শৈশবে আইসক্রিম খাওয়ার মজার স্মৃতি
স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা।কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আজ আমি গ্রামের একজন আইসক্রিমওয়ালা ও আমার কিছু স্মৃতি শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবার ভাল লাগবে।
আমরা ছোটবেলায় কেউ আইসক্রিম খাইনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আইসক্রিম আমাদের সবার প্রিয়।তবে শহরের ও গ্রামের আইসক্রিমের মধ্যে অনেক বড় একটি পার্থক্য রয়েছে। শহরের আইসক্রিমগুলো থাকে প্লাস্টিকের বাটির মধ্যে। এগুলো অনেক কোমল ও নরম হয়ে থাকে।আর এগুলো সহজে গলেও যায়।কোনও কোনও আইসক্রিম আবার কাগজে মোড়ানো কোণ আকৃতির হয়ে থাকে। এগুলোকে কোণ আইসক্রিম বলা হয়। শহরের আইসক্রিমগুলোতে উন্নতমানের কিছু ফ্লেভার যুক্ত করা থাকে।যেমন:মিল্ক,ভ্যানিলা,চকলেট,স্ট্রবেরী ইত্যাদি ফ্লেভার।কিন্তু গ্রামের আইসক্রিমগুলো সম্পূর্ণভাবে আলাদা।এগুলোর আকৃতি হয়ে থাকে চারকোণা,লম্বাটে।তবে আগে খাটো ও গোলাকৃতিরও আইসক্রিম পাওয়া যেত। এগুলোতে বিশেষ কোনও ফ্লেভার যুক্ত করা থাকে না। তবে কোনও কোনও আইসক্রিমে আম,লিচু আর লেবুর স্বাদ পাওয়া যায়। এগুলোতে রং দিয়ে বিভিন্নভাবে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়।যেমন চারকোণা একপ্রকার আইসক্রিমের একপাশে হলুদ রং ও একপাশে সবুজ রং দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়। যেগুলোকে আমরা সকাল-বিকাল আইসক্রিম বলি।
যাহোক শহরের আইসক্রিমের কথা বাদ দেই।কারণ আমরা গ্রামে থাকি।তবে গ্রামের বাজারগুলোতেও এখন ভাল মানের আইসক্রিম পাওয়া যায়।যারা আইসক্রিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের আইসক্রিমওয়ালা বলে।আমাদের পার্বতীপুর উপজেলায় বেশ কিছু আইসক্রিমের ফ্যাক্টরি আছে।তাদের মধ্যে বিউটি সুপার আইসক্রিম, আনারকলি ও নুরী আইসক্রিম অন্যতম।মূলত এসব ফ্যক্টরির আইসক্রিম বেশি পরিচিত আমাদের এলাকায়।আইসক্রিমওয়ালারা এসব ফ্যক্টরি থেকে আইসক্রিম সংগ্রহ করেন।এজন্য তাদের নাকি সিজনের আগেই টাকা জমা দিতে হয়।এরা মূলত একটি বাক্সে করে বিক্রি করেন।এই বাক্সের নিচে বরফ দেওয়া থাকে যাতে আইসক্রিম গলে না যায়।তিনি একটি পিতলের ঘন্টা ব্যবহার করেন।ঘন্টার টিং টিং টিং শব্দে সবাই বুঝতে পারেন যে আইসক্রিমওয়ালা এসেছে।তবে এখন অনেকে মাইক দিয়ে গান বাজিয়ে প্রচারণা করেন।এরা মূলত সাইকেল বা ভ্যানে করে এসব আইসক্রিম বিক্রি করে থাকেন।
আগে নারিকেল দিয়ে তৈরী একটি আইসক্রিম পাওয়া যেত। এগলোর উপরিভাগে কুরিয়ে নেওয়া নারিকেল দেওয়া থাকত।আইসক্রিমগুলো সাদা রঙের ছিল।এগুলোকে নারকেলী আইসক্রিম বলা হয়।আমি ছোটবেলায় ১ টাকা দিয়ে এই আইসক্রিম খেতাম।এখন এগুলোর দাম ৫ টাকা।তবে আগের মত আর স্বাদ নেই।এখন পানসে পানসে লাগে।আগে আমরা স্কুলে গিয়ে আইসক্রিম খেতাম।সেগুলো আমাদের সোনালী স্মৃতি। এখন আর সেই দিনগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
---|---|
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
টুইটার লিংক
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1680615342677303297?t=oGigP_LIX3B09Stqpfirdw&s=19
ছোটবেলা থেকেই আইসক্রিমগুলো দেখে আসছি। আমি বেশ এই আইসক্রিমগুলো খাই এবং ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে দেই।আমার ভালই লাগে আইসক্রিমগুলো। কিন্তু শহরের বাটিতে দেখা আইসক্রিম গুলো খাওয়া মাত্র বিলাসিতা।
ধন্যবাদ।
নারকেলের আইসক্রিম,দুধের আইসক্রিম এই আইসক্রিম গুলো গ্রামেগঞ্জে এসব দোকানদার নিয়ে বেড়াতো এবং ছোট বাচ্চাদের খুব কম দামে দুই টাকা, তিন টাকা ,পাঁচ টাকা, দশ টাকা দামের বিক্রি করতো। তবে বর্তমানে আইসক্রিমের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু ছোটবেলায় স্মৃতি নিয়ে ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্কুলে পড়ার সময় এরকম আইসক্রিম ওয়ালার কাছ থেকে অনেক আইসক্রিম কিনে খেয়েছি। তখন পঞ্চাশ পয়সা এবং এক টাকা দিয়ে আইসক্রিম কিনে খেতাম। আমার কাছে এখনকার আইসক্রিমের চেয়ে আগের আইসক্রিম গুলোই বেশি ভালো লাগতো। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপু।শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় আমিও এইরকম আইসক্রিম ওয়ালার কাছ থেকে ১ টাকা দামের আইসক্রিম খেয়েছি। এগুলোর দাম এখন বেড়ে গিয়ে ৫ টাকা হয়েছে কিন্তু স্বাদও আগের মতো নেই। আইসক্রিম খাওয়ার স্মৃতি নিয়ে সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
আগেকার সময়ে নারিকেল দেয়া আইসক্রিম খেতাম বেশ ভাল লাগতো। নারিকেলর আইসক্রিমের মূল্য ছিল ১ টাকা করে। আর বর্তমান সময়ে এই নারিকেলের আইসক্রিম খুব কমই দেখা যায়। নারিকেলের আইসক্রিম গুলোর রঙ ছিল সাদা। আপনার আইসক্রিমের পোস্ট দেখে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
ধন্যবাদ।
শৈশবের প্রিয় জিনিসগুলোর মধ্যে আইসক্রিম অন্যতম। ছোট বেলায় ধান দিয়ে আইসক্রিম কিনে খেতাম, এবং সুপারি দিয়ে। অনেক সুন্দর লিখছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামে আইসক্রিম ওয়ালা আসলে আইসক্রিম নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের কাছে বায়না ধরতাম। আমার বাবা আমাকে টাকা দিতো সেই টাকা দিয়ে আমি ২-৩ টা আইসক্রিম কিনে রাখতাম। আইসক্রিম নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ।
আপনি দারুণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু।শৈশব কালে যখন গ্রামে আইসক্রিম ওয়ালা আসতো তখন সঙ্গে সঙ্গে বের হয়ে আসতাম।টাকা না থাকলে কান্নাকাটি শুরু করতাম।আপনি সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।