দল থেকে তখন সবাই কোহলির দল হিসেবে চিনতে শুরু করলো। খেলা চলাকালীন সময় তার আগ্রাসি মনোভাব, রান খুদা যেমন চোখে পড়ে কেলার বাহিরে তিনি একেবারে অন্য রকম মানুষ। এত আক্রমণাত্মক হবার পরেও তিনি ক্যাচ মিস হওয়ার জন্য কিংবা বাজে বলিং্যের জন্য দলের প্লেয়ারদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করেননি কখনো। সব সময় সাহস আর ভরসা দিয়ে গেছেন। সিরাজ, উমেশ ,সাইনি , গিলদের সবসময় পিঠ চাপড়ে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন। বিনিময়ে সতীর্থদের কাছ থেকে বুক ভরা ভালোবাসা পেয়েছেন সবসময়।

source



এত কিছুর পরেও একদ; লোক তাকে বলে সে কোন ট্রফি জেতাতে পারেনি। ট্রফি দিয়েই সব বিবেচনা করে তারা। দলের প্লেয়ারদের প্রতি তার যে টান এবং তাদের সাথে যে বন্ধুত্ব তা আর কয়জন অধিনায়কের আছে। অনেকেই তাকে বলে বদ মেজাজি, অহংকারী আসলে ঈর কোনটিই তিনি নন। তিনি আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করেন। অনেকে মাঠের কোহলিকে ব্যাক্তি কোহলি হিসেবে বিবেচনা করেন। আসলে ব্যাক্টি কোহলি আর মাথের কোহলি একেবারেই ভিন্ন। কেরিকেট নিয়ে তার যে আন্তরিকতা, প্যাশন, ভালোবাসা তা কয়জন বুজতে পারি আমরা।

source



কহলি যে সময়ে ক্যাপ্টেন্সি পেয়েছিলেন সেটি ছিল তার জন্য উপযুক্ত সময়। খেলার অলিগলি তার খুব ভালো করেই চেনা ছিল। কিন্তূ ক্রিকেট খেলাটা ৯০% স্কিল আর ১০% ভাগ্য। কোহলির এই ১০% ভাগ্য ছিল খুবই খারাপ। সারাবছর ভালো খেলা তার দল জখনি কোন মূল আসরে নামতো তখনি জেন ভরাডুবি নেমে আসতো তার দলের। ধোনীর ক্ষেত্রে এই ভাগ্যটি ছিল অনেক ভালো। চ্যম্পিয়ন ট্রফিতে নো বলে ফখর জামানের বেচে জাওয়া জার কারনে পুরো ট্রফিটাই হাত ছাড়া হয় ভারতের। তারপরেও এই সময়ে কিছু ট্রফি পায় ভারত কিন্তু সেসময় কোহলি ছিলেন বিশ্রামে। নিদাহাস ট্রফিতে রুবেলের এক ওভারে ২২ রান নিয়ে কার্তিকের ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়া হয় রোহিতের অধিনায়কত্বে। কোহলি অনন্য এই কারনেই। নিজের জীবন বরনিল হলেও ভাগ্যর কারনে তার অধিনায়কত্ব নির্মল।

source



ক্রিকেট নিয়ে আমার অনুমান খুব বেশী একটা ভালোনা। আমি ভেবেছিলাম ভিরাট অধিনায়ক হিসেবে সফল হবে কিন্তু তার সাফল্যর ঝুড়ি ফাকা থাকায় আমি কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছি। আমার খুব ইচ্ছা হতো অন্তত একতা ট্রফি এই মানুষটা জিতুক। আন্তর্জাতিক না হোক আইপিএলে একবার শিরোপা জিতলেও খুসি হতাম। আমি আর.সি.বি দল সাপোর্ট না করলেও তাদের দলের খব সবসময় রাখতাম। খুব কাছে এসেও তারা শিরোপা হাতছাড়া করেছে অনেক বার। মাঠে তার ডেডিকেষন আমি উপভোগ করি।
৭০ সেঞ্চুরিতে অনেক দিন যাবত আটকে আছেন। মানুষ রান না করলে সমালোচনা হয় কিন্তু বিরাট কহলি সেঞ্চুরি না করলে তার সমালোচনা হয়। সাধারন্দের সাথে এখানেই তার ব্যবধান। ১০০+ সেঞ্চুরি করার মত এই গ্রহে যদি কোন প্লেয়ার থাকে তবে বিরাট কোহলির নাম অনায়সে সবার আগেই আসবে। তবে কোহলি নামক অধ্যায়ের এখানেই শেষ নয়, এখনো অনেক রেকর্ড করার বাকি আছে তার। নিজের নামের পাশে আরো অনেক মাইলফলক জোগ করবেন এবং অনেক দিন আমাদের তার খেলা উপভোগ করার সুজোগ দিবেন বলে আশা রাখি।

source



আমি দুই বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @hidayat96 এবং @yeri52.



সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ আমি এখানেই শেষ করছি।

Sort:  

Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .

plagiarism-freeYES
#steemexclusiveYES
#club5050NO
#club75YES
#club100NO
Verified userYES
Bot-freeYES


Polish_20201009_015638739.jpg

Hi, your post has been upvoted by @hive-138339 courtesy of @sohanurrahman

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:

I want to like this post but half of it won't translate because you've formatted it as "code". I really can't understand why you've chosen to do this.

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 67685.37
ETH 3498.92
USDT 1.00
SBD 2.71