তাল গাছে অনেকগুলো বাবুই পাখির বাসা।
শুক্রবার,
তারিখ -৩০শে জুন ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি বাবুইপাখির বাসা নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
গ্রাম-বাংলার পরিচিত হলো তাল গাছে বাবুইপাখির বাসা। আমাদের গ্রামে আগে অনেকগুলো তালগাছ ছিল। সেই তাল গাছে অনেকগুলো বাবুইপাখির বাসা ছিল। তবে বাবুইপাখি এরা নিপুন ছোঁয়ায় তৈরি করতো নিজের বাসা। এরা এমনভাবে বাসা তৈরি করে যা দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর।
বাবুইপাখিকে বাসা তৈরির কারিগর বলা হয়। এরা বাসা তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করে থাকে। বাবুইপাখিরা কাশবনের লতা,পাতা দিয়ে বাসা বুনে থাকে। এছাড়াও এরা সুপারি গাছের পাতা,নারিকেলের পাতা,খেজুর ও আখ গাছের পাতা দিয়ে এরা সুন্দর করে বাসা বুনে থাকে। এদের অর্ধেক বাসা তৈরি করতে সময় লাগে ৫/৬ দিন। আর বাকি অর্ধেকটা তৈরি করতে সময় লাগে ৪ দিন। এদের শৈল্পিক কারুকাজে সজ্জিত বাসস্থান গুলো দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। এদের বাসাগুলো উল্টো করে দেখলে তা কলসির মতো লাগে। তবে এরা এমনভাবে বাসা তৈরি করে থাকে যা অনেক মজবুত ও শক্ত। প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিতে ও এদের বাসা ভেঙে যায় না।
বাবুইপাখিরা এরা এক বাসা থেকে অন্য বাসায় যেতে স্বাছন্দ্যবোধ মনে করে। তবে এরা অন্যের বাসায় সঙ্গী খুঁজে । এদের সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী পাখিকে সঙ্গীনি করতে কতই কিছু না।
আগে গ্রামে অনেক তাল ছিল। আর এই তাল গাছে বাবুইপাখিরা অনেক বাসা তৈরি করে থাকে। কিন্তু সময় ও কালের বিবর্তনে মানুষ তাল গাছ কেটে উজাড় করে দিচ্ছে। এর ফলে আগের মতো আর তেমন একটা বাবুইপাখির বাসা দেখতে পাওয়া যায় না। এখন তাল গাছ বিলুপ্তর সাথে সাথে বাবুইপাখির বাসা সহ বিলুপ্ত প্রায়।
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইল | Tecno 9t spark |
---|---|
ক্যামেরা | ৩৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্টের ধরণ | বাবুইপাখির বাসা। |
লোকেশন | চিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া। |
ধন্যবাদ,
@siza
বাবুই পাখিরা অনেক পরিশ্রম করে এদের বাসা তৈরি করে থাকে। এদের এই বাসাগুলো তৈরি করতে অনেক দিন সময় লাগে। এদের মূলত শিল্পের কারিগর বলা হয়। অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
বাবুই পাখির বাসা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই বাবুই পাখির বাসাগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
তালেগাছে বাবুই পাখির বাসা দেখে অনেক ভাল লাগল। তালগাছ কিংবা নারিকেল গাছে বাবুই পাখির বাসা প্রায় দেখা যায়। বাবুই পাখির বাসা গুলো দেখতে বেশ সুন্দর। বাবুই পাখির বাসা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
তাল গাছে বা নারিকেল গাছে এই বাবুইপাখির বাসা দেখা যায়। আমাদের এলাকায় তালের গাছে বাবুইপাখি বাসা বেঁধেছে। বাবুইপাখির বাসা নিয়ে সুন্দর ও চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
ছোটবেলায় এরকম তালগাছে অনেক বাবুই পাখির বাসা দেখেছি। আমাদের এলাকায় একসময় নারিকেল গাছেও এরকম বাবুই পাখির বাসা দেখা যেত। এত নিখুঁতভাবে এরা বাসা গুলো তৈরি করে যেটার সাথে কোন কিছুর তুলনা হয় না। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, আপু শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাহ চমৎকার পোস্ট তাল গাছের বাবই পাখির বাসা এখন দেখতেই পাওয়া যায় না। আগে প্রায় সব তাল নারকেল এবং সুপারী গাছে বাবই পাখির বাসা দেখা যেতো এখন সেগুলো বিলুপ্ত প্রায়। সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মনে পড়ে গেল সেই শৈশবের কথা। যখন ছোট ছিলাম তখন এই পাখির বাসা বাড়িতে নিয়ে আসতাম আর ভাবতাম পাখি এখানে এসে বসবাস শুরু করবে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
বাবুই পাখি সবসময় উঁচু উঁচু গাছে বাসা বানিয়ে থাকে। বাবুই পাখি বাসা বানানোর জন্য তাল গাছ, সুপারি গাছ এ সকল গাছকে বেশি পছন্দ করে থাকে। আপনার ছবিগুলো অত্যন্ত স্পষ্ট এবং সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ছোটোবেলায় বইয়ে দেখেছিলাম বাবুই পাখি তালগাছে বাসা বাধে। তালগাছের সৌন্দর্য বাবুই পাখি বাসা বানানোর মাধ্যমে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
বাবুই পাখি অনেক বেশি পরিশ্রমী হয়ে থাকে। তারা আশেপাশের কোন সুপারি গাছ বা নারিকেল গাছ থেকে একটি একটি করে পাতা সংগ্রহ করে অনেকদিন ধরে এই বাসা তৈরি করে। পাখিদের মধ্যে সবথেকে বেশি পরিশ্রমী হলো বাবুই পাখি। বাবুই পাখির সঙ্গিনী পরিবর্তনের বিষয়টা আমার অনেক ভালো লেগেছে।