গ্রামের মানুষের জনপ্রিয় একটি খাবার চালের গুড়া
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777
আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।
আমাদের গ্রামাঞ্চলে নানান ধরনের খাবার আমরা লক্ষ্য করে থাকি৷ গ্রামের খাবার গুলো বহুযুগ আগে থেকেই প্রচলিত গ্রামে৷ আমার দাদা পরদাদীরা এই খাবার গুলো তৈরি করতেন৷ তবে বর্তমানে এই খাবার গুলোর প্রচলন কমে গেছে৷ আগে গ্রীষ্ম কালে নানিবাড়িতে বেড়াতে যেতাম৷ স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি দিতো তখন৷ এসময় নানিবাড়িতে আম, কাঁঠাল, জাম ও লিচু খেতে যেতাম৷ আমার নানিবাড়িতে প্রচুর কাঁঠাল গাছ ছিলো৷ আমার নানা লাগিয়েছিলেন৷ কাঁঠাল প্রায় প্রতিদিনই পাকতো৷ আমরা সে কাঁঠাল খাইতাম৷ গ্রামে চালের গুঁড়া দিয়ে কাঁঠাল খাওয়া হয়৷ চালের গুঁড়ার সাথে কাঁঠালের রোয়া মিশায় খেতে সেই লাগতো৷ তবে এখন আর এভাবে কাঁঠাল খাওয়া হয় না৷
চালের গুঁড়াকে অনেক জায়গায় ছাতু বলে। তবে আমাদের এলাকায় একে চালের গুঁড়া বলে৷ এটি একটি পুষ্টিকর খাবার৷ চালের গুঁড়া চিনি ও পানি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে৷ আমি প্রায় চালের গুঁড়া খেয়ে থাকি। আমার নানিবাড়িতে গিয়েছিলেন৷ নানি বাড়ি থেকে চালের গুঁড়া নিয়ে এসেছিলেন৷
চালের গুড়া মূলত তৈরি করা হয় চাল থেকে৷ মোটা ও চিকন যেকোন চাল দিয়েই চালের গুঁড়া তৈরি করা যায়৷ তবে মোটা চাল বেশি ব্যবহার করা হয়। চাল প্রথমে ভাজতে হয়। এর পর সেগুলো গুঁড়া করতে হয়৷ চালের গুঁড়া তৈরি করা খুবই সহজ। তবে একটু পরিশ্রম করতে হয় গুঁড়া করার সময়৷ এখন আর চালের গুঁড়া তেমন খায় না গ্রামের মানুষ৷ আগে অপুষ্টি রোগ বেশি ছিলো গ্রামে৷ তখন ছোট বাচ্চাদের জন্য চাল, গম ও ভুট্টা দিয়ে এক ধরনের খাবার তৈরি করা হইতো৷ সেগুলো বাচ্চাদের খাওয়ায় অপুষ্টি জনিত রোগ থেকে বাঁচানো হইতো। এখন আর মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে না৷ আমাদের বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নত হয়ে গিয়েছে।
Vote for @bangla.witness
ধন্যবাদ
@toufiq777
আমাদের গ্রামে এই খাবারটিকে ছাতু বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা থেকে বাছাইকৃত বেশ কয়েকটি উপাদান একত্রিত করে বিভিন্ন উপায়ে গুঁড়া করে ছাতু তৈরি করা হয়। ছাতু অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। কিন্তু বর্তমান সময়ে ছাতু অনেকেই খেতে পছন্দ করে না। আমাকেও ছাতু খেতে ভালো লাগেনা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
আমাদের এলাকায় এই খাবারটিকে ছাতু বলা হয়, গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হল ছাতু। আপনি ঠিক বলেছেন ছাতু তৈরি করতে মোটা চাল সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয়।এটি চিনি দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। দারুণ উপস্থাপন করেছেন আপনি শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/MDToufiqurRah/status/1691697691527619050?t=RO8WuUnXkk0xmIV8kme5ew&s=19
Thank you
চালের গুড়াকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় ছাতু বলে। ঠিক বলেছেন ভাই, ছাতুর সাথে কাঁঠাল দিয়ে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আমি মাঝে মধ্যেই এই ছাতু খেতাম দুধ - চিনি মিশিয়ে আমার কাছে অসাধারণ লাগতো। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
এক সময় গ্রাম অঞ্চলে চালের গুড়া বা ছাতু অনেক জনপ্রিয় খাবার ছিলো। কিন্তু বর্তমানে ছেলে মেয়েরা এখন এই খাবার খায় না। অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুকে সবথেকে বেশি ছাতু খাওয়ানো হতো। আমাদের বাড়িতে চাল ভাজা, ভুট্টা ভাজা এবং গম ভাজা একত্রে করে ছাতু করতো। মেলাদিন ধরে ছাতু খাওয়া হয় না ভাই। আপনার পোস্ট দেখে ছাতু খাওয়ার কথা মনে আসলো।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Thank you
এই চালের গুড়াকে আমাদের গ্রামে ছাতু বলে ডাকে। এই ছাতু তৈরি করা হয় চাল থেকে। চাল আগে কড়াইয়ে ভেজে নিয়ে পরে তা ঢেঁকিতে করে ভাঙ্গতে হয়। চালের গুড়া করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আগেরকার দিনে ছাতুর প্রচলন বেশি ছিল। আমারও অনেক ভালো লাগে খেতে।
ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আগে গ্রামে এসব চালের গুড়া যাকে বলা হয় ছাতু এগুলো বেশি প্রচলিত ছিল কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা এগুলো খায় না। তাই এগুলো আর দেখাও যায় না। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
এই চালের গুরাকে আমাদের এলাকায় ছাতু বলে রাখে। এখানে চাল গম ভুট্টা সহ আরো কিছু দিয়ে একত্রে ভাঙ্গে। আমিও কয়েকবার খেয়েছিলাম বাসায়। কিন্তু আমি খাওয়ার সময় একদম সু্প বানিয়ে খাই। আর সেখানে অধিক চিনি দেই তাই খেতে একটু ভালো লাগে। অনেকদিন হলো সেগুলো খাওয়া হয় না। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ