পার্বতীপুর শহরের মধ্যে সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কারখানা
বৃহস্পতিবার
তারিখ - ০৩ আগস্ট ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় স্টিমবাসী। সবাই কেমন আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি। আজকে আমি স্টিম ফর ট্র্যাডিশন কমিউনিটি তে পার্বতীপুর শহরের মধ্যে সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কারখানা নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। তো চলুন শুরু করা যাক।
পার্বতীপুর শহরের ভিতরে সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কারখানা হচ্ছে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা। এখানে ট্রেনের ইঞ্জিনের যাবতীয় যন্ত্রপাতি সবকিছু খুলে নতুন করে পুনরায় সেট করা হয় এবং এখানে বিভিন্ন ধরনের এক্সিডেন্ট করা লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন এবং বিভিন্ন ধরনের শিডিউল জাতীয় ইঞ্জিন গুলো এখানে পুনরায় মেরামত করা হয়। সেই সাথে সিডিউল করা হয়। তবে এখানে বেশিরভাগ মিটার গেজ রেলওয়ে ইঞ্জিন গুলো মেরামত করা হয়। কিছুদিন আগে ভারত থেকে যে ২০ টি লোকোমোটিভ বাংলাদেশের রেলওয়ে কে উপহার হিসেবে দিয়েছিল সেগুলো বর্তমানে এই কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় অবস্থান করছে। এখান থেকে সেগুলো রং করা হবে এবং বিভিন্ন টেস্ট করার পরে এটা যাত্রীবাহী ট্রেন এবং মালবাহী ট্রেনের সাথে সংযুক্ত করা হবে।
আপনারা যে গেটের দরজা দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে কারখানার মূল ভবনের গেট। এই গেট দিয়ে রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রবেশ করে এবং ভিতরে বাংলাদেশের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী যেটা সংক্ষেপে আর এন বি বলা হয় তারা এই রেলওয়ে অফিসটি সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। অবশ্য তারা দিন রাত সমান ভাবে জেগে থাকে। দিনে যেমন জেগে থাকা লাগে তেমনি রাতেও নিরাপত্তার জন্য তারা জেগে থাকেন। পুরো রেলে অফিসটি তারা সার্বক্ষণিক পাহারা দিয়ে থাকে যেন ভিতরে কোন মালামাল ক্ষয়ক্ষতি বা চুরি যেন না হয়।
আপনারা যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এখানে বছর খানিক আগে রেলের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে সামনে কিছু ফুলবাগান এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কিছু লাইট লাগিয়েছেন। যাতে মানুষ এটা দেখে সহজেই বুঝতে পারে যে এটা বাংলাদেশের রেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন। তবে এখানে সব ধরনের কাজ করা হয় সেটা মিটারগেজ হোক বা ব্রডগেজ। এখানে বিশেষ করে দক্ষ কর্মচারীর দ্বারা রেলের কাজ করা হয়ে থাকে। যাতে করে পরবর্তীতে যাত্রীবাহী এবং মালবাহী ট্রেনের সাথে সংযুক্ত করার পরে যেন কোন সমস্যা না দেখা দেয়।
এটি হচ্ছে রেলওয়ে কারখানার মূল ভবন। যেখানে এই সকল কাজ করা হয়। আর আমি এই ছবিগুলো বাহির থেকে তুলেছিলাম একদিন।
ডিভাইস | Xiaomi Mi A2. |
---|---|
লোকেশন | পার্বতীপুর, বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার | @shamimhossain |
পার্বতীপুর রেলওয়ে কারখানা নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। কেলোকা কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ রেলওয়ে কারখানা নিয়ে অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন ভাই। রেলওয়ে কারখানা দিন দিন দক্ষ কারিগর অবসরে যাচ্ছে, নতুন জনবল নিয়োগ না হওয়ার কারণে , এক সময় কারখানা তার প্রাণ হারিয়ে ফেলবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি পার্বতীপুর রেলওয়ে অনেক বড় এবং অনেক নিরাপত্তাধীন, রেলওয়ে নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, অনেক অজানা বিষয় জানতে পারলাম, আপনার ফটোগ্রাফি গুলোও অনেক চমৎকার হয়েছে, সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দিলেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই।
পার্বতীপুর রেলওয়ে সম্পর্কে কি বলবো এখানে যে পরিমাণ জায়গা হয়েছে যদি কোন একটি বড় উদ্যোগ নেওয়া যায় তাহলে এটি আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম স্টেশনের মধ্যে একটি হবে। এবং আপনি অসাধারণভাবে একটি ফুটিয়ে তুলেছেন। আমাদের পার্বতীপুর বাসীর জন্য একটি গৌরবের বিষয়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ
পার্বতীপুর শহরের রেলওয়ে কারখানা সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই, পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। প্রতিটা ছবিও খুব সুন্দর ভাবে তুলেছেন। সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকবার চোখে পড়েছিল এই গেট গুলো। কিন্তু ভেতরে কি আছে তা কখনো দেখা হয়নি। সবার মুখে শুনেছি যে এটি একটি রেলওয়ে কারখানা। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
ট্রেনের এই কারখানাটি আমার কখনো দেখা হয়নি পার্বতীপুরে।তবে আশা আছে একবার দেখব। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাই। কারখানার সামনের ফুলের গাছগুলোর কথা আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
রেইলস্টেশন লোকোমোটিভ কারখানায় আমি কয়েকবার জমি দেখার জন্য গিয়েছিলাম। যায়গাটি আসলেই অনেক বড়। সেখানে অনেক ট্রেন মেরামত করতে দেখতে পাওয়া যায়। এর ভিতরব আসলেই অনেক সুন্দর ফুলের গাছ গুলো দেখতে ভালই লাগে ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
পার্বতীপুর শহরের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কারখানা হচ্ছে লোকোমোটিভ কারখানা। সৈয়দপুর শহরে যাওয়ার পথে এই লোকোমোটিভ কারখানাটি পড়ে। এই কারখানায় অনেক শ্রমিক কাজ করে। পার্বতীপুর শহরের লোকোমোটিভ কারখানা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ