মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে "কাবা"
মুসলমানদের সভ্যতা, সংস্কৃতি আর ইতিহাসে কাবা ঘর একটি পবিত্র স্থান। এটি ধর্মীয় তীর্থস্থান এবং বিশ্ব সভ্যতার এক অনন্য মুকুট। এটি পবিত্র কোরআনে কাবা বা বাইতুল্লাহ নামে পরিচিত। পবিত্র কোরআনের পাঁচটি সূরায় সাত বার এ ঘরটির কথা নানা শব্দে বর্ণিত আছে। এই পবিত্র ঘরটি সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা শহরের মসজিদুল হারামের মাঝখানে অবস্থিত।
শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর অনুসারীদের কাছে কাবা ঘরের মর্যাদা অনেক। এই পবিত্র ঘরের দিকে মুখ করেই মুসলমানরা পাঁচবার আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হন। অর্থাৎ কাবাঘরই মুসলমানদের কিবলা, যেদিকে তাকিয়ে মুসলমানরা সালাত আদায় করে। যেকোন সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য একবার এ ঘরের দর্শনের মাধ্যমে নিজেকে পবিত্র করা অত্যাবশ্যক। সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় ঈবাদত।
প্রতিবছর অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান যারা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম তারা হজ্জ তথা কাবাঘরের উদ্দেশ্যে তীর্থযাত্রা করেন। কাবাঘরে হজ্জ যাত্রার মহান উদ্দেশ্য হল, একমাত্র মহান আল্লাহর ইবাদত করা তথা তাওহীদের ঘোষণা এবং আল্লাহ রাসূলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।
কাবার সাথে পৃথিবীর সৃষ্টির সম্পর্ক রয়েছে। কাবাকে কেন্দ্র করে জল থেকে পৃথিবীতে ভূ-ভাগের অস্তিত্ব ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীতে মাটি তথা স্থলভাগের উৎপত্তি হয় কাবাঘর যে স্থানে দাঁড়িয়ে আছে, সেই স্থানের উপর ভিত্তি করে। তাই পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে কাবাকে কেন্দ্র করে।
কাবাঘর প্রথম নির্মাণ করেছিল ফেরেশতারা। এরপর হযরত আদম আঃ এটি সংস্কার করেছিলেন। আদম আঃ থেকে মুহাম্মদ সাঃ পর্যন্ত যত নবী এসেছেন তাদের মধ্যে হুদ আঃ এবং সালেহ আঃ ছাড়া প্রত্যকেই কাবা ঘর তাওয়াফ করেছেন। এ দুজন নবী তাঁদের সম্প্রদায়ের অত্যাচারের কারণে কাবাঘরে আসতে পারেননি।
শুধুমাত্র বর্তমান যুগের মুসলমানদের প্রার্থনার স্থান হিসেবে পরিচিত নয়, প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্ব মুসলমানদের কাছে এই স্থানের কদর ছিল। মুসলমানদের ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত এই কাবাঘরকে ঘিরে অনেক অলৌকিক ঘটনা রয়েছে। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে কাবাঘর যেমন তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনি বিশ্ববাসীর কাছেও কাবাঘরকে ঘিরে কৌতুহলের কোন শেষ নেই।
মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র স্থান হচ্ছে কাবা। প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মুসলমান এই কাবা ঘরে হত যাত্রার জন্য যায়। প্রাচীনকাল থেকেই মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র প্রার্থনার স্থান হিসেবে পরিচিত কাবা ঘর। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর অনুসারীদের কাছে কাবা ঘরের মর্যাদা অনেক। মাশাল্লাহ আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
কাবা শরিফ নিয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্ট। মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান হচ্ছে এটি।এই কাবা মুসলমান জাতির ঐতিহ্য। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
আমাদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান হল কাবা।আর আমাদের কেবলাও হল কাবা।এখানে আমাদের প্রিয় নবির জন্ম।তাই কাবার নাম শুনলেই একটা আবেগ কাজ করে মুসলিমদের মনে।আপনার পোস্ট অনেক সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য
কাবা নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া। কাবা মুসলমানদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান। এটি মুসলমানদের কিবলা।হজ্জ এবং উমরা করার সময় মুসলমানগন কাবাকে ঘিরে তাওরাফ করেন।কাবা শরিফ নিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
মুসলমান জাতির মূল উদ্দেশ্য এবং চাওয়া পাওয়া একটি, তারা জীবনে যেনো একদিন হলেও হজ পালন করতে যেতে পারে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে মুসলমান জাতির হজ পালন নিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ❤️❤️❤️
ধন্যবাদ শামিম
মুসলমানদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে এই কাবাঘর। মূলত এই কাবা ঘরের জন্যই পবিত্র মক্কা নগরী তৈরি হয়েছে। মুসলমানদের এক আবেগের জায়গা হল এই কাবা শরীফ বা কাবা ঘর।কাবা শরীফ নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
সুন্দর বলেছেন।
কাবা শরিফ নিয়ে অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই, প্রতিটা মুসলিম চাই জীবনে একবার হলেও নিজের চোখে কাবা শরিফ দেখবো,আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কাবা শরিফের বিস্তারিত আলোচনা করছেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
মুসলমানদের পবিত্র স্থান হচ্ছে কাবা শরীফ। এখানে আমাদের প্রিয় নবির জন্ম।
পবিত্র স্থান এটি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই কাবা শরীফের কথা তুলে ধরেছেন। অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু