Steem Bangladesh Contest : My post is about sport |||Cricket: A Game Of Miracle|||🏏🏏🏏🏏

in Steem Bangladesh2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা।।


আমি আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ,সুন্দর আর কোভিড -১৯ এই ভাইরাস থেকে নিরাপদে রয়েছেন ।


ক্রিকেট হলো আবেগ এবং ভালোবাসার মিশ্রণ, একে আসলে কোন বিশেষ বিশেষণ দিয়েই ব্যখ্যা করা জায় না। কখনো কখনো প্রিয় দলের খেলা দেখতে বসে জখন সি দল একদম জেতা ম্যাচ হেরে জায় তখন আবেগ তাড়িত হয়ে আমরা বলে ফেলি আর খেলা দেখবো না কিন্তু কিছুদিন পরেই সেই দল জখন হারা ম্যাচ জিতে নেয় তখন সেই দল্কে নিয়েই আমরা প্রশংসায় ভাসতে থাকি। এই ভালোবাসা আর আবেগের ক্রিকেটে এমন কিছু কিছু ম্যাচ আছে জেই ম্যাচের কথা মানুষের মনে চিরদিন দাগ কেটে থাকবে। এই জন্য ক্রিকেটকে “এ গেম অব মিরাকল” বলা হয়। আজ এরকম কিছু ম্যচের কথা এই পোস্টের মাধ্যমে বর্ণনা করবো।

image.png

Source



I really hate it when i can't score runs from a ball. (De villiers)



অস্ট্রেলিয়া বনাম দঃআফ্রিকাঃ

১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ওস্ট্রেলিয়া এবং দঃআফ্রিকা। সেদিন ইংল্যান্ডের এজবাস্টনে এক মিরাকল জন্ম নিয়েছিল। আস্ট্রেলিয়া দলে ছিল গিলি, প্নটিং, বেভান, মুডি ওয়ারন। মেকগ্রাদের মত বড় বড় সব তারকা। অন্যদিকে আফ্রিকার দলেও ছিল গিবস, ক্লিজনার,ক্যলিস, রোডস, বাউচারদের মত ম্যাচ জেতানো সব নাম। হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আফ্রিকার বোলিং তোপে মাত্র ২১৩ রানেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। সেদিন অস্ট্রেলিয়ার কোন ব্যাটসম্যান তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।

Source



এই সামান্য পুজি নিয়েও লড়াই চালিয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ক্ষণে ক্ষণে ম্যাচ রং পালটিয়ে একটা সময় চুড়ান্ত নাটকীয়তার মঞ্চে এসে দাঁড়িয়ে জায়। শেষ ওভারে জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২১৪ রানের টারগেট থেকে মাত্র ৯ রানের দুরে দাঁড়িয়ে আফ্রিকা। শেষ অভারে প্রথম দুই বলে দুটি চার মেরে দল্কে জয়ের বন্দরে নিয়ে জান ক্লুজনার পুরো দল জখন জয়ের আনন্দ উদজাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখন ৩য় বল ডট দিয়ে দেন ক্লুজনার এরপর চতুর্থ বলে ডোনাল্ডের খেপাটে দৌড় ফলাফল রান আউট। এই রান আউটের ফলে ম্যাচ ড্র হয়ে জায় । এখঙ্কার মত তখন সুপারভারের সিস্টেম ছিল না । এরপর দুই দলের যেহেতু রান সমান ছিল সেহ্রতু রানের হিসেবে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে থাকায় তারা ফাইনালে জায়।

অস্ট্রেলিয়াদঃআফ্রিকা
রান (২১৩)রান(২১৩)
ওভার(৪৯.২)ওভার (৪৯.৪)
বেভান (৬৫ রান)ক্যালিস (৫৩রান)
ওয়ারন (২৯/৪)পলক (৩৬/৫)

ম্যান অব দা ম্যাচঃ শেন ওয়ারন (অস্ট্রেলিয়া)

source



অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডঃ

২০০৫ সালে আবারো ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে থাকলো এজবাস্টন।সেদিন চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রানের লক্ষ্যে নিয়ে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। এশেজ সিরিজের এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটসম্যানদের তুলনায় লক্ষ্যটা অনেক সহজ মনে হচ্ছিল। দুই অপেনার জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং হেইডেন সারুন ভাবে ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে জাচ্ছিলেন। কিন্তু ৪৭ রানেই ল্যাঙ্গার ফ্লিন্টফের বলে আঊট হলে প্রথম ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর পন্টিং দলের অন্যতম ভরসা শুন্য রানে আউট হলে ধীরে ধীরে ম্যাচ জমে উঠে।

source




এরপর একে একে বড় তারকা গিলি, মারটিন, ওয়ারন, ক্লারক, কেটিচ সবাই আসা যাওয়ার মিছিলে জোগ দিতে থাকে। দলীয় ২২০ রানেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়ে ফেলে ৯ উইকেট। জিততে হলে ইংল্যান্ডের দরকার ১ উইকেট আর অস্ট্রেলিয়ার দকার ৭৩ রান। ক্রিজে আছে ব্রেট লি এবং ক্যাস্প্রউচ দুইজন সাবলিল ভাবে ব্যাতিং করে দল্কে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া নতুন রুপকথা লিখবে এমন্টাই সবাই ভাবছিল কিন্তু গেম অব মিরাকল ক্রিকেট আবারো ইতিহাস জন্ম দিল। জয় থেকে মাত্র তিন রান দূরে থাকতেই হারমিসনের বলে ব্রেটলি আউট হয়ে জায়। এশেজের ইতিহাসে এই ম্যাচটিকে এখন পর্যন্ত গ্রেটেস্ট ম্যাচ হিসেবে ধরা হয়।

ইংল্যান্ডঅস্ট্রেলিয়া
১ম ইনিংস (৪০৭ রান)১ম ইনিংস (৩০৮ রান)
২য় ইনিংস (১৮২ রান)২য় ইনিংস (২৭৯ রান)
ট্রেস্কোথিক ৯০ রানল্যাঙ্গার ৮২ রান
ফ্লিন্টফ (৭ ঊইকেট)ওয়ারন ১০ উইকেট

ম্যান অব দা ম্যাচঃ ফ্লিন্টফ (ইংল্যান্ড)

source



ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ডঃ

২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ম্যাচ । একে তো বিশ্বকাপের খেলা তার উপরে ফাইনাল ম্যাচ। সেদিন লর্ডসের স্টেডিয়ামে ৩০ হাজারের বেশি দরশক সাক্ষি হয়ে ছিল ইতিহাসের। আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডকে ২৪২ রানের লক্ষ্য দেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। নিজেদের মটিতে এই রান করা অনেক সহজ ছিল ইংল্যান্ডের কাছে কিন্তু ব্লাক ক্যাপসদের বোলিঙের সামনে তারা বেশি সুবিধা করতে পারেননি।

source



জেতার জন্য শেষ পর্যন্ত তাদের দরকার ছিল ৬ বলে ১৫ রান। ক্রিজ আগলে দাঁড়িয়ে থাকা বেন স্টোক্স দলকে জেতার খুব কাছ পর্যন্ত নিয়ে যাবার পরেও দল্কে জেতাতে পারেননি ১৫ রানের জায়গায় ১৪ রান হয়ে ম্যাচ ড্র হয়ে জায়। এরপর ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম সুপার ওভার ম্যাচ শুরু হয় নাটকীয়তায় ঘেরা প্রথম সুপার ওভারটিও ড্র হয় এরপর ২য় সুপার ওভার আবারো একটি মহানাটকীয়তার জন্ম দিয়ে ড্র হয়ে জায়। সেই ম্যাচটি জারা টিভি সেটের সামনে বসে দেখেছিলেন তারাই জানবেন সেই মুহুরতের কথা এরপর বাউন্ডারির হিসেবে ইংল্যান্ডেকেই জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
নিউজিল্যান্ডইংল্যান্ড
২৪১ রান২৪১ রান
৮ ঊইকেট১০ ঊইকেট
৫০ ওভার৫০ ওভার
নিকোলস (৫৫ রান)স্টোকস ( ৮৪ রান)
নিশাম ৪৩/৩উকস ৩৭/৩

ম্যান অব দা ম্যাচঃ বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)

source



অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড টেস্টঃ

২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে আরো একটি রুপকথার জন্ম হয়। এবার সেই দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড। কিন্তু এবার শেষ ইনিংসে ব্যাট হাতে নামে ইংল্যান্ড। জেতার জন্য তাদের দরকার ছিল ৩৫৯ রান। টেস্টে শেষ ইনিংসে এসে ৩৫৯ রান তাড়া করা অনেক কঠিন এই কথা আমাদের সবারি জানা। কিন্তু এই কঠিন কাজটি করে ফেলে ইংল্যান্ড। ওপেনার বারন্স এবং রয় রীতিমত ব্যর্থ।এরপর রুট এবং ডেনলি জয়ের পথ দেখাতে শুরু করলেও ডেনলি হাফ সেঞ্চুরি করে আঊট হয়ে জান। দলের রান তখন ১৪১।

source



এরপর রুট এবং স্টোক্স জুটি বাধেন দল্কে জেতানোর জন্য কিন্তু কিছুসময় পর রুট আউট হয়ে জান। এরপর একে একে বেয়ারস্টো, বাটলার ,উড, আরচার বিদায় নিলে খেলা চলে জায় অজিদের হাতে। ২৮৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ধুক্তে থাকা ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন লিছ নামক এখন প্লেয়ার। অপরপ্রান্তে স্টোকস তখন টেস্টের খোলস বদলিয়ে ওয়ানডে মেজাজে নিজেকে নিয়ে গেছেন। সিঙ্গেল না নিয়ে বল্গুলিকে বাউণডারি মারায় মনোজোগ দিয়ে গেছেন।আর অন্য প্রান্তে লিছের সাপোর্ট ছিল অসামান্য।

source



এরপর লিছকে নিয়ে স্টোকস করে ফেললেন সেঞ্চুরি কিন্তু খেলার তখন অনেকটাই বাকি। দলীয় রান জখন ৩৫৭ ঠিক তখন লায়ন খুব সহজ এক্তা রান আউট মিস করে ফেলেন। পুরো গ্যালারিতে পিনপতন নিরবতা তখন। আগে থেকে রিভিউ হারিয়ে থাকা অজিদের সামনে জোরালো লেগ বিফোরের আবেদন কিন্তু আম্পায়ারের না। পরে রিভিউতে দেখা গেল সেটি আউট ছিল পুরো দল তখন আফসোসের সাগরে ডুবে জায়। এর পরের ওভারেই কামিন্সকে চার মেরে দল্কে এক মহাকাব্যিক জয় এনে দেন স্টোকস। সেদি ব্রেটলি পারেননি কিন্তু আজ স্টোকস করে দেখালেন এক অসাধ্য কিভাবে সম্পন্ন করতে হয়। ক্রিকেত ইতিহাসে এই ম্যাচের কথা সোনালি অক্ষরে লিখা থাকবে। এই কারনে ক্রিকেটকে এ গেম অব মিরাকল বলা হয়।

আসলে এরকম অনেক ম্যাচের কথাই হয়তো লিখা জেত । ইতিহাসে অনেক ম্যাচ আছে জেগুলোর ফল হবার কথা এক রকম থাকলেও হয়ে গেছে অন্য রকম। এই জন্যই ক্রিকেটকে মিরাকল গেম বলা হয়।

অস্ট্রেলিয়াইংল্যান্ড
১ম ইনিংস (১৭৯ রান)১ম ইনিংস (৬৭ রান)
২য় ইনিংস (২৪৬ রান)৩৬২ রান ৯ উইকেটে
লাবুশেন (৮০ রান)স্টোকস (১৩৫*)
আরচার ৪৫রান/৬উইকেটহেজেলউড ৩০রানে ৫ উইকেট

ম্যান অব দা ম্যাচঃ বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)


image.png

Source



I Invite to friends to participate this contest @pocoloco01 @ssab



সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ আমি এখানেই শেষ করছি।


Sort:  

Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .

plagiarism-freeYES
#steemexclusiveYES
#club5050NO
#club75YES
#club100NO
Verified userYES
Bot-freeYES


Polish_20201009_015638739.jpg

Hi, your post has been upvoted by @hive-138339 courtesy of @toufiq777

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:

 2 years ago 

সেই ম্যাচটি জারা টিভি সেটের সামনে বসে দেখেছিলেন তারাই জানবেন সেই মুহুরতের কথা

আমার দেখা সব থেকে সেরা ম্যাচ এটি। সুন্দর লিখেছেন।

 2 years ago 

ক্রিকেটপ্রেমীরা এই ম্যাচগুলো কখনোই ভুলতে পারবেন না। সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন।

 2 years ago 

ম্যাচ গুলি আসলেই ভালো ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57646.26
ETH 3029.18
USDT 1.00
SBD 2.26