কবুতর পালনে কাঠ ও বাঁশের তৈরি কবুতরের খাঁচা।

in Steem For Traditionlast year

মঙ্গলবার ,
তারিখ -২৫ জুলাই ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি ঐতিহ্যবাহী নকশীকাঁথা নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

IMG-20230725-WA0001.jpg
কাঠ ও বাঁশের তৈরি কবুতরের খাঁচার কিছু ছবি ধারণ
কাঠ ও বাঁশের তৈরি কবুতরের খাঁচার ব্যবহারঃ

আমাদের দেশে কাঠমিস্ত্রীরা বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করে থাকেন।কবুতর পালনে আমরা যে কাঠের তৈরি খাঁচাটি ব্যবহার করি এটিও কাঠমিস্ত্রিরেই তৈরি।আগে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কবুতর পালন করতে দেখা যেত। কিন্তু আগের মতো এখন আর কবুতর পালন করতে দেখা যায় না।প্রাচীন কালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান প্রদান করা হতো। আমাদের দেশে অনেকে শখের বসে কবুতর পালন করছে অনেকে আবার কবুতর পালন করে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।

IMG-20230725-WA0000.jpg

কবুতর পালনে আগে প্রথমে যে জিনিসটি মাথায় রাখতে হয় সেটি হচ্ছে বাসস্থান। তাই কবুতর ক্রয়ের আগে এর বাসস্থান তৈরি করতে হবে।আর এর বাসস্থান হিসেবে কাঠ বা বাঁশ দিয়ে তৈরি করে খাঁচা বা খোঁপ বানানো হয়।এই খাচাঁগুলো আমরা মিস্তি দিয়ে বানাতে পারি কিংবা বাজার থেকে রেডিমেড ক্রয় করতে পারি।পর্যাপ্ত সূর্যালোক বা বায়ুচলাচল করতে পারে এরূপ স্থানে কবুতরের ঘর বা খাঁচা বানানে উচিত। এই কাঠের খাঁচা গুলো শক্ত বাঁশের উপর রাখা হয়।অনেকে আবার বাশেঁর পরিবর্তে সিমেন্টর পিলার ও ব্যবহার করে থাকে। এই ঘরগুলো দুইতলা ও তিনতলা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এই ঘরগুলোতে একসাথে অনেকগুলো কবুতর পালন করা যায়। এই ঘরের উপরে খড়ের ছাউনি বা টিন দেওয়া হয়।যাতে বৃষ্টির পানি ভিতরে না ডুকতে পারে ও কবুতরগুলোকে রোদ থেকে রক্ষা করতে পারে। খোপঁগুলোর ভিতরে খাবার ও পানির পাএ এবং ডিম পাড়ার জন্য সরা দেওয়া হয়। এই সরাতে তারা ডিম ফুটায় ও বাচ্চা ফুটায়।

IMG-20230725-WA0002.jpg

আমার তোলা এই কবুতরের খাঁচাটি আমার নানার। আমার নানা পাঁচ বছর ধরে এই খাঁচাটিতে কবুতর পালন করে আসছে।তিনি শখের বসেই কবুতর পালন করেন।তিনি প্রতি সপ্তাহে নিজের হাতে খাবার ও পানির পাএগুলো পরিষ্কার করেন।আগে আমাদের বাসাতেও কবুতর ছিল কিন্তু এখন আর নেই।গত তিন বছর থেকে আমি বেশ কয়েকবার কবুতর পালনের চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।

IMG-20230725-WA0003.jpg

কবুতরের মাংস আমার ভিষণ পছন্দের। কিন্তু এলার্জির সমস্যার কারণে আমি বেশি খেতে পারি না। কবুতরের মাংস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। এছাড়াও কবুতরের মাংসের একটি বড় উপকারীতা হলো এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।আমি নানির বাসায় গেলে বছরে দুইবার কবুতরের মাংস খেয়ে থাকি।

IMG-20230725-WA0004.jpg

আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।

মোবাইলের তথ্য সংরক্ষণঃ
মোবাইলTecno 9t spark
ক্যামেরা৩৮ মেগাপিক্সেল
পোস্টের ধরণকাঠ ও বাঁশের তৈরি কবুতরের খাঁচা।
লোকেশনচিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া।
3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ,
@siza

</div

Sort:  
 last year 

বর্তমানে আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলে কবুতর পালন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে এই ধরনের কবুতরের ঘর প্রতিটি বাড়িতে দেখা যায়। দেশি কবুতরের পাশাপাশি বিদেশি কবুতর ও পালন করা হয়। ধন্যবাদ

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

কাঠের কবুতরের খাঁচা নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আগের গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে এমন কবুতরের খাঁচা ছিল। আমাদের এলাকায় আমরা এটিকে কবুতরের খোপ বলি।কবুতরের মাংস আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে। কিন্তু যারা ব্যথা ও এলার্জির রোগী তাদের এটা না খাওয়াই ভাল।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।

 last year 

ধন্যবাদ

 last year 

কাঠের তৈরি কবুতরের খাঁচা, বা কবুতরের ঘর গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্য। গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে কবুতর পালন করা হয়। কবুতর থাকার জন্য কাঠের তৈরি ঘর ব্যবহার করা হয়। ইদানিং শহরে ও ছাদের উপরে কবুতর পালন করতে দেখা যায়। কবুতর হলো সুখের পায়রা, আগের দিনে কবুতর দিয়ে চিঠি হাতের প্রদান করা হতো। সুন্দর লিখছেন আপু ফটো দারুন হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

কবুতর পালন করা যেমন একধরনের শখ তেমনি এটি একটি লাভজনক প্রক্রিয়াও বটে। আমাদের বাড়িতেও কবুতর আছে। আর কবুতরকে রাখার জন্য বাশের তৈরি একটি খোপ আছে। কবুতরের খোপ নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপু।

 last year 

ধন্যবাদ

 last year 

আমাদের দেশের গ্রাম- গঞ্জের ঐতিহ্য হলো বাঁশ ও কাঠের তৈরি কবুতরের খাঁচা। যারা কবুতর পোষে তাদের বাসায় বাঁশের বা কাঠের তৈরি খাঁচা দেখা পাওয় যায়৷

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

গ্রামের কবুতর পালনের জন্য বাশের এবং কাঠের তৈরি খাঁচাগুলো এখনো ব্যবহৃত হয়। এগুলো দেখতে বেশ চমৎকার। অনেক সুন্দর একটা পোস্ট গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। এত সুন্দর আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপু

 last year 

কবুরত পালন করতে এমন খোঁপ শুধু গ্রামগঞ্জে দেখা যায়। এই কবুতরের খোঁপ গুলো সাধারণত পিলার বা বাঁশের খুঁটি দিয়ে উপরে দেয়া হয়। আবার অনেকেই বাড়ির ছাদেই কবুতর পালন করার জন্য খোপ নিয়ে।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

গ্রাম অঞ্চলে প্রায় বেশিরভাগ বাড়িতে এরকম কবুতরের ঘর দেখতে পাওয়া যায়। কবুতর পালন অনেক লাভজনক। আমি শখের বসে একবার কবুতর পালন করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু হয়নি।অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন শুভকামনা রইল।

 last year 

ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

বাঁশের তৈরি বা কাঠের তৈরি কবুতরের খাঁচা নিয়ে দারুণ লেখছেন আপু।আমরা যারা কবুতর পালন করি তারা সবাই কাঠের বা বাঁশের তৈরি খাঁচা ব্যবহার করি।আপনার তোলা কবুতরের খাঁচা দেখে মনে হচ্ছে অনেক পুরাতন একটা খাঁচা।আপনার নানা ৫ বছর ধরে এই খাঁচাতে কবুতর পালন করে আসছেতে শুনে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58097.21
ETH 2581.79
USDT 1.00
SBD 2.41