||মাটির তৈরির জলকান্দা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।।
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
|---|
এক সময় আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ কুমারের তৈরি মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার করতেন।রান্না থেকে শুরু করে খাবার খাওয়া সবই এই মাটির পাত্রে করা হতো। বর্তমানে এরকম দৃশ্য আর তেমন দেখা যায় না কারণ মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এই পেশার সাথে জড়িত লোকজন অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। মাটির তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা অনেক কমে গেছে।আগে মানুষ ক্রয় করত প্রয়োজনের জন্য, এখন মানুষ ক্রয় করে শখে।
মাঝে মাঝে খাবারের মধ্যে পিঁপড়া উঠে। সারা বছর তেমন একটা দেখা যায় না গরমের সময় এর প্রভাব একটু বেশি লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার ছাড়াও পিঁপড়া উঠতে লক্ষ্য করা যায়। পিপড়ার হাত থেকে এই খাবার রক্ষা করার জন্য কুমাররা জলকান্দা তৈরি করতেন। সেই জলকান্দা প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই ব্যবহার করা হতো। মাটির তৈরি এসব জলকান্দা দেখতে অনেক সুন্দর। জল কান্দার ভিতরে পানি দিয়ে রেখে দিলে আর পিপড়া সেই খাবারে উঠতে পারতো না।
বর্তমানে এখনো মানুষ জলকান্দা ব্যবহার করে কিন্তু পরিবর্তন এসেছে। আগে ব্যবহার করতো মাটির বর্তমানে প্লাস্টিকের তৈরি জলকান্দা ব্যবহার করে। প্লাস্টিকের তৈরি এসব পণ্য বাজারে আসার পর থেকেই কুমার শিল্প হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছে। এখানে আপনারা যে জলকান্দা দুটি দেখতে পাচ্ছেন একটি হচ্ছে মাটির তৈরি আর একটি প্লাস্টিকের।
তাছাড়া কুমারের সংখ্যাও এখন কমে গিয়েছে। আগের মত মাটির জিনিস এখন তেমন সব জায়গায় পাওয়া যায় না তাই বাধ্য হয়েই অনেকে প্লাস্টিকের তৈরি জলকান্দা কিনে থাকে। মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার পিছনে আমরা সকলেই দায়ী। আমাদের দেশের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি মাটির তৈরি মৃৎ শিল্পের বিকল্প প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য তৈরি করে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এসব প্লাস্টিকের পণ্য তৈরি করে কুমার শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলার কি কোন প্রয়োজনীয়তা আছে। সামান্য এসব পণ্য তৈরি না করলে তাদের কোম্পানির কি অনেক বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়ে যাবে। আর আমরা যারা সাধারন জনগণ আমরা যদি প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যগুলো না ক্রয় করতাম, তাহলে হয়তো কুমার শিল্প হুমকির মুখে পড়তো না। এখানে যে মাটির তৈরি জলকান্দা দেখা যাচ্ছে এগুলো অনেক আগের।
মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র টিকিয়ে রাখতে গেলে আমাদের সকলের এগিয়ে আসতে হবে। প্লাস্টিকের পণ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ মৃৎশিল্প আমাদের গ্রাম বাংলার পুরনো ঐতিহ্য।
| লোকেশন: টাঙ্গাইল |
|---|
| ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
|---|
| camera: Tecno pro8 |
|---|
|
|---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
এই জিনিসটা আমি আগেও দেখেছি। কিন্তু এর নাম জলকান্দা সেটা আমি জানতাম না। কুমারেরা এসব জলকান্দা গুলো তৈরি করে।খাবার সংরক্ষণের কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি দেখে খুব ভালো লাগতেছে।ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
এতদিন শুধু দেখে এসেছি আজকে নামটাও জানলাম আপনার মাধ্যমে। এই প্লাটফর্মে কাজ করে আমি নতুন নতুন জিনিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতেছি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া জলকান্দা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
ভাই আজকে আমি প্রথম এই নাম শুনলাম। খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। এবং জলকান্দা নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ❤️❤️❤️
ধন্যবাদ ভাই
মাটির তৈরি জালাকান্দ ঐতিহ্য বহন করে। মাটির তৈরি অনেক জিনিসপত্র আছে যা আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগে। সাধারণত এই জলকান্দা গুলো কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে। জলকান্দা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। 💞
ধন্যবাদ বড়ভাই
জলকান্দা আগে আমাদের প্রতিটা ঘরে ঘরে ছিল, কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সবাই প্লাস্টিকের পন্য সামগ্রি ব্যবহার করে।জলকান্দা হলো আমাদের এক পুরনো ঐতিহ্য, আপনি দারুণ ভাবে ফটোগ্রাফি করছেন ভাইয়া,আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু
জলকান্দা খুবই উপকার একটি মাধ্যম, রান্নাঘরে এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। কালিযুক্ত পাত্র রাখতে এবং পিঁপড়া থেকে খাবার কে সুরক্ষিত রাখতে এই জল কান্দা ব্যবহার করা হয় । আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই