পার্বতীপুর শহরের নতুন বিনোদনের কেন্দ্র বিন্দু এখন খোলাহাটি রোডে অবস্থিত এই ক্যানেল
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
আমি ছোট থেকে পার্বতীপুরে বাস করেছি৷ পার্বতীপুরে অনেক সুন্দর জায়গা আছে। আগে ঈদের সময় দেখতাম মানুষজন সেই জায়গা গুলোতে ঘুরতে যেত৷ আসলে সবাই চায় সবুজে ঘেরা শান্ত পরিবেশ। এই পরিবেশে থাকলে মনে একটা প্রশান্তি আসে৷ আমরা সবাই কোলাহল পূর্ণ এলাকায় থেকে থেকে অস্থির হয়ে উঠেছি৷ তাই একটু ছুটি পেলেই সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে চাই। আমরা কেলোকায় থাকতাম৷ আর কেলোকা সম্পূর্ণ গাছগাছালিতে পরিপূর্ণ একটি জায়গা ছিলো৷ এখনও আগের মতই আছে৷ সেখানে দুটি বড় পুকুর, স্কুল ও পানির টাংকি ছিলো৷ আসলে এগুলো দেখার মত কিছু নয়৷ তবুও ঈদের সময় অনেক মানুষ ঘুরতে আসতেন।
এছাড়াও আরও অনেক ঘোরার মত জায়গা ছিলো৷ সেগুলোতে মানুষ ঘুরতে যেতেন৷ হাবড়া যেতে একটি ছোট্ট শালবন ছিলো। এখন সেটি আর নেই। ইট পাথরের নগরী হয়ে যাচ্ছে দিন দিন৷ দিন দিন মানুষ বেড়েই চলতেছে আর বাসস্থানের প্রয়োজনীয়তা বাড়তেছে৷ শহর দিন দিন বেড়ে চলতেছে৷ এমনও জায়গা আছে যে জায়গায় কখনও কল্পনা করা যায় নি যে এখানে মানুষ থাকবেন৷ অথচও ঐ জায়গা গুলো এখন মানুষের কোলাহলে পরিপূর্ণ। আরও বাড়বে একসময় আমাদের সবুজে ঘেরা পরিবেশ খুঁজে বের করতে উদ্বেগ পোহাতে হবে৷ সবুজ পরিবেশ হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের অসচেতনতার কারণে৷ আমরা যদি সবাই বাড়িতে ৫-৬ টি করেও ফলজ বা ঔষধি বা কাঠের গাছ লাগাই তবুও পরিবেশ রক্ষা পেত।
বর্তমানে পার্বতীপুরে একটি নতুন স্পট তৈরি হয়েছে৷ ৫-৬ বছর আগে পানি সেচের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ক্যানেল খনন করা হয়েছিলো৷ ক্যানেলের দুই ধার দিয়ে গাছ লাগানো হয়েছিলো৷ আমি যখন পার্বতীপুরে ছিলাম তখন গাছ গুলো অনেক ছোট ছিলো৷ এখন প্রায় মাঝারি সাইজের হয়ে গেছে৷ ক্যানেল পারে গেলে মনে হয় যে সবুজের মধ্যে চলে আসছি৷ লোকজন বিকাল বেলা সেখানে ঘুরতে যায়৷ আসলেই জায়গাটি মনোমুগ্ধকর। এরকম সবুজে ঘেরা পরিবেশ এখন আশেপাশে নাই বললেই চলে৷ সবুজের মাঝে ক্যানেল৷ ক্যানেলে নৌকা থাকলে আরও ভালো হইতো৷ তাহলে দর্শনার্থী বাড়তো৷ ঐ জায়গাটিকে ছোট খাটো বিনোদন স্পট হিসেবেও তৈরি করা যেতে পারে৷ পাশে দুই তিনটি চটপটি, ফুসকা ও চা-কফির দোকান দিলে জমজমাট চলতো। আরও লোকের ভিড় থাকতো।
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
পার্বতীপুরের ক্যানেল নিয়ে সুন্দর লেখছেন ভাই। আমি রংপুরে যাওয়ার পথে এই ক্যানেল সব সময় দেখি।এখানে বিশেষ করে ছুটির দিন অনেক মানুষ ঘুরতে আসে। জায়গাটি আসলে মনমুগ্ধকর একটি স্থান।আপনি ঠিক বলছেন যেগুলো জায়গাতে কিছু করার চিন্তা ভাবনা থাকে না। কিন্তু তারা ওগুলো জায়গাতে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতেছে।আপনি সুন্দর আলোচনা করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ
আমার জানামতে পার্বতীপুরের স্থানীয় মানুষ এটিকে ক্যানেলের পাড় বলে চেনে। এখানে অনেকজন ঘোরাঘুরি করতে আসে এবং তাদের সময় এখানে ব্যয় করে। খুব সুন্দর জায়গাটি বেশ কয়েকবার গিয়েছি আমি সেখানে। এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো লাগে আমাকে।দারুণ পোস্ট শেয়ার করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
Thank you
খুবই সুন্দর একটি জায়গা পার্বতীপুর ক্যানেল। আস্তে আস্তে এই জায়গাটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ৩ বছর আগে একবার গিয়েছিলাম। তবে সে বছরের তুলনায় এ বছর আরো দর্শনার্থীদের ভীড় বেশি। মনমুগ্ধকর পরিবেশ, জি ভাই ঠিক বলেছেন নৌকা থাকলে দর্শনার্থীদের ভীড় আরো বেশি জমতো। সাদা সাদা কালা কালা পরিবেশ গুলো ভালো লাগছিলো। সময় পেলে মাঝে মধ্যে এই ক্যানেল ঘুরতে যাবো। অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো, ফটোগ্রাফি দারুণ করেছেন। তবে সেদিনের দৃশ্যটা কি আপনার মনে আছে? অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা৷ ঈদে পা রাখার জায়গা থাকে না। রাস্তায় জ্যাম লেগে যায়।
পার্বতীপুর ক্যানেল সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আসলে এ ক্যানেল ধীরে ধীরে এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠতেছে আগে তেমনটা লোকেদের সমাগম দেখা যেত না কিন্তু এখন ধীরে ধীরে অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে জায়গাটি অনেক নিরিবিলি থাকায় অনেকে এখানের চতুর্দিকে বেড়াতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
হ্যা
https://twitter.com/MDToufiqurRah/status/1693492002120401277?t=A4z8RS8viL-97s3tt0lVDQ&s=19
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই জায়গাটি সম্পর্কে জানানোর জন্য।আপনার পোস্টটি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ছবি দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে,পার্বতীপুর যাওয়া অনেকবার হয়েছে কিন্তু জায়গাটি সম্পর্কে জানতামনা।ভবিষ্যতে ইনশাআল্লাহ যাবো।আপনার ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
পার্বতীপুর ক্যানেল টা নিয়ে আপনি দারুন লিখেছেন। পাশাপাশি আপনার ফটোগ্রাফিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। জায়গাটি খুব মনোমুগ্ধকর। এটি রাস্তার পাশে অবস্থিত। খোলাহাটি যেতে আমি এটা কয়েকবার দেখেছি। সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
আমিও বেশ কয়েকদিন আগে এই ক্যানেলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। এখানকার পরিবেশটা অনেক সুন্দর। ছায়া নিবিড় পরিবেশ আর সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে বেশি আর্কষণ করে থাকে।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
শুক্রবারে ক্যানেলে গেলে সবথেকে বেশি ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। পার্বাতীপুরের স্থানীয় মানুষ সবথেকে বেশি কল্যানে ঘুরতে আসে। অনেকেই সবুজের সমারোহ খুজতে শাড়ি পরে এই জায়গাতে ঘুরতে যায়। ঠিক বলেছেন ভাই সেখানে ফুসকা এবং চটপটির দোকান দিলে ভালো বিক্রি হবে।আগে মানুষ নাকি হাবড়া শালবন ঘুরতে যেতো আমি শুনেছি কিন্তু সেগুলো কেটে ফেলেছে। তবে রাজবাড়ীতে কিছু মানুষ এখনো ঘুরতে আসে।