||অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ এবং গ্রাম||

in Steem For Traditionlast year

Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন



অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ এবং গ্রাম



Polish_20230812_105747589~2.jpg



Logo_Maker_com.ist.logomaker_Wed_Jun_07_14_55_47_GMT_06_00_2023_1686128147056~3.jpg



IMG_20230808_091553_905.jpg

IMG_20230808_091556_414.jpg

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আমাদের দেশে অসংখ্য নদী-নালা,খাল-বিল রয়েছে। বর্ষাকাল আসলে এসব নদী-নালা,খাল-বিল পানিতে থৈ থৈ করে। প্রতি বছর আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। এই বন্যা অতিবৃষ্টির কারণে হয় এবং ভারত থেকে নেমে আসা পানিতেও হয়। এখানে ছবিতে যে পানি দেখা যাচ্ছে,এগুলো দেখে যে কেউ মনে করবে, এটি হয়তো ছোট নদী অথবা বিল।


IMG_20230808_091629_859~2.jpg

IMG_20230808_091650_624.jpg

IMG_20230809_171811_816.jpg

সবার ধারণাটাই ভুল প্রমাণ হবে, কারণ ফসলের মাঠ এবং গ্রাম অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। বগুড়াতে এমনিতেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম। গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে এই এলাকায় ধানের চারা রোপন করা হয়েছে। এখানকার কৃষকরা কখনো চিন্তা করেনি এরকম বৃষ্টিতে সব তলিয়ে যাবে। ফসলের জমি থেকে যদি এই পানি তাড়াতাড়ি নেমে না যায়, তাহলে ফসলের অনেক ক্ষতি হবে।


IMG_20230808_091550_987.jpg

IMG_20230808_091633_669.jpg

একটা প্রবাদ আছে, কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ। অতিবৃষ্টির এই পানি কৃষকদের কাছে চিন্তার বিষয়। কিছু মানুষের কাছে এই পানি খুশির বিষয়। অনেক মানুষ এই পানিতে মাছ ধরায় ব্যস্ত। এই এলাকায় অসংখ্য ছোট বড় পুকুর রয়েছে। পুকুরগুলোতে সারা বছর মাছ চাষ করা হয়। এখানকার ৯০% পুকুর এই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছগুলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই বিভিন্ন রকম জাল দিয়ে সেই মাছ ধরায় ব্যস্ত।


IMG_20230808_091506_113.jpg

IMG_20230808_091646_970.jpg

এরকমও দেখা যাচ্ছে ফসলের জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে,সেই জমিতে বিভিন্ন রকম জাল দিয়ে মাছ ধরতেছে। যার ফলে সেই ধানের চারা গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাছ ধরা এরকম একটা নেশা কারো ক্ষতি হলো কিনা সেটা দেখার বিষয় থাকে না তখন। এই এলাকার মানুষ এরকম পানি কখনো দেখেনি তাই অনেকের কাছে আতঙ্ক এবং অনেকের কাছে খুশির বিষয়।


IMG_20230808_091641_375.jpg

আর কয়েকদিন যদি টানা বৃষ্টি থাকে তাহলে এখানকার বাড়ি ঘরে পানি উঠে যাবে কারণ এখানকার বাড়িঘর গুলো জমি থেকে খুব উঁচু নয়। তারা বাড়িঘর তৈরি করার সময় কখনো চিন্তা করেনি যে এখানে এত পরিমান পানি হতে পারে। কয়েকজন ছোট ছোট ছেলে দেখলাম এই পানিতে কলা গাছ দিয়ে ভেলা বানিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারপরও এই পানি যত তাড়াতাড়ি নেমে যাবে কৃষকের জন্য মঙ্গলজনক।



লোকেশন: বগুড়া
ফটোগ্রাফার : @selimreza1
camera: Tecno pro8




আমার পরিচয়

আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।

ধন‍্যবাদ সবাইকে

You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png

Vote for @bangla.witness

Sort:  
 last year 
কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় এমন অবস্থা হয়েছিল যে,অনাবৃষ্টির কারণে ধান লাগানোই সম্ভব হচ্ছিল না। জমিতে পানি সেচ দিয়ে কৃষকদের ধান চাষ করতে হচ্ছিল। আমার আব্বুও শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে তারপর ধান লাগিয়েছেন। কিন্তু ধান লাগানোর দুই থেকে তিনদিন পরেই এমন বৃষ্টি শুরু হল যে,এক রাতেই সব তলিয়ে গেল। তবে আপনি একটা কথা ঠিক বলেছেন। কিছু অসাধু লোকেরা সদ্য ধান লাগানো জমিতেও মাছ ধরছেন।এতে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়।সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ।
 last year (edited)

অনেক ধন্যবাদ আপু

 last year 

জ্বি ভাইয়া আসলে যখন জমির ক্ষেতে পানি থাকে তখন আমরা ফসলের কথা চিন্তা না করে সে ফসলের খেতে জাল ফেলিয়ে মাছ ধরি এতে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে আমরা এটা ভুলে যাই।আর এখন যে আবহাওয়া কোথাও অতি বৃষ্টি হচ্ছে আবার কোথাও খরা হচ্ছে। বর্ষার মৌসুমের অনেক সুন্দর একটি বিষয় আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

আপনার কমেন্টে দাঁড়ি কমা ব্যবহার করবেন।

 last year 

দিনাজপুরে ওই একই অবস্থা ভাই।অতিবৃষ্টির কারণে গ্রামের অনেক জায়গায় তলিয়ে গেছে আমাদের এদিকে। বিশেষ করে যারা নতুন ফসল জমিতে লাগিয়েছেন তাদের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই অতিবৃষ্টি।দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

কিছুদিন আগে মানুষ অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারেনি। অথচ এখন বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় একই জমিতে ধানের চারা রোপন করতে পারছেন না কৃষকেরা। আমাদের এলাকায় জমিগুলোতে পানি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। আপনি ঠিক বলেছেন , জমিতে ধান লাগানোর পর প্রতিটা কৃষকের জন্য অতিবৃষ্টি একটা চিন্তার বিষয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন‍্য

 last year 

অতিবৃষ্টির ফলে অনেক ফসলের মাঠ এবং বাড়িঘর তলিয়ে যায় প্রতিবছর আমাদের দেশে। এতে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পানিতে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। গতকাল বাড়িতে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম আমাদের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল। যারা মাছ ধরে তারতো কারো কথা চিন্তা করে না, ফসল এর উপর দিয়ে জাল ফেলে। তাতো আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসল। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ ভাই

Loading...
 last year 

কিছুদিন আগে এমন অবস্থা হয়েছিল যে কৃষকেরা পানির অভাবে ধান লাগাতেই পারছিল না।অনাবৃষ্টি ও অতিরিক্ত লোডশেডিং এর ফলে এবছর মানুষ শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে জমি চাষ করে ধান লাগাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু ধান লাগানোর কিছুদিনের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়।আর এতে অনেক জমি তলিয়ে গিয়ে ফসল নষ্ট হচ্ছে। আপনাদের এলাকার মতো আমাদের এলাকার ও একই অবস্থা। ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year (edited)

অনেক ধন্যবাদ আপু

মাঠ তলিয়ে যাওয়ার মত অত বৃষ্টি আমাদের এদিকে হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ, কৃষকদের প্রয়োজন মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। ঠিকই বলেছেন ভাই কারোর পৌষ মাস কারো সর্বনা, কারোর পুকুরের মাছ চলে যায় আর কেউ জাল দিয়ে ধরে সেটা মহানন্দে ভোগ করে। এটাই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। সাজিয়ে গুছিয়ে খুব সুন্দর ভাবে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

বেশি কিছুদিন আগেও পানির অভাবে জমিতে ধান গাছ রোপন করা যাচ্ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে আমাদের এলাকায় একই অবস্থা ভাই। জমি সব তলিয়ে গেছে। তবে আমাদের এলাকায় এতো বৃষ্টি হয়নি। আপনাদের অইদিকে এতো বৃষ্টি হইছে ভাই গ্রাম তো তলিয়ে গেছে দেখি। আল্লাহ মাপ করুক, অতিবৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করুক।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67684.16
ETH 2412.87
USDT 1.00
SBD 2.33