আমাদের সৈয়দপুর শহরের দশ দিন ব্যাপী মহররমের উৎসব
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
আমাদের সৈয়দপুর শহরের ৮০% মানুষ বিহারি। আর এই বিহারীরা নানান ধরনের অনুষ্ঠান পালন করে৷ আমরা বাঙ্গালীরা শুধু দুই ঈদ উৎপাদন করি৷ কিন্তু এরা ৪-৫ টি অনুষ্ঠান পালন করে৷ এর মধ্যে মহররম অন্যতম৷ চাঁদ উঠার দিন থেকে শুরু করে দশম দিন পর্যন্ত এদের অনুষ্ঠান চলতে থাকে৷ শহরের কিছুক্ষণ মোড় থেকে ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত লাইটিং করা হয়েছিলো৷ আর ঈদগাহ মাঠে মেলা বসেছিলো৷ সৈয়দপুর এর লোক খুবই ঘুরাঘুরি পছন্দ করে৷ প্রথম দিন থেকে শুরু করে কালকে পর্যন্ত যে ভির ছিলো বলার বাইরে।
আমাদের মসজিদের পাশেই ঈদগাহ মাঠ৷ মসজিদে নামাজ পড়ে ঐদিক দিয়ে ঘুরতে চলে যাইতাম৷ ভালোই লাগে মেলায় যেতে৷ মেলায় যত মানুষ দেখে মাথা নষ্ট৷ ঈদগাহ মাঠের পাশে তাজিয়া ঘর৷ তাজিয়ায় মানুষ খাবার নিয়ে যায় ফুকিয়ে নিয়ে আসার জন্য। আমি আসলে জানি না উনারা সেখানে কি করেন৷ আর তাদের উদ্দেশ্য কি।
বাচ্চা থেকে বড় সবাই শরীরে ঝুনঝুনি লাগায়৷ শরীরে ঘোরার মত রশি বাধে৷ এরপর ঢোল বাজায় সবাই৷ প্রথম দিন থেকে শুরু করে ঢোল বাজা শুরু করে। শনিবার রাত পর্যন্ত ঢোল বাজাইতেছিলো৷ ঢোল বাজার শব্দে কান পাতা দায়৷ শনিবার রাতে সবাই ঘোড়া'র পুতুল, ইমাম হাসান ও হুসাইন (রা:) মুর্তি বানায় কি জানি করে৷ রাস্তায় মিছিল করে৷ হাতিখানা কবর স্থানের পাশে নাকি ওদের কারবালা৷ সেখানে গিয়ে তারা দৌড়াদৌড়ি করে৷ এরপর তাদের কার্যক্রম শেষ হয়৷
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
আমিও সৈয়দ পুর মাদ্রাসায় থাকতে মহরমের এমন উৎসব দেখেছি, তবে এসব করাটা ঠিক না, আমাদের এসব থেকে বেরিয়ে আসা দরকার, এরা মহররমে যে পরিমাণ বাদ্যযন্ত্র বাজায় বলার বাইরে, আপনার পোস্টি পরে খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you
বিহারি বাহিনো নিজেও জানেন্য যে তারা অনেক বড় মাপের ইদাআত করতেছে। রাসুল(সা:) এমন কাজ করতে মানা করেছেন। আপনি মহরম এর ভালোবাসায় রোজা রাখতে পারেন কিন্তু এমনটা করা যুক্তি সম্নত নহে। মেলা এখনো শেষ হয় নাই ভাই?
না আসো তোমার জন্য বসি আছে মেলা
😄😄
https://twitter.com/MDToufiqurRah/status/1687283151939514368?t=NIfObC8rtrpK9KfLGdqW-g&s=19
সৈয়দপুরের ৮০% মানুষ বিহারী সম্প্রদায়ের। সৈয়দপুরে থাকার সুবাদে মহরমের ঢোল বাজনার আওয়াজ চারদিকে ছড়িয়ে পরে সেটা শুনতে পেরেছি। মহরম এলে বিশেষ এক রশি তারা গায়ের মধ্যে জড়িয়ে রাখে। হাসান হোসেনের কারবালার চিত্র তারা ফুটিয়ে তুলে। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ
Thank you
মহরমের উৎসব এত ধমধম করে আয়োজন করা হয় এটা আমার জানা ছিল না কখনো। বিহারীরা তো ভালই উৎসব পালন করে। এরাও মনে হয় ইরানি জনগণের মতো করে। দারুন লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
মহরম নিয়ে যে এরকম একটা অনুষ্ঠান করা হয় তা জানতাম না। আমি জানি যে মুসলিমদের জন্য যে কোন ধরনের বাদ্যযন্ত্র হারাম। আর কোনরকম মূর্তি বানানো ঠিক না। তাজিরা ঘর সম্পর্কেও কোনদিন কোন কথা শুনিনি ভাইয়া। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। সুন্দর একটি পোস্ট তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
আমিও বেশ কয়েকবার দেখেছি বিহারীদের এই মহরম উৎসব। সৈয়দপুরের বিহারীর সংখ্যা অনেক বেশি। ইসলামে বাদ্য বাজানো হারাম কিন্তু তারা কোন যুক্তিতে এটা করে আমাদের মাথায় আসে না। চমৎকার লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ
সেলিম ভাইয়ের যুক্তির সাথে আমিও সহমত।ইসলামে বাদ্যযন্ত্র বাজানো হারাম।মুর্তি তৈরী করাও হারাম।এই বিষয়টি আমার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেল না।এই উৎসবটি সম্পর্কে আমার আগে জানা ছিল না।মুসলমান হয়ে এমন উৎসব পালন না করাই উচিৎ। এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ওইদিন পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল আর ওইদিনই কিয়ামত হবে।
ধন্যবাদ