আকন্দ পাতার উপকারীতা ও এর ব্যবহার
স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ।আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি আকন্দ পাতার উপকারীতা ও এর ব্যবহার সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবার ভাল লাগবে।
আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা সবাই মোটামুটি আকন্দ গাছ চিনি।আকন্দ একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। আকন্দ গাছ খুব বেশি বড় হয় না। এ গাছের পাতাগুলো কিছুটা বড় আকৃতির হয়ে থাকে। এর পাতাগুলো দেখতে কিছুটা কাঁঠাল পাতার মত।পাতাগুলো ডালের সাথে আটকে থাকে।আকন্দ গাছে বা এর পাতার আঘাত দিলে দুধের মত আঁঠা বের হয়। এই আঁঠার ন্যায় পদার্থগুলো বেশ ভারী বা গাঢ় ধরনের হয়ে থাকে। এই গাছের ডালগুলো সাধারণত বেশি মোটা হয় না।
আকন্দ গাছ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি হল সাদা আকন্দ আর একটি হল বেগুনী আকন্দ। আমি যেই গাছটির ছবি তুলেছি সেটি বেগুনী আকন্দের।গাছের ডালের উপরের অংশে ফুল ফোটে। আকন্দ গাছে একসঙ্গে বেশি কয়েকটি ফুল ফোটে। আকন্দের ফুলগুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। এই ফুলগুলো থোকায় থোকায় ধরে থাকে। দুর্ভাগ্যবশত আমি আজকে গাছে কোনো ফুল দেখতে পাই নি।
আকন্দ গাছ এশিয়া মহাদেশে বেশি দেখা যায়। এই গাছগুলোকে রাস্তার ধারে বেশি দেখা যায়। তবে বাড়ির আশেপাশের বিভিন্ন পরিত্যক্ত জায়গায়ও এসব গাছের দেখা মেলে।আগে এই গাছগুলো প্রচুর জন্মাতো। কিন্তু এখন এই গাছগুলো খুবই কম দেখা যায়।উল্লেখ্য যে,আমাদের গ্রামে কোনও আকন্দ গাছ নেই।এখন এই গাছগুলোর সংখ্যা কমে যাওয়ায় কারণে অনেকেই আকন্দ গাছ চেনে না।গত শুক্রবার আমার ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ে ছিল।সেই সুবাদে আমার বড় ফুপির বাসায় যাওয়া। আমার ফুপির বাসা বড় হরিপুর মুন্সীপাড়া গ্রামে।আমার ফুপির বাসা খুবই মনোরম একটি জায়গা।তাদের বাড়ির বাইরে অনেক সুন্দর ঠান্ডা বাতাস।তাই আমরা বাতাস অনুভব করা জন্য ওদের বাগানবাড়িতে গিয়েছিলাম। তখনই আমি এই গাছগুলো দেখতে পেয়েছিলাম। ওদের বাসার পাশে যে আকন্দ গাছ আছে তা আমি আগে থেকেই জানতাম। আমার দাদীর যখন কোমরের ব্যাথা বেশি হত তখন আমরা ওদের বাসা থেকে আকন্দ পাতা এনে শেক দিতাম। আমাদের পাশের গ্রামেই ওদের বাসা হওয়ার কারণে খুব সহজেই আনা যেত।
আকন্দ গাছের ব্যাপক ঔষধীগুণ রয়েছে। ব্যাথানাশক হিসেবে এর পাতা ব্যবহার করা হয়।এমনকি গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথায় এর ছাইও ব্যবহার করা হয়।ব্যাথাজনিত ফোলা কমাতেও আকন্দ পাতা ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।হাঁপানী রোগেও এ গাছের অবদান রয়েছে। তবে এর ফুল ও পাতা দিয়ে নাকি বিষ তৈরী করা হয়। সুতরাং এ গাছ ব্যবহারে আমাদের সতর্ক হতে হবে।তবে গ্রামে এই গাছের পাতাকে প্রায় সবাই ব্যাথা হলে ব্যবহার করে।বর্তমানে বিভিন্ন পেইন কিলার ওষুধ ও মলম ব্যবহারের কারণে এসব প্রাকৃতিক ওষুধকে আমারা প্রায় ভুলতে বসেছি।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
---|---|
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
আকন্দ গাছ থেকে আকন্দ গাছের পাতা ছেড়ার পর যে সাদা রঙের যে কষ বের হত তা দেখে আমি ছোটবেলায় খুব ভয় পেতাম। আমার ধারনা ছিল এই রস হাতে পড়লে হাত ঝলসে যাবে। আকন্দ গাছ নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
টুইটার লিংকঃ
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1683066093429219328?t=8qLf7vCOWExPabYYHeY8ZQ&s=19
আকন্দ পাতার উপকারীতা ও এর ব্যবহার নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন। এই গাছ অনেক দেখেছি। কখনো বুঝতে পারেনি এই গাছের এত উপকারিতা রয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইল
আপনাকেও ধন্যবাদ।
আকন্দ পাতার বেশ উপকার রয়েছে, ব্যাথা নাশক হিসেবে অনেক উপকারী। আমার আঙ্কেলের পা ভেঙ্গে গিয়েছিল। আকন্দ পাতা দিয়ে ছেক দেওয়ার ফলে ব্যাথা অনেক কমেছে। সুন্দর লিখছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অযত্নে বেড়ে উঠা এই আকন্দ গাছ অনেক উপকারী। আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে এই গাছের উপকারিতা গুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন আপু। হয়তো অনেকেই নতুন কিছু জানতে পারলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
আকন্দ পাতার উপকারীতা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন। আমার দাদি ও মাঝে মাঝে ব্যাথার জায়গায় আকন্দ পাতার শেক দেয়।ধন্যবাদ আপু আকন্দ পাতার উপকারীতা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ।
আকন্দ পাতার উপকারিতা ও এর ব্যবহার সম্পর্কে খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আমি আগে এই আকন্দ পাতা সম্পর্কে এতো কিছি জানতাম না। তবে জানি যে এটা একটি ঔষধি গাছ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বায়ুনাশক, উদ্দীপক, পাচক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক, বিষনাশক, ফোলা নিবারক। আরে এই গাছটি আমাদের আশপাশেও অযত্নে বেড়ে উঠতেছে। আমাদের গ্রামে গাছ গাছড়ার ঔষধ তৈরি করার জন্য একটা দাদা রয়েছে। আকন্দের শুকনা পাতা গুরু করে কাগজে করে আগুন লাগিয়ে দিয়ে টান মারলে এর ধোয়া হাঁপানির মহা ঔষধ। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, দেশ অন্যত হচ্ছে আর আমাদের প্রাকৃতিক অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে, আমিও আগে এই গাছ গুলো খুবই দেখতাম কিন্তু এখন আর চোখে পরে না, তবে বাব দাদারা এখনো ব্যাথার জন্য মাঝে মাঝে এসব ব্যবহার করতে দেখি, আপনার পোস্টি পরে অনেক ভালো লাগলো আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের এলাকায় কারো কোমরে বা হাটুতে ব্যাথা হলে সেখানে বালা গরম করে আকন্দ পাতা দিয়ে স্যাক দিলে নাকি ভালো হয় আমি কখনো এই ট্রিটমেন্ট দেখিনি শুধু শুনেছি।
ধন্যবাদ।