চিনিরবন্দের মধ্যে অন্যতম সুন্দর একটি জায়গা "কাঁকড়া ব্রীজ"
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
আমরা মানুষ কখনও খারাপ থাকি আবার কখনও ভালো। আমাদের মন সব সময় এক থাকে না৷ আজকের দিন ভালো গেলে দেখা যায় পরের ২-৩ দিন আবার খারাপ যায়৷ কাজের মধ্যে থাকলে বা পরিবারের চাপে থাকলে অবসর সময় পাওয়া যায় না৷ কিন্তু বেকার মানুষের তো সারাদিনই শুয়ে বসে কাটে৷ আমি সারাদিন অবসর সময়ই কাটাই৷ আমার সারাদিন খুব ভালোই কাটে৷ রাতের বেলা আর সময় কাটতে চায় না।
আমার ঘুরাঘুরি করতে ভালো লাগে। তবে একা ঘুরতে তেমন ভালো লাগে না৷ জীবনে এমন বউ পাইছিলাম৷ যে ঘুরাঘুরি পছন্দ করতো না৷ মানুষ সারাদিন ঘুরার উপর থাকতো৷ আর আমার তাকে নিয়ে ঘুরাই হইতো না৷ বিকাল হইলে ঘুমাইতো 🙄। তখন ভাবতাম এই যায় না কেন৷ গেলে ঘুরাঘুরি করবো সারাদিন৷ এখন সে নাই৷ এখনও ঘুরাঘুরি হয় না৷ ঘুরলে মন ফ্রেশ হয়ে যায়৷ মনের কষ্ট গুলো কিছু সময়ের জন্য ভুলে থাকা যায়৷
গত পঁচিশে আগষ্ট আমি কাঁকড়া ব্রীজে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ ঐদিন মূলত শুক্রবার ছিলো৷ আর ঐ দিন টিপ টিপ বৃষ্টিও হচ্ছিলো৷ ঐদিন মন প্রচন্ড খারাপ ছিলো৷ দুইটা খারাপ সংবাদ শুনেছিলাম৷ তো বাড়িতে থাকতে ইচ্ছে করতেছিলো৷ তারপর আসলাম ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসলাম৷ উনাকে নিয়ে পার্বতীপুর গিয়েছিলাম। এরপর নূর আমিন সহ কাঁকড়া ব্রীজে গিয়েছিলাম৷ সেখানে গিয়ে অনেক গুলো ছবি তুলেছি৷ জায়গাটি অনেক সুন্দর ছিলো৷ মনোরম পরিবেশ৷ এমন পরিবেশে সারাদিন থাকলেও শরীরে ক্লান্তি আসবে না৷ নদী, নদীর উপরে ব্রীজ, নদীর চারদিকে কাশফুল এর সারি, নদীতে নৌকা বাইতেছিলো মাঝি৷ আবার কেউ নদীর পারে বসে গল্প করতেছিলো৷ নদীর পাশে একটি টং দোকান ছিলো৷ তারপাশে নামাজ পড়ার ঘর৷
এখন শহরের পরিবেশ বেশি একটা ভালো না। কলকারখানা, গাড়িঘোড়ার চাপ বেড়ে গেছে৷ মানুষ শহরে টিকতে পারতেছে না৷ তাই অনেকে ছুটির দিন গুলোতে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যায়। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলে৷ নদীর আশপাশ ঠান্ডা থাকে৷ চারিদিক ফাঁকা থাকায় স্নিগ্ধ বাতাস থাকে। নদীর আশেপাশে যাদের বাড়ি তারা এটা ফিল করতে পারবে৷
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
কাঁকড়া ব্রীজ নিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। চিরিবন্দরে আমার খালার বাড়ি। খালার বাড়ি বেড়াতে গেলেই আমি এই কাঁকড়া ব্রীজে বেড়াতে যাই। আসলেই অনেক সুন্দর একটি জায়গা। ঈদের সময় এই ব্রীজের সাথেই একটি মেলা লাগে। সুন্দর সব ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ
যখনেই ট্রেন এ ঘুরতে যেতাম দিনাজপুর তখন এ আমরা এই ব্রিজ এর ভিতর দিয়ে এ যেতাম। ব্রিজটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। তবে তার চারদিকের ঘেরানোটা সবথেকে বেশি ফুটে উঠে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি ব্রিজ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
Thank you
প্রায় চার বছরের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে চিরিরবন্দর কাঁকড়া ব্রিজের সঙ্গে আমার।আসলে ভাই কাঁকড়া ব্রিজের আশপাশ জায়গাটি অনেক সুন্দর। সেখানে গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায় সবার। এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে আশপাশ এলাকার মানুষের জন্য।কারণ এখানে বিভিন্ন উপজেলা থেকেও মানুষ ঘুরতে আসে তাদের সময় কাটানোর জন্য।আমি যখন চিরিরবন্দরে ছিলাম প্রায় প্রতিদিনই যেতাম সেখানে ঘুরতে বন্ধুদের সঙ্গে।শহরের সেই কোলাহলপূর্ণ জীবন থেকে গ্রামের পরিবেশ অনেক ভালো। দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
কাঁকড়া ব্রীজ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে এই কাঁকড়া ব্রীজটি দেখতে অনেক সুন্দর এবং পরিবেশটি ও অনেক মনোমুগ্ধকর। এই কাঁকড়া ব্রীজে কোনদিন যাওয়া হয়নি তবে প্ল্যান করতেছি এখানে একটু ঘুরতে যাব কারন জায়গাটি অনেক সুন্দর এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম। ঘুরতে যাওয়ার আগেই আপনি অনেক সুন্দর একটি পরামর্শ দিলেন ভাইয়া। এখন তো আরো বেশি আগ্রহ হচ্ছে যে কোন দিন যাব কোন দিন যাব। ইনশাআল্লাহ পরীক্ষা শেষ হলে এখানে ঘুরতে যাব জায়গাতে আসলেই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
চিরিরবন্দর কাঁকড়া রেলব্রীজ একটি দর্শনীয় স্থান নামে পরিচিত। চিরিরবন্দর উপজেলার মধ্যে একটি নিরিবিলি জায়গা। এখানে আমি অনেকবার গিয়েছি।তবে বর্ষা মৌসুমে জায়গাটি দেখার মতো হয়। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোক জায়গাটি দেখতে আসে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
@md-sajalislam.
ধন্যবাদ
দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় কাঁকড়া নদীর উপর নির্মিত এই রেল ব্রিজটি বেশ সুন্দর দেখতে।চিরিরবন্দর উপজেলা সবথেকে মনোরম এবং সুন্দর জায়গা হচ্ছে এটি। এখানে অনেক ছেলে মেয়ে ঘুরতে যায় এখানে গেলে বেশ ভালই সময় কেটে যায়। আমি একবারও এখানে যায়নি তবে ট্রেনে যাওয়ার সময় এই ব্রিজ ক্রস করে গিয়েছি। কিন্তু এখানে কখনো এসে সময় কাটানো হয়নি। চিরিরবন্দর এবং পার্বতীপুর উপজেলার অনেকেই এই ব্রিজে ঘোরার জন্য যায়। তৌফিক ভাই ঘুরতে বেশ পছন্দ করেন তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে বেরিয়ে থাকেন। আপনি বেশ অনেকগুলো জায়গা ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং সেই তথ্যগুলো এবং ছবিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যা বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। এরপরে এখানে গেলে আমি অবশ্যই আপনাদের সাথে এখানে যাব। নুর আমিন একা একা ঘোরাফেরা করে বলে না নূর আমিনের সাথে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া হয়। তবে এখানে কোনদিনও যাওয়া হয়নি। আপনি এই ব্রিজ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এবং ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনি ভবিষ্যতেও এমন চমৎকার কিছু পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ
কাঁকড়া ব্রিজ নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই ।মন ভালো হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো ঘোরাঘুরি করা, আমিও মাঝেমধ্যে ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। চিরিবন্দর কাঁকড়া ব্রিজ দেখতে আমরাও গিয়েছিলাম ,অসাধারণ একটি জায়গা। পরিবার নিয়ে ঘুরে আসার মতো একটি জায়গা, আপনার বউ ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করে নাই, বিষয়টা শুনে তেমনটা ভালো লাগলো না। বিকাল হলে সে ঘুমাতে পছন্দ করতো, দিনের ঘুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কাঁকড়া ব্রিজ দেখার জন্য আমি ময়নুনা এবং তৌফিক ভাই তিনজনে মিলে গিয়েছিলাম। ময়নুনার মোটরসাইকেল দিয়ে গিয়েছিলাম, যেতে প্রায় আমাদের ২ ঘণ্টার মধ্যে সময় লেগেছিলো। আসার সময় অনেক বৃষ্টি নেমেছিলো, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাসায় এসেছি। তবে একটা জিনিস দেখেছি, ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলার দৃশ্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। খুবই ভালো লেগেছিলো সেই মুহূর্তটা, আপনি অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/MDToufiqurRah/status/1701856735101853842?t=Cxn68kh3W9OOvlK8iuQHMQ&s=19
ঘুরাঘুরি সবারই অনেক পছন্দের। পৃথিবীর সকল মানুষের ঘুরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করেন। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো আপনার বউ ঘুরাঘুরি পছন্দ করতেন না। বিষয়টা সত্যিই অনেক হতাশা জনক। তবে একটা জিনিস ভালোই হলো যাক আপনার দোয়াটা কবুল হয়েছে। সে চলে গেছে এখন মন ভরে ঘুরুন। যদি একা ঘুরতে ইচ্ছা না করে তাহলে বন্ধু-বান্ধবদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান। আর আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া ঘুরাঘুরি করলে মন ফ্রেশ থাকে। সত্যি ভাইয়া কাঁকড়া ব্রীজটি অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ