গ্রামে জ্বালানির অন্যতম একটি মাধ্যম, আমাদের স্থানীয় ভাষায় একে সিন্ডা বলে
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
মানুষ খাবার ছাড়া বাঁচতে পারে না৷ আর খাবার রান্না করতে প্রয়োজন হয় জ্বালানি। জ্বালানির ব্যবহার বহুকাল আগে থেকেই শুরু হয়েছে৷ জ্বালানির জন্য আমরা গাছগাছালির কাঠ ও খড়ি সংগ্রহ করি৷ জ্বালানির অন্যতম প্রধান মাধ্যম হল গাছ৷ এছাড়া গ্যাস রয়েছে৷ তবে গ্যাসের ব্যবহারের বহুকাল আগে থেকে গাছ দিয়ে জ্বালানির চাহিদা মেটানো হত।
এখন পাট এর এর মৌসুম। পাট জমি থেকে কেটে এনে সেগুলো পানিতে বেশ কিছুদিন ভিজিয়ে রাখা হয়৷ যখন পাট গুলো পঁচে যায় তখন পাট এর আঁশ ছাড়ানো হয়। এই আঁশ দিয়ে দড়ি, পাঠজাত পণ্য, বস্তা তৈরি করা হয়৷ আর আঁশ ছাড়ানোর পর পাটের যে অবশিষ্ট জিনিসটি থাকে সেটি গ্রামে জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়৷ একে আমাদের স্থানীয় ভাষায় সিন্ডা বলে থাকে৷ এই সিন্ডা গুলোতে খুব দ্রুত আগুন ধরে যায়৷ চুলায় আগুন ধরানোর জন্য এই সিন্ডা গ্রামে ব্যবহার করা হয়৷ এগুলো কিছুদিন রোদে শুকায় শুষ্ক স্থানে সংগ্রহ করতে হয়। এই সিন্ডা গুলোতে খুব সহজে আগুন ধরে৷ এই সিন্ডা দিয়ে রান্না বান্না করা হয় না কিন্তু৷ এগুলো শুধু মাত্র চুলায় আগুন ধরানোর কাজেই ব্যবহার করে গ্রামের মহিলারা।
এই সিন্ডা দিয়ে আগে আমরা ধনুকের তির বানাতাম৷ আমার দাদী আমাকে তির বানিয়ে দিতেন৷ এছাড়াও আরও অনেক খেলা খেলতাম এই গুলো দিয়ে৷ একেকটি সিন্ডা ৩-৮ হাত লম্বা হয়ে থাকে৷ বর্ষার শেষে যখন পাট জমি থেকে উত্তোলন করা হয়৷ তখন পাটের আঁশ ছাড়িয়ে এই সিন্ডা গুলো সংগ্রহ করা হয়৷ আমার নানী বাড়ির ঐদিকে এই সিন্ডার ব্যবহার খুব বেশি। ঐদিকে পাট চাষ বেশি হয়৷
কিছুদিন আগে নানি বাড়িতে গিয়েছিলাম৷ নানী বাড়িতে যাওয়ার সময় আমাদের তিস্তা নদীর উপর দিয়ে যেতে হয়৷ চড়ে পাট চাষ করে চাষীরা। এখন পাট পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পাট পঁচা গন্ধ নাকে ভেসে আসে৷ একটি মাঠে কিছু সিন্ডা রোদে শুকাতে দিতে দেখেছিলাম৷ সিন্ডা রোদে শুঁকানোর এক ধরনের কায়দা রয়েছে৷ অনেক গুলো সিন্ডা একসাথে করে কিভাবে জানি শুকাতে দেওয়া হয়৷ সিন্ডা ২-৩ দিন রোদে শুকালে হয়ে যায় আর শুকাতে হয় না।
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
পাট গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ পাট গাছের এই জ্বালানিকে গ্রামের ভাষায় সিন্ডা নামে ডাকা হয়। সিন্ডা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you
https://twitter.com/Toufiqrahul/status/1683038066267791361?t=iwEosYs9uHAgD91foiWTTg&s=19
আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এই জ্বালানিকে আঞ্চলিক ভাষায় পাটকাঠি বা শোলা বলা হয়। রান্নাবান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এবং কি এই পাটকাঠি দিয়ে ঘরের বেড়াও দেওয়া যায়। আপনাদের আঞ্চলিক ভাষার নাম শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তবে এক এক অঞ্চলের ভাষা কত ভিন্নতা থাকতেই পারে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
পাট গাছ কাটার পর এইগুলো পানিতে ভিজিয়ে রেখে তা থেকে আঁশ উঠার পরে পাট গাছ রোদে শুকিয়ে তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমাদের এলাকায় সিন্ডা নামে চিনে।
ধন্যবাদ
গ্রাম অঞ্চলের পুকুর পাড়ে বা নদীর উপরে এই পাট খড়ি দেখা যায়। এগুলা সাধারণত জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এইসব পাটখড়ি দিয়ে আমরা ছোট বেলায় মাছ বানাইতাম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
গ্রাম অঞ্চলের পুকুর পাড়ে বা নদীর উপরে এই পাট খড়ি দেখা যায়। এগুলা সাধারণত জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এইসব পাটখড়ি দিয়ে আমরা ছোট বেলায় মাছ বানাইতাম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
আমাদের এলাকায়ও এগুলোকে সিন্ডা বলে। তবে এগুলোর ভালোনাম পাটকাঠি। পাট থেকে আশ ছাড়ানোর পর যে কাঠিটা থাকে তাকেই পাটকাঠি বলে। গ্রামে এগুলো জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। পাটকাঠি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ
আমরা গ্রামীণ ভাষায় একে সিঙ্গা বলে ডাকি। এটি দিয়ে ছোটবেলায় অনেক খেলেছি। বিশেষ করে আগুনে দিয়ে বিড়ি টানতাম তখন নিজেকে বিড়ি খোর মনে হতো।তবে এগুলোর মূল কাজ হল জ্বালানি।দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ
কাঁচা পাট পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এরকম গন্ধ আসে। আমাদের এলাকায় এগুলোকে পাট খড়ি নামে জানে। জ্বালানি হিসাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই, শুভকামনা রইল
হ্যা