একজন ভ্রাম্যমাণ লেবুর সরবত বিক্রেতা
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
বর্তমানে ঋতু পরিবর্তন হয়ে গেছে৷ যেমন গ্রীষ্মে কালে বন্যা হচ্ছে৷ বর্ষা কালে প্রচন্ড গরম হচ্ছে৷ শীতকাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পরতেছে৷ মানে সব কিছুই উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে। পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে গেছে৷ এত এত কলকারখানা তৈরি হয়েছে৷ চারিদিক কলকারখানা'র কালো ধোয়ায় ছেয়ে গেছে৷ আর মানুষ বাড়তেছে বাসস্থানের সংকট হচ্ছে৷ তাই বনাঞ্চল উজার করে বাসস্থান তৈরি করা হচ্ছে৷ এটা শুধু আমাদের বাংলাদেশে নয়। সারা পৃথিবীতে এমনই অবস্থা৷ পৃথিবীতে গাছপালা যত বেশি হবে পৃথিবী তত ভালো থাকবে৷ কিন্তু আমরা মানুষরাই অসচেতন৷ আমাদের অসচেতনতার কারণে আজ আমাদের পরিণতি এমন হয়ে যাচ্ছে।
১-২ মাস আগে প্রচন্ড গরম ছিলো৷ প্রায় ১ মাস ধরে আমাদের বাংলাদেশে কোথাও বৃষ্টি হচ্ছিলো না৷ অথচ বর্ষা কাল ছিলো৷ পরে অনেক জায়গায় বৃষ্টির জন্য কান্নাকাটি করে নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করা হয়েছিলো৷ দিনাজপুরে নামাজ আদায়ের ১-২ দিন পর হালকা বৃষ্টি হয়েছে। মানুষ একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছিলো তখন৷ আর আমাদের দেশে একটাই সমস্যা বেশি গরম হলে কারেন্ট থাকে না৷ গরম যত বেশি কারেন্ট তত বেশি আপ-ডাউন করে৷ একবার গেলে ১-২ ঘন্টা খবর থাকে না৷ মাঝখানে কিছুদিন এত বৃষ্টি হইছে যে চারিদিকে বন্যা হয়ে গেলো৷ চট্টগ্রাম এমন বন্যার স্বাক্ষী হল যা তারা ৪৫ বছরেও দেখে নাই৷ এর আগের বছর সিলেটে এমন অবস্থা হয়েছিলো৷ এরকমটা হবে৷ দুনিয়া এখন আগের জায়গায় নাই৷ এগুলো আমাদের কর্মফল৷ তাই আমাদের এটা মেনে নিতে হবে।
আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে কারেন্টও ঠান্ডা থাকে৷ কিছুদিন ধরে কারেন্ট এর সমস্যা ছিলো না৷ কিন্তু ২-৩ দিন ধরে আবার গরম শুরু হইছে৷ বৃষ্টি হচ্ছে না৷ যেই গরম শুরু হলো কারেন্ট আপ-ডাউন শুরু হয়ে গেছে৷ হায়রে গরম তার মাঝে কারেন্ট নাই৷ মানুষজন অতিষ্ট হয়ে গেছে৷ আমাদের সৈয়দপুর শহরে অনেক দোকানদার আছেন৷ যাদের দোকান গুলো এতটাই ছোট বসারও জায়গা নাই৷ ঐ দোকানে যদি ১-২ ঘন্টা কারেন্ট না থাকে৷ তাহলে বুঝতেই পারতেছেন এই গরমে তাদের কি হবে৷ এছাড়া অনেকে আকাশের নিচে দোকানদারি করেন৷ এদের অবস্থাও এই গরমে নাজেহাল।
এই গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই লেবুর সরবত। এছাড়া নানান ধরনের জুস খেয়ে থাকেন৷ রাস্তার পাশে অনেক জুস বিক্রেতা ও লেবুর সরবত বিক্রেতা দেখা যায়৷ যারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব তৈরি করেন৷ কিন্তু আমরা গরম সয্য করতে না পেরে এসব খেয়ে ফেলি৷ এতে আমাদের কোন উপকার তো হয়েই না উল্টা ক্ষতি হয়ে থাকে৷
কালকে বাজারে গিয়েছিলাম সকাল বেলা৷ বাজারে মূলত গেছিলাম চাল কিনতে৷ তো পাঁচমাথা রাস্তার মোড়ে এক ছেলেকে দেখলাম লেবুর সরবত বিক্রি করতেছে৷ সে দুই চাকাওয়ালা একটি কাঠের ঠেলা গাড়িতে করে লেবুর সরবত বিক্রি করতেছিলো৷ তার গাড়িতে অনেক গুলো লেবু রাখা ছিলো৷ একটি ফিল্টারে পানি রাখা ছিলো৷ কালকে প্রচুর গরম ছিলো৷ লোকজন মনে হচ্ছিলো দোকানে বসেই অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিলো৷ তাই অনেকেই তার কাছে থেকে লেবুর সরবত খাচ্ছিলেন৷ আল্লাহ প্রত্যেকটি মানুষের রিযিকের ব্যবস্থা করে দেন৷ গরম বেশি তাই এই পেশার লোকগুলো এখন ভালো ব্যবসা করতে পারতেছেন৷ আল্লাহ কখন কাকে কোন অছিলায় খাবার খাওয়ান সেটা তিনি ছাড়া কেউ ভালো জানেন না৷
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
প্রচন্ড এই গরমে শরীরকে সতেজ ও শীতল রাখতে লেবুর শরবত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। লেবুর শরবত বিক্রির দোকান এখন সচরাচর সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/MDToufiqurRah/status/1692401736064119260?t=0CWgBtHaSDQl9R170AuOkA&s=19
এখন প্রায় প্রতিটি বাজারে এরকম লেবুর শরবত বিক্রেতাদের দেখা যায়। অনেক সময় অতিরিক্ত গরম সহ্য না করতে পেরে, এরকম লেবুর শরবত মানুষ খেয়ে থাকে। সাময়িক সময়ের জন্য লেবুর শরবত ভালো লাগলেও, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানোর কারণে শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের এইসব খাবার থেকে বিরত থাকাই ভালো। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু মেসেজ দিছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ভাইয়া এখন যে পরিমাণে রোদ এবং গরম এই গরমের সময় প্রত্যেকটি বাজারে প্রায় এরকম ভ্রাম্যমান সরবত বিক্রেতা দেখা যায়। এবং মানুষ এই গরম সহ্য করতে না পেরে এই সরবত খেয়ে একটু আত্মাটাকে তৃপ্তি দেয়। এবং আপনি এই ভ্রাম্যমাণ সরবত বিক্রেতার অনেক সুন্দর একটি বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্ষাকাল হওয়া সত্বেও আমাদের দেশে কোথাও বৃষ্টির কোন খবরেই ছিল না। আর এই প্রচন্ড গরমে এরকম এক গ্লাস লেবু শরবত হলে শরীর একদম চাঙ্গা হয়ে যায়। এরকম ভ্রাম্যমান লেবুর শরবতের দোকান গুলো প্রায় শহরে দেখা যায়। যেদিন প্রচন্ড গরম হয় সেদিন এই লেবুর শরবতের চাহিদা বেশি থাকে। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ
আপনি একদম ঠিক বলেছেন, এবার বর্ষাকালেও প্রচন্ড গরম ছিল ,কোন রকমের বৃষ্টি ছিল না। তার কিছুদিন পরেই সিলেট বন্যার যে করুন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছে তা আসলে দুঃখজনক। আল্লাহ সবাইকে হেফাজতে রাখুক। এ প্রচন্ড গরমে ঠান্ডা পানি সংযোগে লেবুর শরবত আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
Thank you
আমাদের শহর দিনাজপুরে আগে এই ভ্রাম্যমান শরবতের দোকান গুলো দেখা যেত না। তবে বর্তমানে এগুলো খুবই চোখে পড়ছে, বাহিরে বের হলে রাস্তায় রাস্তায় এই ভ্রাম্যমান শরবতের দোকান দেখা যাচ্ছে । যদিও তাদের কাছ থেকে শরবত কিনে পান করিনি আমি এখন পর্যন্ত । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ
বর্তমান যে গরম।এই গরমের জন্য এক গ্লাস লেবুর শরবত খেলে,মনে হয় অনেক টা শান্তি পেয়েছি।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনি ঠিক বলছেন প্রায় ১ মাস ধরে কোন অঞ্চলে বৃষ্টি ছিল না। ৫-৬ দিন আগে কম বেশি সব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ২-৩ দিন ধরে প্রচুর রোদ আর গরম থাকার কারনে কারেন্ট যাওয়া আসা করতেছে। আপনি সুন্দর লেখছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
লেবু শরীরের জন্য বেশি উপকার। প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে লেবু শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ করে। লেবুর শরবত শরীরের ক্লান্তি দূর করে। তবে এ সমস্ত ভ্রাম্যমান শরবতগুলা স্বাস্থ্য সম্মত কিনা তা আমার জানা নেই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
ধন্যবাদ