দিনাজপুর জেলার বিখ্যাত স্ট্রিটফুড ১ টাকার সিঙ্গারা
স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আশা করি সকলেই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল আছি। আজ আমি দিনাজপুর জেলার বিখ্যাত একটি স্ট্রিটফুড ১ টাকার সিঙ্গারা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সিঙ্গারা আমাদের দেশের অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। সিঙ্গারা খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমারও কিন্তু সিঙ্গারা অনেক পছন্দের।বাজারে মূলত বড় সাইজের সিঙ্গারা পাওয়া যায়। যেগুলোর দাম আগে ছিল ৫ টাকা,সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় সেগুলোর দাম এখন ১০ টাকা হয়েছে।তবে ১ টাকায় যে সিঙ্গারা পাওয়া যায় সে বিষয়টি আসলেই অবাক করার মত।এটি মূলত একটি মিনি সাইজের সিঙ্গারা। আর এই সিঙ্গারার স্বাদ অতুলনীয়।
এই সিঙ্গারা গুলো পাওয়া যাবে দিনাজপুর শহরে। আমি একটি কাজে শহরে গিয়েছিলাম আমার বান্ধবীর সাথে। তবে ওর মায়ের ওষুধ কেনার জন্য আমরা চারু বাবুর মোড়ের সেবা ফার্মেসিতে গিয়েছিলাম ওষুধ কিনতে। দিনাজপুর শহরের সেবা ফার্মেসী একটি নামকরা ফার্মেসি। এখানে বিভিন্ন দুর্লভ ওষুধও পাওয়া যায়।সেবা ফার্মেসি থেকে ২০ কদম এগিয়ে গেলেই দেখতে পাবেন একসাথে দুটি ভাজাপোড়া দোকান। এখানেই মূলত এই এক টাকার সিঙ্গারা পাওয়া যায়।তারা মূলত এই সিঙ্গারা গুলো গরম গরম বিক্রি করেন। অর্থাৎ ভেজে সাথে সাথেই বিক্রি করেন।এজন্যই এই সিঙ্গারার এত নাম ডাক। এই দোকানগুলোতে এই মিনি সিঙ্গারা গুলোর পাশাপাশি বড়া,চপ,ভেজিটেবল রোল এসব কিনতে পাওয়া যায়। ব্যস্ততার কারণে আমি দোকানটির ছবি তুলতে পারিনি। আসলে রাস্তায় বেরিয়ে কোন জিনিসের ছবি তুলতে একটু লজ্জা লজ্জা লাগে। কারণ অনেকেই দেখে হাসাহাসি করতে পারেন। তাই বাসায় এসে শুধু সিঙ্গারা গুলোরই ছবি তুলতে পেরেছি।
চারু বাবুর মোড় ছাড়াও এই সিঙ্গারা গুলো মালদাহ্ পট্টি সংলগ্ন চকবাজারেও এই সিঙ্গারা গুলো পাওয়া যায়। সেখানে সচিন নামে এক কাকার দোকান আছে। তিনি শুধু এই মিনি সিঙ্গারা ও নিমকি বিক্রি করেন। শহরের সবাই তাকে সচিন কাকা নামে চেনেন। তিনি নাকি একটানা ২৮বছর ধরে এই দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ফেসবুকে বিউটিফুল দিনাজপুর গ্রুপের একটি পোস্ট থেকে জানতে পারলাম যে,তিনি নাকি অনেকদিন যাবৎ তার দোকানে বসছেন না।এ নিয়ে অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করছেন।
এই সিঙ্গারা গুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে এগুলো দেখতে খুবই ছোট। কিন্তু এদের স্বাদ অতুলনীয়। এই সিঙ্গারার ভিতরে আলুর ভর্তার একটি পুর দেওয়া থাকে। গরম গরম খেতে এটি খুবই ভালো লাগে। আমি বেশ কয়েকবার এই সিঙ্গারা গুলো খেয়েছি। তবে আজ বাসায় সবার জন্য নিয়ে আসলাম। বাসার সবাই বললো যে খেতে অনেক ভাল।আমি আমার শহরের একটি বিখ্যাত জিনিস তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
---|---|
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
১ টাকার সিঙ্গারা কথা অনেক শুনেছি এবং টিভি নিউজ ও দেখেছি। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন আপু। চারু বাবুর মোড় এ এই সিঙ্গারা পাওয়া যায় আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
দিনাজপুর জেলায় চারু বাবুর মরে অবস্থিত এই এক টাকার সিঙ্গারার কথা আমিও শুনেছি। তবে কখনো এখানে যাওয়া হয়নি, এখানকার সিঙ্গারা খাওয়া হয়নি। সিঙ্গারা অনেকেরই পছন্দের একটি খাবার।অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
বাহ্ অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু।সিঙ্গারা কম বেশি সবাই পছন্দ করে।দিনাজপুর গেলে এই দোকানের সিঙ্গারা টেস্ট করবো।সিঙ্গারা গুলো দেখেই আমার জিভে জল চলে আসতেছে। আপনি সুন্দর ভাবে সিঙ্গারার বিস্তারিত আলোচনা করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ।
এক টাকার সিঙ্গারা ভাবতেই অবাক লাগছে।আমি ঢাকা শহরে ২.৫ টাকাট সিঙ্গারা খেয়েছি।দিনাজ পুরে অনেক বার গিয়েছিলাম কিন্তু কখনো এই সিঙ্গারার দেখি নাই।এবার গেলে অবশ্যই এই সিঙ্গারা খাব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1689279443213103104?t=jpYZ5Ce_upk7G7KthcpLkg&s=19
এই এক টাকার সিঙ্গারা অনেকবারই খেয়েছি বেশ সুস্বাদু লাগে আমাকে। ছোটবেলায় খেয়েছিলাম তারপর থেকে মন চাই শুধু খাওয়ার। যখন দিনাজপুরে আসি অনেকবার গিয়েছি সেখানে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ।
দিনাজপুরের ১ টাকার সিঙ্গারা অনেক বেশী জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত। যারা দিনাজপুর জন্মেছে এবং পড়াশোনা বা চাকুরীর কারণে দিনাজপুরের বাইরে অবস্থান করেন তারা সবচেয়ে বেশী মিস করে এসব খাবার। অনেকেই এই সিঙ্গারা নিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন এবং ইউটিউবে সেগুলো আপলোড করেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
আমি একবার বন্ধুর মুখে এই দোকানের কথা শুনে খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম বেশ মজাদার সিঙ্গারা। তবে এখন নাকি এই দোকানের সিঙ্গারা ৫ টাকা হয়েছে? ছবিতে অনেক বড় লাগতেছে বাস্তবে অনেক ছোট হয়ে থাকে। ২৮ বছর অনেক লম্বা সময় ধরে তিনি এ কাজ করতেছেন জেনে অবাক লাগলো।
না এখনও এক টাকা।
এমন মিনি সিঙ্গারা গুলো খেতে সত্যি অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়ে থাকে, তবে সচিন কাকা দোকানে না বসার কারণটা আমারও খারাপ লাগলো, কারণ ২৮ বছর ধরে যে মানুষ ব্যবসা করেছে হঠাৎ করে চলে গেলে মানুষের খারাপ লাগবেই, সিঙ্গারা সম্পর্কে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন আপু, বিশেষ করে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।