বাঙালির অতিপরিচিত একটি খাবার সামুচা
স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আশা করি সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি বাঙালির অতি প্রিয় একটি খাবার সামুচা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবার ভাল লাগবে।
বলা হয়ে থাকে,বাঙালিরা ভোজনরসিক। বাঙালিরা খেতে খুবই পছন্দ করে। আর সেগুলো যদি হয় ভাজাপোড়া তাহলে তো কোনো কথাই নেই।আসলেই আমরা সাধারণত খাবারের থেকে ভাজাপোড়া একটু বেশি পছন্দ করি।আমাদের দেশের অলিতে গলিতে অনেক ভাজাপোড়ার দোকান রয়েছে।যেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া পাওয়া যায়।তবে দোকান গুলো তেমন বড় না। যেমন:সিঙ্গারা,সামুচা,চপ,বড়া,পিঁয়াজি,পাঁপড়,মোগলাই পরোটা,চিকেন ইত্যাদি।আর দোকানগুলোতে এগুলোর চাহিদা অনেক বেশি।তৈরী করার সাথে সাথে এগুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। আজ আমি আলোচনা করব সামুচা নিয়ে।
সামুচা হল একটি পেস্ট্রি জাতীয় খাবার।এটির আকৃতি হল ত্রিকোণাকার।এর উপরে ময়দার একটি পাতলা আবরণ থাকে এবং এর ভিতরে সবজি বা মাংসের কিমার পুর দেওয়া থাকে। এতে মসলা হিসেবে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়।ভেজে নেওয়ার পর এটি বেশ মুচমুচে হয় এবং গরম গরম খেতে এটি বেশ মজাদার।এটি মিষ্টি ও ঝাল স্বাদের একটি খাবার। তবে আমাদের এলাকায় মাংসের কিমার পুরের পরিবর্তে চিড়া ব্যবহার করা হয়।
সামুচা তৈরীর প্রধান উপকরণ হল ময়দা।সামুচা তৈরীর জন্য প্রথমে এর পুর তৈরী করে নিতে হয়।এজন্য প্রথমে মাংসের কিমা নিতে হবে।এরপর কিমাগুলো পেঁয়াজ,রসুন,মরিচ ও মসলা দিয়ে রান্না করে নিতে হয়।এরপর উপরের আবরণ তৈরী করার পালা।এজন্য প্রথমে ময়দায় পানি মিশিয়ে ডো তৈরী করা হয়। এরপর লম্বাটে আকৃতির রুটি তৈরী করে নিতে হয়। এরপর রুটিটিকে তিনকোণা শেপে ধরে এর মধ্যে পুর ঢুকিয়ে দিয়ে হবে।এরপর ময়দা পানি সহকারে গুলিয়ে আঠালো পদার্থ তৈরী করা হয়। এবং এই আঠালো পদার্থগুলো লাগিয়ে দিয়ে রুটির শেষ অংশে লাগিয়ে জোড়া লাগানো হয়। এরপর কড়াই চুলোয় বসিয়ে তেল গরম করে নিতে হবে।তেল গরম হয়ে এলে সামুচাগুলো ছেড়ে দিতে হবে এবং লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে। ব্যাস তৈরী হয়ে গেল সামুচা।
সামুচা মূলত সকাল বা বিকেলের নাস্তা হিসেবে খাওয়া হয়।সস সহকারে খেলেও এটা বেশ ভাল লাগে।সামুচার উৎপত্তি মূলত ভারত উপমহাদেশে। বাংলাদেশ, ভারত,পাকিস্থান ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এটি একটি বেশ জনপ্রিয় খাবার।বাংলাদেশে এগুলো বিভিন্ন হোটেলে বা ভাজাপোড়ার দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। বর্তমানে এর মূল্য ১০ টাকা করে পার পিস।
সামুচা খেতে আমার খুব ভাল লাগে।এমনকি আমার পরিবারের সবাই এটা খুব পছন্দ করেন।তবে এই ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারগুলো আমাদের বেশি না খাওয়াই ভাল।এগুলো আমাদের পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ যাতে এটা খেয়ে আমাদের কোনও ক্ষতি না হয়।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
---|---|
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
সমুচা খেতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। আপনি যদি এখন দিনাজপুর শহরে থেকে থাকেন তবে আমি বলব লিলির মোড়ে হাজী বিরিয়ানির পাশে যে দোকানে সমুচা, পুরি,সিঙ্গারা বিক্রি হয় তা একবার হলেও খেয়ে দেখতে। দিনাজপুর শহরের বেস্ট সমুচা বিক্রি করা হয় এখানে। তবে চেষ্টা করবেন বিকেল চারটা থেকে পাঁচটার মাঝখানে যাওয়ার জন্য তা না হলে এখানে গিয়ে আর খাবার পাবেন না। এই দোকানের সমুচার চাহিদা অনেক বেশি।
আপু ওখানকার আলুর পুরি খেয়েছি।
এইসব খাবারগুলো আমার প্রিয় আপু। এসব ভাজাপোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে সমস্যা কিন্তু বাঙালিরা সত্যিই অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন, আপনি ঠিকই বলেছেন সামুচার মূল উপাদান হল ময়দা। এছাড়োও আপনি সামুচা সম্পর্কে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
গরম গরম সামুচা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে এর উপরের আবরনের থেকে ভিতরের পুরটি আমার বেশি পছন্দের।সকাল কিংবা বিকেলের নাস্তায় আমরা সামুচা খেয়ে থাকি।আপনি ঠিকই বলেছেন আপু এই ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারগুলো আমাদের পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপু সামুচা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
ভাজাপোড়া খাবার খেতে আমার কাছে অনেক সুস্বাদু লাগে। সামুচা আগে স্কুলে গেলে ক্যান্টিন এ খেতাম। অনেক সুস্বাদু লাগতো। গরম গরম সামুচা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন আপু। সামুচা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সামুচা নিয়ে এতো সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
সামুচা আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। আপনি ঠিক বলছেন বাঙালী জাতিরা ভাজা পোড়া খাবার বেশি পছন্দ করে।আপনি দারুণ ভাবে সামুচা কি ভাবে তৈরি হয় তার বিস্তারিত বর্নণা করছেন।সব থেকে মামুচার ভিতরে যেটা থাকে সেটা খেতে খুব মজা লাগে।আপনি সুন্দর লেখছেন আপু।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। সামুচা কমবেশি সবাই পছন্দ করে। কিন্তু আমার কাছে সামুচা এর থেকে সিঙ্গারা বেশি পছন্দের। তবে মিষ্টি ও ঝাল স্বাদের এই খাবারটি আমাদের বাজারের হোটেল গুলোতে দশ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1690714297356402688?t=oryodTkFzrue7PN4AqgWlQ&s=19
সামুচা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। সামুচার ভিতরে থাকা ঝাল মিষ্টির নিরামিষ খেতে আমার অনেক মজা লাগে। অনেক জনপ্রিয় ভাজাপোড়া খাবারের মধ্যে সামুচা একটি জনপ্রিয় খাবার। আমাদের এলাকায় এর মূল্য ১০ টাকা নেয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি খাবার নিয়ে লেখার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভেতরে ভাজা চিড়ে দেওয়া সমুচা খাওয়ার মজাই আলাদা। বাজারে গেলে প্রায় এই সমুচা খাওয়া হয়।আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রকার সমুচা পাওয়া যায়।ঝাল সমুচা মিষ্টি সমুচা ইত্যাদি তবে আমাকে ঝাল সমস্যা সব থেকে বেশি ভালো লাগে।সমুচি সম্পর্কে দারুণ লিখেছেন আপনি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।