প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন
প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আমার ছালাম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই বোনদের আন্তরিক শুভেচছা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন নিয়ে আমার আজকের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।
মিষ্টি হলো ময়দা,দুধ,চিনি দিয়ে তৈরি এক প্রকার খাবার।বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে মিষ্টি একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রগৈতিহাসিক যুগ ধরে। মিষ্টি ছাড়া বাঙালির কোনো অনুষ্ঠান চিন্তা করা যায় না।জন্মদিন,বিয়ে, নববর্ষ,পরিক্ষায় পাশ, আকিকা সকল অনুষ্ঠানে মিষ্টি ছাড়া যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার এসব দেশের বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে মিষ্টির প্রচলন আছে। মিষ্টির চাহিদার ভিত্তিতে প্রচলন রয়েছে বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি। যেমন কালোজাম,চমচম, রসগোল্লা, সন্দেশ, কাঁচাগোল্লা,লাড্ডু, বরফি ইত্যাদি আরো কতো রকমের মিষ্টি। আমার জানামতে লাড্ডু থেকেই মিষ্টির সৃষ্টি হয়েছে। প্রকারের ভিত্তিতে আবার স্বাদেরও ভিন্নতা রয়েছে। একেক মিষ্টির স্বাদ এক ও অনন্য।ব্যপক চাহিদার জন্য রয়েছে ছোটবড় বিভিন্ন অভিজাত মিষ্টিন্ন ভাণ্ডার ও রেষ্টুরেন্ট। এসব দোকানে ক্রেতাদের চাহিদার ভিত্তিতে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন নামি-দামি মিষ্টি। ব্যপক চাহিদার জন্য তারা ব্যপকভাবে লাভবান হয়।মিষ্টির নাম শুনলেই বাঙালিদের জিভে পানি চলে আসে।আসলে এটা জিভে পানি চলে আসার মতোই একটা ব্যাপার। মিষ্টি বাঙালির হৃদয়ে একটা পাকাপোক্ত স্থান দখল করে নিয়েছে,যেটা তারা কখনোই মুছে ফেলতে পারবে না।চিরকাল এ মায়া থেকেই যাবে আমাদের হৃদয়ে।
কিছু মিষ্টির ছবির দৃশ্য
বাঙালির সাথে মিষ্টির রয়েছে এক নিবিড় প্রেম।এই প্রেম অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।এটা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। পূর্বে দুধের ছানা ছিল পরিত্যক্ত অংশ। এটা ফেলে দেওয়া হতো।পরে বাঙালিরা ছানার সঙ্গে ময়দা ও চিনি মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করে। যার পরে ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। যেটা এখন বাঙালির মনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে। মিষ্টি ছাড়া বাঙালির আতিথীয়তার ষোলকলা পূর্ণ হবে না।
মিষ্টি ও দই পরস্পরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। দই ছাড়া মিষ্টির স্বাদ পরিপূর্ণ রুপে উপলব্ধি করা যায় না,।দই ও মিষ্টি পরস্পরের ওমর সঙ্গী । বলা হয়ে থাকে ভাল মন্দ খাবারের পরে দই লাগবেই কারন এটি হজম করতে সহায়তা করে। দই যে কোন অনুষ্ঠানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। দই ছাড়া যেন অনুষ্ঠান পরিপূর্ণতা পায় না। বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন ঈদ,বিয়ে,আকিকা ও হালখাতাসহ যে কোন অনুষ্ঠানে দই ছাড়া অপরিপূর্ণ থেকে যায়। অতিথি আপ্যায়নের তালিকায় দই থাকাটা ঐতিহ্যের অংশ বিশেষ।
পরিশেষে বলব প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহ -ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন নিয়ে আমার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ। মিষ্টি ছাড়া বাঙালির কোন অনুষ্ঠানে পরিপূর্ণতা আসে না। মিষ্টি ও দই বাঙালির সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
- লোকেশনঃ ভবের বাজার, পার্বতীপুর,দিনাজপুর
- ফটোগ্রাফারঃ@tamannafariah
- ক্যামরাঃ রেডমি ১০ সি
মিস্টি খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে, আমিও মিস্টি জাতিয় জিনিস খুব পছন্দ করি। তবে কয়েক বার আমি ছানার বর্ফি খাইছি বেশি খাওয়া হয় নাই। আপনার প্রতিটা ছবি আমার কাছে সুন্দর লাগছে।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য
আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুরুতে বরফি দেখেছি এটি আমার খুব পছন্দের মিষ্টি। এটি খেতে খুব সুস্বাদু৷আপনার পিক গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। খুব সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি।
বরফি আমার ও খুব পছন্দের।সুন্দর এই মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মিষ্টি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। মিষ্টি দেখে জিবে জল চোলে আসল। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন আপু। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি। ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইল আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য💝
মিষ্টি নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমিও একটি পোস্ট লিখছি। আমি ছানার বরফি নিয়ে লিখছি । ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইল 💝
মিষ্টি সবাই খেতে বেশ পছন্দ করেন। আপনি বেশ চমৎকার তুলেছেন মিষ্টির ছবিগুলো। মিষ্টি আমাদের দেশের একটি বিশেষ ঐতিহ্য বাহী খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
হ্যা আপনি ঠিক বলেছেন, সবাই মিষ্টি খেতে ভালোবাসে।আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল।
আমার মিষ্টি খেতে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে মালাই চপ। আপনার মিষ্টি গুলো খুবই লোভনীয় ছিলো। অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন। অনেক ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো এবং অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি অনেক সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন।কমেন্ট পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য 😊
ছানার বর্ফি খেতে অনেক মজা লাগে। খির চমচম কখনো খাইনি। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহে ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন নিয়ে পোস্ট করেছেন। বাঙালির সাথে মিষ্টির রয়েছে এক নিবিড় প্রেম এটা অস্বীকার করার মত কিছু নয়। কারণ যুগ যুগ থেকেই মিষ্টির সাথেই প্রেমটা চলে আসছে। অনুষ্ঠান মানেই মিষ্টি। বিয়ে সংক্রান্ত অনুষ্ঠান হলে তার কোন কথাই নেই। ছেলে মেয়ে উভয়ের পছন্দ হলে এবং দুই পরিবারের সম্মতি থাকলে সবাই বলে শুভ কাজে দেরি করতে নেই আগেই মুখ মিষ্টি করেন। অর্থাৎ মানে দাঁড়ালো দাম্পত্য জীবনে শুরুই হলো মিষ্টি দিয়ে।
প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহ ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন নিয়ে আপনি খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক ভালো এবং উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে।
ছানা দিয়ে বানানো মিষ্টি অনেক মজার হয়ে থাকে। বিশেষ করে ছানার বর্ফি অনেক মজার। আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার ছানার বর্ফি। এটি সকল বয়সের মানুষ অনেক মজা করে খেতে পারে। তুলনা মূকল ভাবে বলা যায় আগের থেকে অনেক দাম বেড়ে গেছে। চিনির দাম বাড়াই সকল প্রকার মিষ্টির দাম বেশি। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।
আমি মিষ্টি খাবার খেতে অনেক পছন্দ করি ।মিষ্টি অনেকেই খেয়ে থাকে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছেন। ছবি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।