//যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী শিলপাটা\\
কেমন আছেন সবাই।আশা করছি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি স্টিম ফর ট্র্যাডিশন কমিউনিটি তে আমাদের ঐতিহ্যবাহী শিলপাটা নিয়ে কিছু বলবো।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এবং সময়ের বিবর্তনে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে শিলপাটার ব্যবহার।বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ব্লেন্ডার ব্যবহার করার ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এই শিলপাটা।যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে এই শিলপাটা।সবকিছুই বাটা যায় এই শিলপাটা দিয়ে।নানান ধরনের খাবারের ভর্তা,রান্নার মসলা, মেহেদী পাতা বাটা সবকিছুই সুন্দর করে শিলপাটায় বাটা যায়।যে যার প্রয়োজন মত মসলা করতে পারে মিহিন, আবার করতে পারে আধা বাটা।যার যার প্রয়োজন অনুযায়ী বেটে নেয়।
ইলেকট্রনিক ব্লেন্ডার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও,শিলপাটার নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। শিলপাটা নষ্ট হয় তখনই যখন পাটা/পাথর ভেঙে যায়।আর ভাঙ্গার সম্ভাবনাও থাকে অনেক কম,যুগ চলে যায় কিন্তু শিলপাটা তার অস্তিত্ব বজায় রাখে।শিলপাটা গুলো অনেক ভারী হয়ে থাকে,স্থানান্তর করতে শক্তি প্রয়োজন হয়।
আগে একটা সময় গৃহিণীরা শিলপাটা ছাড়া চিন্তা করতে পারত না। তারা এতটা নির্ভরশীল ছিল যে শিলপাটা ছাড়া চুলায় রান্না উঠতো না।রান্নার যাবতীয় মসলা শিলপাটায় বাটা হতো।হলুদ,মরিচ,আদা রসুন সব উপকরণই রান্নার আগে বেটে নিতো।কিন্তু হালের বিবর্তনে এইসব এখন আর চোখে পড়ে না। কিন্তু এখনো অনেক পরিবার আছে যারা কিনা শিলপাটায় মশলা বাটা ছাড়া রান্না করে না। শিলপাটায় বাটা মসলার এক অন্যরকম স্বাদ পায়।ভিন্ন স্বাদ এনে দেয় মাছ - মাংস, বিভিন্ন ধরনের সবজিতে শিলপাটায় পেষানো মসলা।শুটকি ভর্তা,কালো জিরে ভর্তা,ধনিয়া পাতা ভর্তা,রসুনের ভর্তা এছাড়াও হরেক রকমের ভর্তা শিলপাটায় বেটে খেয়ে থাকে।ভর্তা বাটা শেষে পাটায় লেগে থাকা ভর্তায় ভাত মিশিয়ে হালকা একটু আধবাটা দিয়ে মজা করে খেয়ে থাকে অনেকেই।এই ভাতে আসলেই অসাধারণ স্বাদ পাওয়া যায়।
এই শিলপাটা তৈরি করে করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করে।শিলপাটা যারা তৈরি করে তারা খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেননা শিলপাটা তৈরির সময় নাকের ভিতর দিয়ে ফুসফুসের মাধ্যমে ছোট ছোট পাথর ভিতরে প্রবেশ করেন,এর কারণে নানা বিধি রোগ দেখা দেয়।বিভিন্ন এলাকায় দেখতে পাওয়া যায় শিলপাটায় ধার দেয় এমন পেশার লোকদের।তারা পায়ে হেঁটে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে উপার্জন করে থাকে।তাদের পরিশ্রম অনেক কিন্তু পারিশ্রমিক কম।এজন্যই অনেকেই এই পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়।ধীরে ধীরে ঐতিহ্যের এই উপকরণটিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে আমাদের কাছ থেকে।
শিলপাটা নিয়ে নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। সব ধরনের মসলা বাটা ও ভর্তা করার কাজে এই পাথরের শিলপাটা ব্যবহার করা হয়। ধন্যবাদ আপু শিলপাটা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
শীলপাটা গ্রামের ঐতিহ্য, শীলপাটায় মসলা বাটা রান্না অনেক সুস্বাদু হয়। আমাদের গ্রামের বাড়িতে এখনো আমার মা শীলপাটায় মসলা বেটে রান্না করে। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন, অনেক ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
শিলপাটা ঐতিহ্য বহন করে। আগেকার সময়ে দেখা যেত শিলপাটা ছাড়া কোন কিছুর চিন্তা ভাবনা ছিল না। এই শিলপাটায় মেহেদী, মসলা,ভর্তা ইত্যাদি পিষে মিহি করা হতো। শিলপাটা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু।
এখনো বেশিরভাগ মানুষ শিলপাটায় ভর্তা বানিয়ে থাকে।কেননা ব্লেন্ডারে ভর্তা বানালে স্বাদ পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্টের জন্য।
শিলপাটা গ্রাম- অঞ্চলে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গ্রামের লোকেরা শিলপাটায় করে রান্না জাতীয় উপকরণ গুলো মিহি করার কাজে ব্যবহার করে থাকে৷ ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শিলপাটা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই শিলপাটা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য । সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
শিলপাটা নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হয়েছে। আমাদের বাসায়ও শিলপাটা আছে। যেগুলো দিয়ে আমার মামা মাঝে মাঝে মসলা বাটেন । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
ঐতিহ্যবাহী শিলপাটা নিয়ে দারুণ লেখছেন আপু। শিলপাটা আমাদের পুরনো দিনের ঐতিহ্য, আগের যুগের মানুষ বেশির ভাগ শিলপাটা ব্যবহার করতো।এখন এই শিলপাটা খুব কম দেখা যায়। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
শিল পাটা নিয়ে আপনি খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি রাতে ু ছবিগুলো তুলেছেন। আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী আপু ছবিগুলো আমি রাতেই তুলেছিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
শিলপাটা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। একসময় শিলপাটার ব্যবহার অনেক বেশি ছিল। বর্তমানেও ব্যবহার করা হয় কিন্তু কম। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্তমানে আমাদের দেশে শিল পাটার ব্যবহার অনেক অংশে কমে গিয়েছে ৷ কেননা বর্তমান সময়ে সবাই আধুনিক জিনিসপত্র ব্যবহার করে ৷ গ্রামে এখনো শিল পাটার ব্যবহার হয় কিন্তু শহরের মানুষেরা ব্যবহার করে না ৷ দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি ধন্যবাদ৷
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।