||ঐতিহ্যবাহী বাঁশের সাঁকো||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় ছোট ছোট খাল বা নদী পার হওয়ার জন্য সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। একটা সময় এসব ছোট নদী বা খালে সেতু তো ছিল না। পার হওয়ার জন্য বাঁশের সাঁকো অথবা ছোট নৌকা ব্যবহার করত। নির্দিষ্ট একটা ভাড়ার বিনিময়ে নৌকায় পার হওয়া যেত,ছোটবেলায় এরকম দেখেছি আমি। বাঁশের সাঁকো গুলো এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে তৈরি করতেন বেশি।
এখন আর বাঁশের সাঁকো খুব একটা দেখা যায় না। এখানে যে বাঁশের সাঁকো দেখতে পাচ্ছেন এটি বগুড়া শহরের চেলপাড়ায় করতোয়া নদীর উপর তৈরি করা হয়েছে। এখানে একটি ব্রিজ ছিল সেটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। সেই ব্রিজের বিকল্প হিসাবে মানুষের চলাচলের জন্য এই বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছে। বগুড়া শহরের অনেক মানুষের হয়তো বাঁশের সাঁকোতে কখনো ওঠা হয়নি। অনেক মানুষ দেখা যায় যাচ্ছে খুব আগ্রহ নিয়ে এই সাঁকো পার হচ্ছে।
প্রতিদিন এখান দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বগুড়া অনেক ব্যস্ততম একটি শহর। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে আমি মাঝে মাঝে পার হয়ে থাকি অনেক ভালো লাগে। নতুন ব্রিজ তৈরি করার ফলে অনেক ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা এখন আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় বসে দোকানদারি করতেছে। বগুড়ার এই করতোয়া নদীটির মৃত বলা যায় কারণ এখানে সারা বছরই তেমন পানি থাকে না।
এখন বর্ষাকাল তারপরও এই নদী পানি শূন্য। দখলদারদের কারণে নদীর বিভিন্ন জায়গা দখল হয়ে গিয়েছে এবং ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে এই দুরবস্থা। যেদিন বৃষ্টি হয় এই সাঁকো দিয়ে মানুষের পারাপার কষ্ট হয়ে যায়। কারণ বাঁশের সাঁকোর এক পাশে মাটির রাস্তা রয়েছে ।অনেকে ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে আসে তারপর এই বাঁশের সাঁকো পারাপার হয়। বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা এই বাঁশের সাঁকোর সাথে পরিচিত না। বগুড়া শহরের নতুন এই ব্রিজ তৈরি হওয়ার কারণে অনেকের বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে স্বপ্নপূরণ হয়েছে।
আমি যখন এই সাঁকো পার হচ্ছিলাম তখন ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। তখনকার নদী এবং খাল গুলো ছিল অনেক পরিষ্কার সবসময় পানি থাকতো। সেতুর কাজ শেষ হলে এই বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে ফেলা হবে।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
বাঁশের তৈরি সাঁকো নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই।আমাদের এইদিকে একটা বাঁশের তৈরি সাঁকো ছিল বর্তমান এখন সেটা ব্রিজ করছে।আমি যখন বাঁশের তৈরি সাঁকোর মধ্যে হাঁটতাম তখন খুব ভয় পেতাম।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1680080989132046336
বাঁশের তৈরি সাঁকো গ্রামের ঐতিহ্য এক সময় নদী পারাপারের জন্য এই বাঁশের তৈরি সাঁকো ব্যবহার করা হতো। এখন বিলুপ্ত প্রায়। সব জায়গায় ব্রিজ হওয়ার জন্য এখন তেমন একটা দেখা যায় না।
ধন্যবাদ ভাই
খাল বিল নদী পার হওয়ার জন্য মানুষ সাঁকো ব্যবহার করে থাকে। তবে বর্তমানে খুব কম দেখা যায় এসব সাঁকো। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
বাঁশের তৈরি সাঁকো আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চালে বেশি দেখা যায়। গ্রামে ছোট ছোট নদী পার হওয়ার জন্য এই ধরনের বাঁশের তৈরি সাঁকো নির্মাণ করা হয়। সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের সাঁকো নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন। এই বাঁশের তৈরি সাঁকোতে আমি অনেক পারাপার হয়েছি। এখন বেশি একটা জায়গায় এই সাঁকো দেখা যায় না। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
একটা সময় যখন ছোটো ছোটো নদী পার হওয়ার জন্য যখন সেতু বা ব্রীজ ছিলো না তখন বাশের তৈরি সাকোই ছিলো নদী বা খাল পার হওয়ার একমাত্র মাধ্যম। এখন ব্রীজ নির্মানের জন্য এখন আর সাকো তেমন দেখা যায় না। তবে এখনো কিছু কিছু গ্রামে বাশের তৈরি সাকো দেখা যায়।
ধন্যবাদ ভাই
বাঁশের সাঁকো হলো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। গ্রামের ছোট খাল,বিল ও নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হলো সাঁকো। সাঁকো তৈরি করতে বাঁশের প্রয়োজন হয়। সাঁকো নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি সাঁকো। সাঁকো মুলত ছোট নদী,খাল -বিল পারাপার হওয়ার জন্য এই বাঁশের তৈরি সাঁকো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাঁকো নিয়ে অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ আপু
বাঁশের তৈরি সাঁকোর ব্যবহার অনেক বেশি লক্ষ্য করা যেত। গ্রামের খাল ও ছোট নদী পার হওয়ার জন্য এই বাঁশের তৈরি সাঁকো ব্যবহার করা হয়। সাঁকো নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ভাই
ধন্যবাদ ভাই