আগেরকার দিনে টাকা-পয়সা সঞ্চয় করে রাখার একমাত্র মাধ্যম ছিল- মাটির তৈরি ব্যাংক।
রবিবার,
তারিখ -০৯ জুলাই ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি মাটির তৈরি ব্যাংক নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
এক যুগ আগে মাটির তৈরি জিনিসপত্র চাহিদা ছিল অন্যরকম। তখন খাবারের পন্য সামগ্রি থেকে শুরু করে সৌখিন জাতীয় মাটির তৈরি পন্য বেশি পাওয়া যেত। তার মধ্যে অন্যতম হলো মাটির তৈরি ব্যাংক। মাটির তৈরি ব্যাংক হলো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। টাকা সঞ্চয় করে রাখার একমাত্র মাধ্যম ছিল মাটির তৈরি ব্যাংক। আগেরকার যুগে ব্যাংকিং ব্যবস্থা বলতে তেমন কিছু ছিল না বলে মানুষ বাঁশের তৈরি ঘরের খুঁটি হিসেবে বাঁশ,মাটির তৈরি ব্যাংক ব্যবহার করা হতো।
কুমারেরা অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনিপুণ কারুকার্যের মাধুর্যতা দিয়ে মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করে থাকেন। তারা মাটির তৈরি ব্যাংকও নিজের সৃজনশীলতা ও কারুকার্য দিয়ে তা তৈরি করেন। এই মাটির তৈরি করা ব্যাংক আসলে অতি ক্ষুদ্র সঞ্চয় হলে ও এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ছিল ব্যাপক। মাটির তৈরি ব্যাংকের সঞ্চয় মানুষের জীবন পরিবর্তনে বিশাল অবদান রাখে৷ অনেকে আছেন যারা মাটির তৈরি ব্যাংকে অর্থ সঞ্চয় রেখে নিজের জীবনের স্বপ্ন পূরন করেছেন। এইরকম হাজারো নজির রয়েছে আমাদের দেশে। টাকা পয়সা জমিয়ে রাখার সহজ উপায় হলো মাটির তৈরি ব্যাংক কিনে। এই মাটির ব্যাংকে টাকা জমিয়ে রাখার মতো স্বাধীনতা আর কোথাও নেই। এখানে কোন প্রকার সুদ দিতেও হয় না। আবার সুদ নিতে হয় না।
আমাদের বাড়িতেও মাটির তৈরি একটি ব্যাংক আছে। এই ব্যাংকটি আমার বাবা বাজার থেকে ৬০ টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছিল। এই ব্যাংকে আমার বাবা টাকা জমিয়ে রাখে। যখন টাকা জমানো শেষ হয় আবার টাকার দরকার পড়ে তখন মাটির ব্যাংকে রাখা সঞ্চয় টাকাগুলো বাহির করা হয়। এই মাটির তৈরি সঞ্চায়ী ব্যাংকটি বিশেষ প্রয়োজন অনেক উপকার করে থাকে।
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইল | Tecno 9t spark |
---|---|
ক্যামেরা | ৩৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্টের ধরণ | মাটির তৈরি ব্যাংক |
লোকেশন | চিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া। |
ধন্যবাদ,
@siza
মাটির ব্যাংকে এখনো অনেকেই টাকা রাখেন। আমাদের বাসায়ও একটি মাটির ব্যাংক রয়েছে। আমার ব্যাংকটি প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে খুব শীঘ্রই এটিকে ভেঙে ফেলব। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
ছোটবেলায় এরকম মাটির ব্যাংকে পয়সা জমাতাম। কিছুদিন পরপর সেই ব্যাংকগুলো ভেঙে ফেলতাম আবার। বর্তমানে মাটির ব্যাংকের ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে। পোষ্টে ছবির সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া। ধন্যবাদ
এক সময় মাটির ব্যাংকে আমিও টাকা জমাতাম। পূজার সময় এইসব ব্যাংক বেশি পাওয়া যেতো। বর্তমান সময়ে কেউ আর মাটির ব্যাংকে টাকা জমায় না। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
এই মাটির ব্যাংকগুলোতে আগে অনেক টাকা জমাতাম। এখন আর তেমন এই নেশাটা নেই। আর কিছুদিন পরপরই ব্যাংক ভেঙে টাকা বের করে নিতাম। ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। অনেক ভালো লিখেছেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
মাটির তৈরি ব্যাংক নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপু।আমি ছোট বেলায় মাটির ব্যাংকে টাকা জমা করতাম।আগের দিনে অধিকাংশ ছেলে মেয়ে মাটির ব্যাংকে টাকা জমা করতো।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া
মাটির ব্যাংকে ছোট বেলায় টাকা জমিয়ে রাখতাম। মাটির ব্যাংক গুলো বর্তমান সময়ে খুব কমই দেখা যায়। মাটির ব্যাংকে টাকা রাখা মানুষ ভূলেই গেছে। মাটির ব্যাংক নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
বর্তমান সময়ের এই মাটির ব্যাংকে টাকা জমানোর নেশা আর নাই বললেই চলে। কিছু কয়েক বছর আগেও মানুষ এই মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতো। বর্তমান সময়ে সবাই এখন ব্যাংকে টাকা জমা করে। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমাদের বাসায় একটি মাটির তৈরি ব্যাংক ছিল। আমার বাবা অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে রাখছিল। মাটির তৈরি ব্যাংক সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে পরিচিত সবার কাছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
ছোটোবেলায় আমিও মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতাম। কিন্তু বেশী টাকা জমাতে পারতাম না অল্প কিছুদিন পরেই ভেঙে ফেলতাম। মাটির ব্যাংক নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপু।
আগেকার দিনে টাকা জমানোর জন্য আমরা এই সকল মাটির ব্যাংক কিনেছিলাম। বিশেষ করে এই ব্যাংকগুলো পাওয়া যেত ঈদের মাঠে এবং বিভিন্ন ধরনের মেলাতে আমাদের সময় এগুলো ১০ থেকে ১২ টাকা করে নিতো কিন্তু এখন এগুলার দাম প্রায় ৩০-৪০ টাকা।