প্রাচীনকালের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাতাঁকল আজ বিলুপ্তর পথে।
রবিবার
তারিখ - ২ এপ্রিল ২০২৩ইং
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি ঐতিহ্যবাহী যাতাঁ নিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
![]() |
---|
গ্রামের প্রতিটি ঘরে একসময় যাতাঁকল ব্যবহার হতো।রবি শস্যের বিবিন্ন ডাল যেমন মসুর ডাল, খেসারি ডাল,মুগ ডাল ইত্যাদি ভাঙ্গা হতো এই যাতঁ দিয়ে।এছাড়া গম ও গুড়ো করা হতো এই যাতাঁ কলের সাহায্যে।যাতাঁকল হলো দুটি গোলাকার পাথর।একটি পাথরের উপর আরেকটি বসিয়ে ঘোরানো হয়।মাঝখানে একটি ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রে ডাল দিয়ে ঘুরালে ডাল ভেঙে যেত।এরপর কুলো দিয়ে খোসা থেকে ডাল আলাদা করে নেওয়া হয়।
![]() |
---|
ছোট বেলায় দাদুর কাছে শুনেছিলাম আগে নাকি গ্রামের ভিতর ঢুকলেই প্রতিটি বাড়িতেই শোনা যেত যাঁতাকলে রবিশস্য ভাঙ্গার শব্দ। প্রতিটি বাড়িতেই ছিল যাতাঁকল। কিন্তু এখন আধুনিক যুগে আর এইরকম শব্দ শোনা যায় না। যেখানে মানুষের বসতি ছিল সেখানেই ছিল এই রবিশস্য ভাঙ্গার যাতাঁকল। আগের কার দিনে নববধূরা স্বামীর ঘরে এসেই শাশুড়ির কথায় ডাল ভাঙতে বসতো।কিন্তু এখন আর এই রকম যাতার ব্যবহার নেই।দাদুর কাছে গল্পে শোনা কথাগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।
![]() |
---|
একসময় গ্রামের প্রতিটি ঘরে যাতার ব্যবহার থাকলেও এখন আর এই রকম যাতাঁকলের ব্যবহার দেখা যায় না।প্রযুক্তির প্রসারে আধুনিকতার ছোয়ায় ঐতিহ্যবাহী এই যাতাঁকল আজ বিলুপ্তির পথে। আগে ডাল গম ভাঙ্গার জন্য কোনো ইলেকট্রিক যন্ত্র বা মেশিন ছিল না কিন্তু আধুনিক যুগে ডাল গম ভাঙ্গার জন্য বিভিন্নরকম ইলেকট্রিক মেশিন রাইস মিল গড়ে উঠেছে। যার সাহায্য অল্প সময়েই রবিশস্য ভাঙ্গা হয়।
![]() |
---|
যাতাঁকল এক প্রকার হস্ত চালিত যন্ত্র। জাতাঁকলের ব্যবহার ছিল কষ্টসাধ্য।যাতাঁকলে ডাল গম ভাঙ্গার জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হতো।শত শত নারী শ্রমিক এই যাতাঁকলে উপর নির্ভরশীল ছিল। প্রাচীন কালে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিকেলবেলা যাতাঁকল এর ঘ্যাড় ঘ্যাড় শদ্ব শুরু হতো।শুধু ডাল গম এই নয় সেসময় চাউলও গুড়া করে হতো। যাতায় গুড়ো চাউলের গুড়া খেতেও অনেক সুস্বাদু। প্রাচীনকালে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হতো। আর এই সব গ্রাম্য মেলায় যাতাঁ কিনতে পাওয়া যেত। প্রাচীনকালে যাতাঁকলের ব্যবহার সর্বাধিক থাকলেও আজ এই যাতাঁকল বিলুপ্ত।
![]() |
---|
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইল | Tecno 9t spark |
---|---|
ক্যামেরা | ৩৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্টের ধরণ | ঐতিহ্যবাহী যাতাঁ |
লোকেশন | চিরিরবন্দর গুড়িয়া পাড়া |
![]() |
---|
ধন্যবাদ,
@siza
পুরনো এই যাঁতা কল শেষ কবে দেখেছি তা আমার মনে নেই। আমার এক খালাতো বাড়িতে এই যাঁতা কল দেখেছি এই কয়েকদিন আগেই। এখন আর এই যাঁতা কলের ব্যবহার কেউ করেনা এখন সবাই চাল গম ভুট্টা মিলে গুরো করে নিয়ে আসে। ধন্যবাদ আপু আপনার মাধ্যমে এই যাঁতা আবার দেখতে পেলাম
ধন্যবাদ
যাতাঁকল আমাদের ঐতিহ্য, যা এখন বিলুপ্ত প্রায়। ডাল গুরা বা মিহি করার জন্য এই যাঁতাকল ব্যবহার করা হতো। এটি একটি হস্ত চালিত যন্ত্র, যা পাথরের তৈরি। অনেক সুন্দর পোস্ট করছেন আপু। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমার জীবন দশা আমি কখনো এইরকম জাতাকল দেখি নাই। তবে বইয়ে পড়েছি প্রাচীনকালে সবথেকে বেশি এই জাতাকল ব্যবহার করে গম ভাঙ্গা হত। আপনার পোস্ট করার মাধ্যমে আমি এই জাতাকল সম্পর্কে জানতে পারি।
ধন্যবাদ ভাইয়া
যাতাকল আমি সরাসরি কখনো দেখিনি। তবে এটি আমাদের অনেক ঐতিহ্যবাহী একটি জিনিস। বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত হওয়ার পথে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে যাতাকল সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ভালো লিখেছেন।শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য।
আমার জীবন দশা আমি কখনো এইরকম জাতাকল দেখি নাই। তবে বইয়ে পড়েছি প্রাচীনকালে সবথেকে বেশি এই জাতাকল ব্যবহার করে গম ভাঙ্গা হত। আপনার পোস্ট করার মাধ্যমে আমি এই জাতাকল সম্পর্কে জানতে পারি।
যাতাঁ নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। আগেরকার যুগে ধান, কালাই,ভাঙ্গার কাছে এই যাঁতা ব্যবহার করা হতো।
ধন্যবাদ ভাইয়া
ঐতিহ্যর মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্য হলো এই যাঁতা,আমি যাঁতার নাম অনেক শুনছি কিন্তু কখনো নিজের চোখ দিয়ে দেখি নাই, আমি জানতাম না এই যাঁতা দিয়ে মসুর ডাল,গম,কালাই এই সব গুড়ো করে।আজকে আপনার পোস্ট পরে আমি তা সব কিছু জানতে পারলাম, আমি আগের মানুষের কাছ থেকে শুনছিলাম আগে নাকি সবার ঘরে ঘরে এই যাঁতা ছিল কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই সব জিনিস হারিয়ে গেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন, পোস্টি খুব সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি বেশ চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন আমাদের কাছে। এই জাতি এখন আর তেমন দেখা যায় না। আমি অনেক আগে দেখেছিলাম এই জাতি।আপনি বিশেষ একটি ঐতিহ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
যাঁতাকল আমি সরাসরি কখনো দেখি নাই। অনেক নাম শুনেছি। এবং শুনেছি যাঁতাকল দিয়ে অনেক কিছু ভাঙ্গা যায়।আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যেমে আমি এটা দেখতেছি।আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু
ধন্যবাদ ভাইয়া