জবা ফুলের ফটোগ্রাফি
স্টিম ফর ট্রেডিশন |
---|
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি কিছু জবা ফুলের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
জবা ফুল সবারই পরিচিত একটি ফুল। এই জবাটির নাম রক্ত জবা। রক্তজবা ফুল লাল টুকটুকে রঙের হয়ে থাকে। এই ফুলের পাঁচটি পাপড়ি আছে। ব্যবহারিক ক্লাসের সময় এই ফুল দিয়েই ফুলের স্তবক গুলোর সাথে পরিচিত করা হয়। জবা ফুলের গাছ তত বড় হয় না। এগুলো গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। ছবিতে যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা অনেক বছরের পুরনো। এই ফুল গাছটি আমাদের পাশের বাড়ির।এই গাছটির মালিক আমার এক দাদু- দাদী। তারা বেঁচে থাকাকালীন গাছটির অনেক যত্ন করতেন। কিন্তু তারা এখন মারা যাওয়ার কারণে তাদের বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত। তাই বাড়ির ভেতরে ঢোকা হয়নি। বাড়ির ভিতরে অনেক ফুল ফুটেছিল।
জবা গাছ একটি বিশেষ গুণসম্পন্ন গাছ। জবার ডাল যেখানেই ফেলবেন সেখানেই বড় হতে পারে। আমরা আগে জবার ডাল পানিতে ডুবিয়ে রাখতাম।কিছুদিন পর এগুলো থেকে শিকড় গজাতো। শিকর গজানোর পর আমরা নতুন চারাটি মাটিতে রোপন করতাম। জবা গাছে কলম করেও নতুন চারা বের করা যায়। এক্ষেত্রে ডালটি একটু শক্তপোক্ত হলে ভালো হয়। প্রথমে ডালটির যে জায়গায় কলম করব সেখানে এক থেকে দেড় ইঞ্চি পরিমাণ জায়গার বাকল তুলে নিতে হয়। তারপর সেখানে গোবর সার, পানি লাগিয়ে দিতে হয়। তারপর পাটের যে বস্তা গুলো আছে সেই বস্তা গুলো কেটে চারিদিকে পেঁচিয়ে দিতে হয়। এরপর উপরে সুতা দিয়ে পেঁচিয়ে বাঁধতে হয়। তারপর জায়গাটি মাঝে মাঝে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হয়। বেশ কিছুদিন পরে দেখা যায় যে উক্ত স্থানে শিকড় গজিয়েছে। এরপর ডালটি সাবধানতার সাথে কেটে এনে রোপন করতে হয়।
জবা ফুলের অনেক কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। এক এক প্রজাতির ফুল দেখতে এক এক রকমের হয়ে থাকে। তবে সবগুলো ফুলই দেখতে অসম্ভম সুন্দর। জবা ফুলের বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। জবা ফুলের পাপড়ি গুলো বেটে মাথায় দিলে চুল কালো হয়। অনেকে মেহেদী পেস্টের সাথে জবা ফুলের পেস্টও মাথায় লাগান। হিন্দু ধর্মের কালী পূজায় জবাফুল ব্যবহৃত হয়। কালী মূর্তির গলায় ও জবা ফুলের মালা থাকে। হিন্দু ধর্মের একটি আরাধনার বস্তু হলো জবাফুল।সুতরাং বলাই যায় যে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।আপনার জবা ফুল কেমন লাগে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ডিভাইস | রেডমি ১০ সি |
---|---|
ক্যামরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @tamannafariah |
লোকেশন | ভবের বাজার,পার্বতীপুর |
জবা ফুলের অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। জবা ফুল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমাদের অফিসের জবা ফুলের গাছ আছে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ।
সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/Tamanna21464/status/1665370169105866754?t=5-86zqxMg8M5eE-Kz2WuOA&s=19
রক্তজবা ফুলের ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর হয়েছে।এই রক্তজবা ফুল লাল রঙের হয়ে থাকে।রক্তজবা ততটা লম্বা হয় না। এই ফুলের পাঁচ বিশিষ্ট পাপড়ি থাকে।রক্তজবা ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে বেশ সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ।
জবা ফুলে কি জাঙ্লি দেওয়া হইছে নাকি 🤔। ফুল গুলোর ছবি সুন্দর হয়েছে৷ জবা ফুল দিয়ে ভালো জুতা কালি করা যায় 😊। আমি আগে জবা ফুল দিয়ে আমার স্কুলের জুতা কালি করতাম 🙂।
এটা আমি নতুন শুনলাম।আর এটা জাঙ্গীল না বেড়া ছিল।
জবা ফুল সম্পর্কে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
রক্ত লাল জবা ফুল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে আমার কাছে। আমার নানুর বাসায় ও লাল জবা ফুলের গাছ রয়েছে। জবা ফুল নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।
ধন্যবাদ।
জবা ফুলের গাছ নিয়ে আমিও ক্লাস করেছিলাম। জবা ফুলের পাপড়ি স্থবক মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখেছিলাম। জবার দ্বিপদ নামঃ Hibiscus rosa-sinensis। জবা ফুলের সুন্দর ছবি তুলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ। আমিও দেখেছি।
লাল জবা অনেক সুন্দর লাগে দেখতে। ধন্যবাদ আপু অসাধারণ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।