প্রতিযোগিতার ১৫তম সপ্তাহ -শৈশবে কড়ি খেলার স্মৃতি।
শুক্রবার,
তারিখ - ১২ ই মে ২০২৩ইং
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির পক্ষ থেকে একটি সুন্দর প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছে। আজ আমি শৈশবের স্মৃতি নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
মানুষের জীবনের সবথেকে আনন্দময় সময় হলো শৈশবকাল।ছোট বেলার এমন অনেক স্মৃতি রয়েছে যেগুলো কখনো ভোলার নয়।শৈশবে কাটানো আনন্দ মুখর সময়গুলো এখন শুধুই স্মৃতি। এই ফেলে যাওয়া স্মৃতি গুলো আর কখনো ফেরার নয়।আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন নানান ধরনের খেলায় মেতে উঠেছিলাম।এর মধ্যে আমার একটি স্মৃতিময় খেলা হলো কড়ি খেলা।
কড়ি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খেলা।এই খেলা খেলতে হয় ইটের ভাঙ্গা বা ছোট ছোট পাথর খন্ড দিয়ে।শুধুমাএ গ্রামাঞ্চলেই এই সব খেলা খেলতে দেখা যায়। এই খেলাটি একসাথে ৫-৬ জন খেলতে পারে।ছোট বেলায় আমি প্রতিদিন স্কুল ছুটির শেষে বাসায় এসে বিকেলবেলা সহপাঠীরা মিলে আমগাছের নিচে বসে কড়ি খেলতাম।স্কুল ছুটির দিনে তো সকালবেলা থেকেই কড়ি খেলতে বসতাম।
খেলা শেষ করে এই কড়িগুলো একটি ব্যাগের মধ্যে ভরে গোয়াল ঘরের এক কোনে ঝুলিয়ে রাখতাম। একবার এই কড়ি খেলতে গিয়ে হাত কেটে গিয়েছিল। আম্মুর কাছে খুব বকুনি খেয়েছিলাম।কঞ্চি নিয়ে আম্মু মারতে গেলে দাদি বাঁচিয়ে নিয়েছিল।আম্মু আর কড়ি খেলতে যেতে দিত না।তখন চুপি চুপি করে আম্মুর চোখ ফাঁকি দিয়ে কড়ির ব্যাগ হাতে নিয়ে খেলতে যেতাম।কারন ছোটবেলায় আমি কড়ি খেলতে খুব ভালোবাসতাম। বৃষ্টি দিনে আমি আর আমার চাচাতো বোন মিলে আমাদের রান্না ঘরের মেঝেতে বসে কড়ি খেলতাম।
আমার ছোট বেলার এই দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। ছোট বেলার এই স্মৃতি গুলোর কথা মনে পড়লে আমি মনে মনে হাসতে থাকি। খুব মিস করি এই ছোট বেলায় কাটানো দিনগুলোকে । এই স্মৃতি গুলোর কথা মনে পড়লে প্রথমেই মনে পড়ে যায় আম্মুর সেই ছোট শাসন গুলোর কথা। ছোট বেলায় দুষ্টমি করার জন্য আব্বু আম্মুর কাছে অনেক বকুনি খেয়ছি।তবুও মনে হয় এখনকার জীবনের থেকে শৈশবের সময়টাই ছিল বেশি ভালো। কারন সেই সময় কেনো কিছুরেই চিন্তা করতে হতো না থাকতো না শারীরিক মানসিক কোনা কিছুরেই চাপ।সব সময়েই হাসি মুখ নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। কোনো কিছুই নিয়ে ভাবতে হতো না। শৈশবের এই কাটানো স্মৃতি গুলো এখনও মাঝে মাঝেই চোখের সামনে ভেসে উঠে।
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইল | Tecno 9t spark |
---|---|
ক্যামেরা | ৩৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্টের ধরণ | শৈশবের স্মৃতিচারণ |
লোকেশন | চিরিরবন্দর গুড়িয়া পাড়া |
ধন্যবাদ,
@siza
বাহ্ আপু বাহ্ কড়ি খেলা নিয়ে দারুন একটা পোস্ট করেছেন। কড়ি খেলা আমিও ছোটতে খেলেছি। কড়ি খেলে মেয়েরাই বেশি খেলে।বাট ছোটতে মাঝে মাঝে ছেলেরাও খেলে।আপনি কড়ি খেলা নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন আপু। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
শৈশবের স্মৃতিচারণ নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু। সোনালী অতীত, অনেক মিস করি শৈশবকে। আপনার পোস্টটি অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
শৈশবের স্মৃতি বেশ মজার ছিলো আপনার। শৈশবে এখন ও ছোট ছোট বাচ্চা রা এই ভাবে কড়ি খেলে থাকে। দেখে ভালোই লাগল আপনার পোস্ট টি। ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শৈশবের স্মৃতিগুলোর ভেতর বেশ জনপ্রিয় একটি দিক আপনি তুলে ধরেছেন।শৈশবে এভাবে কড়ি খেলার অভিজ্ঞতা আমার আছে। খুব খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি আসলে শুভ স্মৃতি মনে পড়ে গেল।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোষ্ট উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আগেকার দিনে গ্রামের বড় আপুদের দলবেঁধে এই কড়ি খেলা দেখতাম। কিন্তু এখন আর এই প্রযুক্তির যুগে বর্তমানে এই খেলা বিলুপ্তির পথে। আর কেউ এই কড়ি খেলেনা সবাই ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার শৈশবের সৃতি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন।
প্রতিযোগিতার ১৫তম সপ্তাহ -শৈশবে কড়ি খেলার স্মৃতি নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।আপনার পোস্ট দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ছোটবেলায় গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের এই খেলা গুলো খেলতে দেখেছি অনেক। মাঝে মাঝে আমিও চেষ্টা করেছি। ওই সময় কাটানোর সময় গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
কড়ি খেলার সাথে আমাদের শৈশবের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আগে আমরা সবাই একসাথে মিলে কড়ি খেলতাম।ব্যাগে করে কড়ি নিয়ে স্কুলে যেতাম ও সেখানেও খেলতাম।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
কড়ি খেলা বর্তমান সময়ে চোখে পড়ে না খুব কমই। আপনার পোস্ট পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আগেকার সময়ে দেখা যেত ছেলে মেয়ে উভয় পক্ষই কড়ি খেলত।তবে কড়ি খেলা মুলত মেয়েদের। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া