||ঐতিহ্যবাহী ছাব্বিশ বিঘা পুকুর||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
পুকুর পাড়ে বসে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। পড়ন্ত বিকেলে পুকুর পাড়ে বসে সময় কাটানোর অনুভূতি অন্যরকম। কয়েকদিন আগে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় বড় একটি পুকুর দেখতে গিয়েছিলাম। মানুষজনের মুখে অনেক নাম শুনেছি এই পুকুরের। ভেবেছিলাম হয়তো পুকুরটা আয়তনে বড় হবে এর বেশি কিছু না। গাবতলী থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই পুকুরের অবস্থান। এই পুকুরটির পাশ দিয়ে সান্তাহার - লালমনিরহাট রেল লাইন চলে গেছে ।
অনেক বছর আগে এই পুকুরটি খনন করা হয়েছে। এখানকার লোকজনকেও সঠিক বছর বলতে পারেনি। এই পুকুরটিকে সবাই ছাব্বিশ বিঘা পুকুর নামে জানে। ২৬ বিঘা জমিতে এই পুকুর খনন করা হয়েছে তাই এরকম নামকরণ। আমি যখন এখানে আসি তখন বিকেল পাঁচটা। সূর্যটা পশ্চিম দিকে হেলে রয়েছে, হালকা বাতাস রয়েছে সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটি পরিবেশ। আমি প্রথমে এই পুকুরপাড়ের পাশে রেললাইনে বসে কিছুক্ষণ পুকুরটা দেখতে লাগলাম।
আজকের আবহাওয়া অনেক ভালো ছিল, গত কয়েকদিন প্রচন্ড গরম ছিল। আমি উত্তর পাশ দিয়ে পুকুরের পাড়ে দেখতে পেলাম সারি সারি লেবু গাছ লাগানো। পুকুরের পাড় গুলো অনেক প্রশস্ত। কিছুদূর যেতেই দেখতে পেলাম অসংখ্য ফুল গাছ লাগিয়ে রেখেছে এবং অনেক ফুল ফুটেছে কিন্তু এই ফুল গাছগুলোর নাম আমি জানিনা। পুকুর পাড়ে অনেক ফল গাছ লাগানো হয়েছে যেমন আম, লিচু,পেঁপে ইত্যাদি।
পুকুর দেখাশোনা করার জন্য এবং সরঞ্জাম রাখার জন্য একটি ঘর দেখা যাচ্ছে। ঘরের পাশেই একটি চাল কুমড়ার মাচা,সেখানে চাল কুমড়া ঝুলে আছে। পুকুরের পাড় এতটাই প্রশস্ত মনে হচ্ছে হাইওয়ে দুই লেনের একটি রাস্তা। এই পুকুরে যখন মাছ ধরা হয় আশেপাশের অনেক লোক এখানে মাছ কিনতে আসে। বড় পুকুরের মাছ এমনিতেই অনেক স্বাদ হয়। বর্ষাকালে যখন আশেপাশে পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়, তখন এই পুকুরে পানি অনেক বেড়ে যায় কিন্তু কখনো ডুবে যায় না।
এই পুকুরে কোন স্থায়ী ঘাট রাখা হয়নি। এখন যেহেতু পুরোপুরি বর্ষাকাল আসেনি তাই পুকুরের পানি অনেক কম।তাছাড়া এ বছর এখানে বৃষ্টিপাত খুব কম হয়েছে। আমি পাড় থেকে পুকুরের পানির কাছে যাওয়ার জন্য নিচে নামলাম। নিচে দেখতে পেলাম একটি ভাসমান ঘাট তৈরি করা হয়েছে প্লাস্টিকের খালি ড্রাম এবং উপরে কাঠ বিছিয়ে। এটি এভাবে তৈরি করা হয়েছে কারণ পানি বাড়ার সাথে সাথে এই ঘাটও উপরে ভেসে ওঠে।
এটিকে ঘাটও বলা যায় আবার নৌকাও বলা যায়। কিছুক্ষণ এটার উপর বসে সময় কাটালাম। তারপর আবার পাড়ে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটতে থাকলাম। একটি নৌকা দেখতে পেলাম কিন্তু কোন বৈঠা ছিল না তাই নৌকাটি আর চালাতে পারলাম না। তারপর পুকুরের চারপাশ খুব ভালোভাবে ঘুরে দেখলাম।
বন্ধের দিন এখানে প্রচুর মানুষ ঘোরাঘুরি করতে আসে। এত বড় আয়তনের পুকুর সাধারণত খুব কম দেখা যায়। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ভালো একটি সময় কাটালাম এখানে।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় অবস্থিত এই ছাব্বিশ বিঘা পুকুরটি দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর। আপনার পোস্টের মাধ্যমে এতো সুন্দর একটি পুকুর দেখতে ও জানতে পারলাম। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1671376145739296769
ঐতিহ্যবাহী ছাব্বিশ বিঘা পুকুর নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।অসাধারণ হয়েছে পোস্ট। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী ছাব্বিশ বিঘা পুকুর নিয়ে দারুন উপস্থাপন করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে অসাধারণ একটি জায়গা। নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে এসব জায়গায় ঘুরতে যেতে খুবই ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ঘেরা এই পুকুরটি দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর লাগতেছে ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলোতে। পুকুরটি সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে। পুকুরটি কি ব্যক্তিগত মালিকাধীন না সরকারি? ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী ছাব্বিশ বিঘা পুকুর নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ভাই। দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটি অনেক নিরিবিলি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা চারপাশ। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
ছাব্বিশ বিঘা পুকুর নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন। পুকুরটি আসলেই অনেক বড় ও দেখতে সুন্দর। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
অনেক সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই, এতো বড় পুকুর আমাদের এইদিকে কখনো দেখি নাই। আমি পঞ্চগড়ে এতো বড় একটা পুকুর দেখছি।আপনি ছাব্বিশ বিঘা পুকুরের সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
ভাইয়া, যে পুকুর পাড়ে জারুল ফুল গাছ রয়েছে সেটি আমার কাছে অনেক সুন্দর জায়গায়। জারুল ফুল গাছ পুকুর পাড়ের সৌন্দর্য বহুবনে বাড়িয়ে দেয়। আপনার শেয়ার করা প্রথম ছবিটি আমার কাছে এক কথায় চমৎকার লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য
বিশাল একটি পুকুর। এতো বড় পুকুর আমি মনে হয় এর কাগে কখনো দেখি নি। গাবতলী দেখে আমি প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। পরে বুঝতে পারলাম যে বগুড়া গাবতলীর কথা বলেছেন। বন্ধের দিনে ভালোই একটা সময় কাটিয়েছেন। ছবিগুলা মাহশাল্লাহ অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই