পুরানো দিনের সেই চিরচেনা কাঠি আইসক্রিম
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
বর্তমানে বাংলাদেশে হরেকরকম আইসক্রিম পাওয়া যায়৷ একেক আইসক্রিম এর একেক রকম স্বাদ। ২০ বছর আগেও বাংলাদেশের একমাত্র আইসক্রিম কোম্পানি ছিলো ইগলু। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির আইসক্রিম বাজারে বের হয়েছে৷ ২০ বছর আগে 'কোন' আইসক্রিম এর দাম ছিলো ২০-২৫ টাকা৷ এখন 'কোন' আইসক্রিম এর দাম হয়েছে ৫০-৬০ টাকা৷ তবে আগেকার 'কোন' আইসক্রিম এর কাছে এখনকার 'কোন' আইসক্রিম এর আকাশপাতাল পার্থক্য। দিন দিন আইসক্রিম গুলো তাদের মান হারাচ্ছে। হাজারো কোম্পানির ভিড়ে বাজারে টিকে থাকার জন্য কোম্পানি মালিকরা পণ্যের গুণগত মান না বাড়িয়ে বাজারে তাদের আইসক্রিমের সাপ্লাই কিভাবে বাড়ানো যায় সেটা নিয়ে বেশি ভাবছেন৷ আগে চকবার তেমন একটা পাওয়া যেত না৷ ইগলু কোম্পানির ভেনিলা ফ্লেবার এর বাটি আইসক্রিম বেশি পাওয়া যাইতো৷
 |
|---|
তবে আমাদের স্থানীয় কিছু আইসক্রিম কোম্পানির আইসক্রিম ছিলো। যা খেতে অনেক সুস্বাদু ছিলো৷ এ আইসক্রিম গুলো ১,২,৫,১০ টাকায় পাওয়া যাইতো। ৫ টাকার দুধের আইসক্রিম পাওয়া যেত৷ ঐ আইসক্রিমটি বেশি ভালো লাগতো৷ এক বার খেলে বার বার খেতে মন চাইতো৷ কিন্তু তখন ছোট ছিলাম৷ বাবা-মা যা কিনে দিত ঐটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা লাগতো৷ ১ টি বা ২ টির বেশি খাওয়া হইতো না৷ বেশি খেলে ঠান্ডা লাগবে এটি একটি কমন ডায়লগ ছিলো তখন আমাদের বাবা-মা এর৷ আগে কার আইসক্রিমের সেই স্বাদ এখন হারিয়ে গেছে৷ এখন আমাদের কাছে টাকা আছে কিন্তু আইসক্রিম এর সেই স্বাদ নেই৷ এখন একবার খাইলে দ্বিতীয় বার আর ছুয়েও দেখতে মন চায় না৷
 |  |
|---|
কিছুদিন আগে সোহান ভাতিজের বাড়ির সামনের এক দোকান থেকে ৫ টাকা দিয়ে একটি কাঠি আইসক্রিম কিনেছিলাম। প্রথমে ভাবছিলাম ভালোয় লাগবে হয়তো খেতে৷ পুরানো দিনের সৃতি চোখের সামনে চলে এসেছিলো৷ আগে বাটিতে করে এই আইসক্রিম গুলো খেতাম যেন পানি নিচে পরে না যায়৷ যাই হোক আইসক্রিম খেয়ে বুঝলামই না এতে দুধ দেওয়া না পানি দেওয়া 😐। আইসক্রিমের মাথায় হালকা নারিকেল দেওয়া ছিলো৷ ৫ টাকার আইসক্রিমে আমার মনে হয় ওরা বেশিই নারিকেল দিছে৷ যে দুধ, নারিকেল আর চিনির দাম এখন৷ ৫ টাকায় যে এই আইসক্রিম পাওয়া যায় এটাই তো কপাল৷ ৫ টাকার এই আইসক্রিম যে তিতা লাগে নাই এটাই কপাল 😎। খাওয়া যে গেছে এটাই শুকরিয়া৷
 |
|---|
অনেক দিন পর কাঠি আইসক্রিম খেয়ে ভালোই লাগলো৷ শেষ ৫ বছর আগে গোপালগঞ্জে গিয়ে হয়তো খেয়েছিলাম৷ গ্রামে অনেক আইসক্রিম বিক্রেতা দেখা যায়৷ যারা পাড়া মহল্লা ঘুরে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করে থাকেন৷ শহরে সেটা দেখা যায় না৷ তাই আমার খাওয়াও হয়ে উঠে না৷
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
কাঠি আইস্ক্রিম ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি,বিভিন্ন ধরনের পাওয়া যেত দুধের তৈরি,নারিকেল দেয়া,বিভিন্ন রংয়ের।যার দাম ১-৫টাকা ছিল সে সময়।আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন,ফটোগ্রাফিও সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you
Thank you
আইসক্রিম ছোট বেলায় অনেক খেতাম। তখন ১ টাকা দিয়ে নারিকেল আইসক্রিম পাওয়া যেতো। ধান দিয়ে এবং কি সুপারি দিয়ে আইসক্রিম কিনে খেতাম। কাটি আইসক্রিম এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের স্মৃতি মনে পরে গেলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
কাঠি আইসক্রিম আমি প্রায় ২-৩ বছর পর সেদিন খেয়েছিলাম। কিন্তু আইসক্রিমের মধ্যে যে স্বাদ আগে ছিল তার এক সুধ পরিমান ও তা ছিল না। খেতে কেমন জানি লাগছিল। কাঠি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ
আগের দিনের কাঠির ১ টাকার আইসক্রিম গুলোর কথা মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে।যখন আইসক্রিম ওয়ালা আসতো তখন বাড়িতে চাল চুরি করে এনে আইসক্রিম খেতাম।ছবি গুলো অনেক সুন্দর করে তুলেছেন।অসাধারণ একটি পোস্ট করে শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ
গ্রামে গ্রামে এখনো কিছু আইসক্রিম
বিক্রেতা এই কাঠি আইসক্রিম গুলো সাইকেলে করে ঘুরে বিক্রি করে বেড়ায়। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ,দিন দিন আইসক্রিমের গুণগত মান কমে যাচ্ছে। ছোটবেলায় আমি প্রচুর কাঠি আইসক্রিম খেয়েছি। এখনকার আইসক্রিমে আর ওই স্বাদ পাইনা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপনি।২/৫ টাকার আইসক্রিম খাওয়ার মজাই আলাদা।আইসক্রিম ওয়ালা বাইরে আসলেই আইসক্রিম খাওয়ার জন্য ছুটে যেতাম তার কাছে।মায়ের কাছ থেকে দুই টাকা বা পাঁচ টাকা নিয়ে যেতাম আইসক্রিম নেওয়ার জন্য। গ্রামীণ অঞ্চলে এই কাঠের আইসক্রিম গুলোর কদর সবথেকে বেশি ছিল সে সময়।দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/MDToufiqurRah/status/1690572751994777600?t=ICr8ByhVdyrzLfr975Z7-Q&s=19
ভাতিজ আবার আইসো এইল্লা আইসক্রিম তোমাক আবার খিলাইম। সেই মজা।
মজা নাই 😐