ঐতিহ্যবাহী খাবার- মিষ্টান্ন।
সোমবার,
তারিখ - ০৫ ই জুন ২০২৩।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তারা এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। আজ আমি ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন নিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে।
ছোট বড় সকল বয়সি লোকেরাই মিষ্টি খেতে পছন্দ করে।মিষ্টি খেতে পছন্দ করে না এমন লোক খুব কমেই মিলে। বাঙালির যেকোনো অনুষ্ঠানে মিষ্টি ছাড়া পূর্নতা পায় না।বিশেষ করে বিয়ে বাড়ি,পরিক্ষার ফলাফল, গায়ে হলুদে মিষ্টি ছাড়া তো জমেই না। সকল ধরনের খুশির খবরেও মিষ্টি মুখ করানো হয়। খাওয়া দাওয়া শেষে মিষ্টি খেতে অনেকে পছন্দ করে। বাঙালির সব ধরনের অনুষ্ঠানে মিষ্টি ছাড়া যেন পূর্নতা আসে না।মিষ্টি খেতে আমি ও খুব ভালোবাসি।আব্বু আমার জন্য প্রায়ই বাসায় মিষ্টি নিয়ে আসে।কিছুদিন আগে আমি আমার আম্মুকে নিয়ে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজে যাই ডিপার্টমেন্টের কিছু কাজে।কলেজে কাজ শেষে বাসায় আসার সময় আম্মু সহ সোহেল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে নাস্তা খেলাম।এই হোটেলটি চিরিরবন্দর থানার ঘুঘুরাতলীতে অবস্তিত।এখানে বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি পাওয়া যায়।হোটেলে ঢুকে টেবিলে বসে আমি ছানার বরফির অর্ডার দেই।খাওয়া শেষে আম্মু যখন বিল দেয় এরই ফাকেঁ আমি কিছু মিষ্টির ফটোগ্রাফি করি।আর এই ফটোগ্রাফি করা মিষ্টি গুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে বনর্না করতে যাচ্ছি।
এই মিষ্টি ও তৈরি করা হয় দুধের ছানা থেকে।চমচমের গড়ন অনেকটা লম্বাটে। বাইরে থেকে দেখতে অনেকটা পোড়া ইটের মতো ও হালকা শক্ত। কিন্তু ভেতরা অনেক নরম ও রসে ভরা।এই মিষ্টির স্বাদ অতুলনীয়। এই মিষ্টিটি দেখতেই অনেক লোভনীয়। সব বয়সের লোকেরাই খেতে পছন্দ করবে।এই মিষ্টিটি ৩২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়।
গরুর দুধ দীর্ঘ সময় আগুনে জাল দিয়ে তা ছানায় রুপান্তরিত করা হয়। আর এই ছানা দিয়ে তৈরি করা হয় ক্ষীর চমচম মিষ্টি।এই মিষ্টিটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার।এই মিষ্টি শহরের বড় বড় হোটেলগুলোতে বিক্রি করা হয়। এই মিষ্টির কেজি ৩৫০ টাকা।
এই মিষ্টিটি তৈরি করা হয় ঘি দিয়ে। এটি মিষ্টি গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু। এই মিষ্টিটি আমি প্রথম খেয়েছিলাম আমবাড়ি শাহ্ হোটেলে।এই মিষ্টি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়।
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইল | Tecno 9t spark |
---|---|
ক্যামেরা | ৩৮ মেগাপিক্সেল |
পোস্টের ধরণ | ঐতিহ্যবাহী খাবার- মিষ্টান্ন। |
লোকেশন | চিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া। |
ধন্যবাদ,
@siza
মিষ্টি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার, আপনি মিষ্টি নিয়ে অসাধারণ উপস্থাপনা করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো। ক্ষীর চমচম, আর ঘি টোষ্ট দেখে তো খেতে ইচ্ছে করতেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মিষ্টি নিয়ে এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
https://twitter.com/siza37854890783/status/1665775652514193408?t=n1LwL1Civ15ijSQlMtMYhQ&s=19
মিষ্টি আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। মিষ্টি খেতে কমবেশি সকলে ভালোবাসে। স্পেশাল ঘি টোস্ট খেতে অনেক মজা লাগে। কিন্তু দাম অনেক বেশি ৪০০। সুন্দর ছবি তুলেছেন আপনি। অসংখ্য ধন্যবাদ ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি খুব সুন্দরভাবে মিষ্টিগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন।মিষ্টি কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রতিযোগীতার জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নিয়ে সুন্দর লেখছেন আপু। মিষ্টি আমিও অনেক পছন্দ করি।আর বাঙালি মিষ্টি পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া অনেক মুসকিল। আপনি মিষ্টির দারুণ ফটোগ্রাফি করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ
মিষ্টি সকলের পছন্দের একটি খাবার। আর আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে অবশ্য সবারই লোভ লাগার কথা। মিষ্টি নিয়ে দারুণ লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
অজানা কিছু মিষ্টির নাম জানতে পারলাম৷ ঘি টোস্ট মিষ্টি নাম দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে৷ দাম অনেক বেশি 🙄।
ধন্যবাদ ভাইয়া
মিষ্টি আমার একটি পছন্দের খাবার। মিষ্টি গুলো বেশ লোভনীয় লাগছে। আমাদের পার্বতীপুরে শাহ্ হোটেল এর মিষ্টি বেশ জনপ্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে মিষ্টান্ন। মিষ্টি জাতীয় জিনিস আমার খুব পছন্দ। ছোট থেকেই মিষ্টি আমি খুব খাই। তবে ছানার মিষ্টি আমার খুব পছন্দ। আপনি মিষ্টি নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া