প্রতিযোগিতার ৮ম সপ্তাহ- ঐতিহ্যবাহী খাবার খই।
আসসালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় সতীর্থব্লগারবৃন্দগন আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির পক্ষ থেকে একটি সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন। তাই আজ আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।
"হাতে ভাজা খই" আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। আগেরকার যুগে গ্রামে গঞ্জে খইয়ের ব্যবহার বেশি ছিল। খই খেতে অনেক মজা লাগে। তবে কাঠালের সাথে খই মিশিয়ে খাওয়ার ঐতিহ্য বেশ পূরাতন। এটি অনেক আগের ঐতিহ্য। খই গ্রামীন ঐতিহ্যের পণ্য টি খুব তৃপ্তি সহকারে খাওয়া হয়।
আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে গ্রামে লোকেরা খই ভাজত বাড়িতে। খই ভাজতে হলে প্রথমে ধান রোদে শুকিয়ে তা একটি পাত্রে নিয়ে রাখা হয়। যখন ধান গুলো ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তাতে বালু দিয়ে তা জ্বাল দিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে। এরপর ধান গুলো গরম পাত্রে ঢেলে দিয়ে বালু আর ধানের সংমিশ্রণ করে জ্বাল দিতে হবে। জ্বাল দেওয়ার সাথে সাথে উত্তপ্ত বালু ও ধান গুলো নাড়াতে হবে। নাড়তে নাড়তে গরমে এক সময় তা ধানের খোসা ছেড়ে খইয়ে পরিনত হবে। এরপর সমস্ত ধান থেকে খোসা ছাড়িয়ে খইয়ে পরিনত হলে কড়াই থেকে তা নামিয়ে নিতে হবে।
খই গুলো নামিয়ে নিয়ে এরপর ঠান্ডা হলে তা ধান থেকে বাচাই করে খই গুলো বেচে নিতে হবে। এরপর খই বাচাই করা হলে আমরা তা খাবারের জন্য পরিবেশন করব। আমার দাদা-দাদী যখন বেঁচে ছিল তখন আমাদের বাড়িতে খই ভাজা হতো। আমার দাদা-দাদী খই খুবই পছন্দ করত। দুধ দিয়ে খই খাওয়ার মজা অন্যরকম। আমিও দাদার সাথে অনেকবার খেয়েছি।
আমাদের গ্রামে আগে বাড়িতে বাড়িতে খই ভাজা হতো। সবার বাড়িতে খই পাওয়া যেত তখন। কিন্তু এখন সব হারিয়ে যাচ্ছে দিন দিন। আগের মতো আর খই পাওয়া যায় না। সব এখন প্রায় বিলুপ্তর পথে।
ধন্যবাদ,
@siza
ঐতিহ্যবাহী খাবার 'খই' এখন খুব একটা খাওয়া হয় না। এটি দেখতে কিছুটা মুড়ির মত কিন্তু মুড়ির থেকে মিষ্টি। খই ভাজা খাওয়ার পর চা পান করতে বেশ ভালো লাগে। খই ভাজার প্রক্রিয়াটাও সুন্দরভাবে বলেছেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খই আর আম আমি আগে অনেক খেতাম। আবার মুড়ি আর খই একসাথে করে আমার দাদী রেখে দিত আমি সকাল বিকাল যখন খেতে মন চাইত তখনই খেতাম। আপনি খুব ভালো একটি পোস্ট করেছেন। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে অভিনন্দন।
ধন্যবাদ।
খই আমাকে খুব ভালো লাগে।তবে জীবনে বেশি খই খাওয়া হয়নি।ছোটবেলায় দেখতাম দাদী খই ভাজতো রান্না ঘরে তখন নিয়ে নিয়ে খেতাম।এখনো মনে পড়ে সেইসব স্মৃতির কথা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
খই আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আমি কালকেই দুধ দিয়ে খই খেলাম। আমার নানি মাঝে মাঝে খই ভেজে আমার জন্য পাঠিয়ে দেয়।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছে। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খই খেতে খুব ভালো লাগে,গ্রাম বাংলার আগে ঘরে ঘরে খই ছিল কিন্তু এখন আর এই খই দেখা যায় না, আমি ছোট বেলায় অনেক খই খাইছি,আমাদের বাসায় খই ভাজলে আমি ওখানে বসে থেকে খাবো,আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন আপু, কারন দিন দিন এই ঐতিহ্যবাহী খই আর দেখা যায় না, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খই আর দুধ আমার সবথেকে প্রিয় একটি খাবার । আগে বাসায় খই খেতাম। এখন অটো মেশিনের তৈরি খইয়ের স্বাদ তেমন একটা ভাল না। আগে দেখা যেত প্রতিটি বাড়িতেই খই ভাজতো আর খইয়ের স্বাদ ছিল অন্যরকম। আপনার পোপোস্ট পড়ে ভাল লাগল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খই মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। এবে এই খই ভর্তা চানাচুর দিয়ে কাচা মরিচ পিয়াজ দিয়ে মাখালে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। অনেক সুন্দর লিখছেন ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ।
খই আমার পছন্দের খাবার। খই আমাদের ঐতিহাসিক খাবার। খই এর সাথে চিনি মিশিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে।এখন আগের মতো খই খাওয়া হয় না।আপনার পোস্ট টি অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খই একটি মজাদার খাবার। গ্রামে আগে খই, মুড়ি ও ছাতু দিয়ে একত্রে মেখে একটি সুস্বাদু খাবার বানানো হতো। অসাধারণ টেস্ট ছিলো সেই খাবারের। আপনার খই দেখে ঐ পুরাতন খাবার এর কথা মনে পড়ে গেলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া।