আমাদের এলাকার একটি সুন্দর পুকুর
আমাদের এলাকায় বেশ কিছু সুন্দর পুকুর আছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি পুকুর হল পার্বতীপুরের কেলোকা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বড় পুকুর। এই পুকুরটির বয়স ২০ বছরের বেশি হবে। তাই পুকুরটি বেশ পুরনো বলা যায়। এই পুকুরের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। কেলোকা আবাসিক এলাকার মূল গেট দিয়ে এলাকার ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই হাতের ডানপাশে এই বিশাল পুকুরটির দেখা পাবেন।
পুকুরের চারপাশ নানা রকমের বৃক্ষরাজি দিয়ে ঘেরা। পুকুরের পশ্চিম পাড়ে বিশাল অংশ জুড়ে শুধু গাছ আর গাছ। এছাড়া পশ্চিম পাড়ে নতুন করে কলাগাছ রোপণ করা হয়েছে। এই কলা গাছগুলো পুকুর পাড়ের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করেছে। পূর্ব পাড় থেকে সারি সারি কলা গাছগুলো দেখতে ভালোই লাগে। শৈশবে বন্ধুদের সাথে পশ্চিম পাড়ে গাছ দেয়া ঘেরা জায়গা দিয়ে আমরা প্রায়ই হাঁটতাম। এটা একটা ছোটখাটো বন বললেও ভুল হবে না।
এই পুকুরের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমি এই পুকুরে প্রথম কলা গাছের ভেলায় চড়েছিলাম। আমি ছোটবেলায় সাঁতারও শিখেছি এই পুকুরে। পুকুরে গোসল করার জন্য বাসায় অনেক বকাও খেয়েছি। আমার শৈশবের সোনালী দিনগুলোর সাক্ষী হল এই পুকুর। পুকুরের পূর্ব পাড়ে অনেক আম গাছ এবং নারিকেল গাছ আছে। পুকুরে গোসল করতে গিয়ে অনেক সময় আম পেড়ে খেয়েছি। পুকুর পাড়ে বসে আমরা বন্ধুরা প্রায়ই গল্প করতাম।
রাতে আমরা পুকুর পাড়ে আসতে ভয় পেতাম। রাতের পুকুরকে ঘিরে আমরা অনেক ভয়ের গল্প শুনতাম, আর ছোটবেলায় এই গল্পগুলো আমাদের প্রভাবিত করত। একবার ঈদের দিন সকালে ফজরের নামাযের পর এলাকার বড়, ছোট সবাই মিলে পুকুর পাড়ে এসে কিছুক্ষণ গল্প করেছিল। সেটা মনে রাখার মত একটা ঈদ ছিল। এই পুকুরটির মায়াঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের শৈশবকে আরো রঙিন আর আনন্দময় করেছিল।
পুকুর পাড়ের দু'প্রান্তে দুটি সুন্দর বসার জায়গা আছে, এর মাধ্যে একটি পাড়ে আধুনিক সুযোগ, সুবিধা যেমন, টিন দিয়ে ঘেরা বসার জায়গা, ফ্যান, গান শোনার ব্যবস্থা এই সু্যোগ-সুবিধাগুলো রয়েছে। এছাড়া পুকুর পাড়ের আশেপাশে আরো কয়েকটি বসার জায়গা আছে। এই বসার জায়গাগুলোতে বসে পুকুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
বর্তমানে এই পুকুরে একটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেলে নৌকায় চড়ে পুকুর ভ্রমণ করলে মন ভাল হয়ে যাবে। এই পুকুরে সরকারিভাবে মাছ চাষ করা হয় এবং মাছগুলো বড় হলে এলাকাবাসীদের কাছে মাছ বিক্রি করা হয়। এই পুকুরে বিশাল আকৃতির মাছ উৎপাদন করা যায়। এরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সুযোগ-সুবিধায় ঘেরা পুকুর যে কোন এলাকার জন্য একটি সম্পদ। পুকুরের অনেকগুলো ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, ছবিগুলো কেমন লাগল তা কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ,সবাইকে।
লোকেশন | MWF6+RW9 আমেরিক্যান ক্যাম্প |
---|---|
ক্যামেরা ডিভাইস | স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা |
ওয়াও পুকুর সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। এই পুকুরটি চেনা চেনা লাগতেছে মনে হয় টার্মিনালের পাশে অবস্থিত রেলওয়ে জায়গায় তাই না ভাইয়া। জায়গাটি আসলেই দেখতে অনেক সুন্দর এবং কুকুরটি অনেক বড় থাকায় অনেক সুন্দর দেখা যায় আবার চারপাশে গাছ লাগানো হয়েছে এজন্য আরও বেশি ফুটিয়ে ওঠেছে। এবং আমরা একবার এই জায়গাটি ঘুরতে গিয়েছিলাম অনেক সুন্দর একটি জায়গা দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল আমার কাছে। এবং সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ দেখায় চার পাশ দিয়ে গাছ লাগানোর কারণে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য
https://twitter.com/sohan74077/status/1699781633552077107
পুকুরটা তো ভাই সেই লাগতেছে। পুকুরের পানির কি সুন্দর পরিষ্কার এবং চারপাশে বাঁধানো রয়েছে। পুকুরের ঘাট ও অনেক সুন্দর করে বানানো হয়েছে। এরকম সুন্দর পুকুর দেখা যায় না।পুকুরের গোসল করার মজাই আলাদা। ছোটবেলায় পুকুরে অনেক গোসল করেছি। আবার কোন কোন দিন দুই থেকে তিনবার গোসল করতাম। পুকুরে গোসল করতে অন্যরকম একটা ভালো লাগার কাজ করে। আর পুকুরের চারপাশের সৌন্দর্যটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর এই পুকুরে দুই পাশে সুন্দর বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। বিকেলে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা এটা। আর আপনার ফটোগ্রাফির কথা কি বলবো ভাই, আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন, ছবিগুলো খুবই সুন্দর লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফিগুলো ছিলো দেখার মতো। অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। পুকুরটিও অসম্ভব সুন্দর। ২০ বছর আগের এই পুকুরটিতে আপনার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে বুঝলাম। এরকম পুকুর আমাদের এলাকায়ও আছে। আমিও ছোটবেলায় পুকুরে গোসল করতাম। পুকুর নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
পার্বতীপুর এলাকার সবচেয়ে সুন্দর পুকুর হচ্ছে কেলোকার পুকুর। এটি একটি রেলওয়ের অন্তর্ভুক্ত পুকুর। আমি কেলোকা তে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম, পুকুরের সৌন্দর্য আমাকে সব সময় মুগ্ধ করেছে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি অসাধারণ, আপনার ফটোগ্রাফি দেখে আবার মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই। আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেন বরাবরই। কেলোকার ভিতরেই আপনার সোনালী শৈশব কেটেছে, শৈশবের স্মৃতিগুলো খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেদিন আমিও দেখলাম পুকুরে একটি নৌকার ব্যবস্থা রয়েছে, মন ভালো করার জন্য এই নৌকায় চড়ে ভ্রমনি যথেষ্ট। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই পুকুরটি কেলোকায় অবস্থিত। আমি ও কয়েক বার এই স্থানে গিয়েছিলাম। সুন্দর ছবি তুলেছেন।
প্রথমেই আমি আপনার ফটোগ্রাফির প্রশংসা করছি। আপনার কোন প্রত্যেকটি ছবি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। একটি ছবি ও সুন্দরের তালিকা থেকে বাদ পড়বেনা। কেলোকা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এই বড় পুকুরটি নিয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। আপনি আপনার সোনালী শৈশবের স্মৃতিচারণ এই পোস্টে শেয়ার করেছেন। এই পুকুরে আপনি সাঁতার শিখেছেন। তাছাড়া বন্ধুদের সাথে এখানে বসে আড্ডাও দিয়েছেন। এই পুকুরটিতে সরকারি ভাবে মাছ চাষ করা হয় এবং মাছগুলো এলাকাবাসীর মধ্যে বিক্রয় করে দেওয়া হয়। আমি এটা জেনে অবাক হলাম যে এখানে বসারও এত সুন্দর জায়গা রয়েছে। এমনকি সেখানে ফ্যান ও গান-বাজনা বাজারও ব্যবস্থা রয়েছে। এই বসার জায়গা গুলোতে বসে দারুণভাবে কিন্তু এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। পুকুরটির চারিপাশে অজস্র গাছপালা রয়েছে। এই গাছপালাগুলো পুকুরটির সৌন্দর্যকে বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের এলাকার পুকুরটি সত্যি অসাধারণ ভাইয়া। বিকেল বেলা সময় কাটানোর জন্য এরকম পুকুর গুলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুকুরের চারিদিক দিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে রয়েছে। পুকুর পাড়ে বসে থাকার জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকার কারণে আরো বেশি ভালো লাগলো ভাইয়া। এছাড়াও আপনার ফটোগুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। আপনার এলাকার পুকুর সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। পোস্টি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আবাসিক এলাকায় পুকুর হওয়ার কারণে পুকুরটি অনেক যত্ন করা হয় আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।পুকুরপাড়ে এরকম বসার জায়গা দেখে অনেক ভালো লাগলো। সাধারণত শহর অঞ্চলের পুকুরগুলো এরকম সুন্দর হয়।এতে পুকুরটি দেখতে অনেক নান্দনিক ও সুন্দর লাগে। পার্বতীপুরের এই পুকুরে বোট রয়েছে দেখা অনেক আশ্চর্য হলাম।তবে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন খুব সুন্দর হয়েছে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।