||গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপি বাতি||

in Steem For Traditionlast year (edited)

Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন



গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপি বাতি



Polish_20230713_090748729~2.jpg



Logo_Maker_com.ist.logomaker_Wed_Jun_07_14_55_47_GMT_06_00_2023_1686128147056~2.jpg



IMG_20230705_110850_937.jpg

IMG_20230705_110858_144-01.jpeg

গ্রাম বাংলার অনেক ঐতিহ্যবাহী কিছুই হারিয়ে গেছে এবং কিছু বিলুপ্তির পথে। 20 বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য। গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গায় এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। যার কারণে ঐতিহ্যবাহী অনেক জিনিসই হারিয়ে গেছে। আগে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। বর্তমানে যেরকম কয়েক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলে বিকল্প হিসেবে চার্জার বাতি ব্যবহার করা হয়। তখন এরকমও কোনো পদ্ধতি ছিল না।


IMG_20230705_110834_829.jpg

রাতের আলোর জন্য গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতে কুপি বাতি ব্যবহার করা হতো। ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন সেখানে বিদ্যুৎ ছিল না। এই কুপি বাতির আলোতেই প্রতি টি বাড়ি আলোকিত থাকতো। বর্তমানে এগুলো শুধুই এখন স্মৃতি। এই বাতি জ্বালাতে কেরোসিন তেলের প্রয়োজন হয়। আগে মানুষ যখন বিকালবেলা যখন হাটে যেতেন তখন কেরোসিন তেল আনার জন্য ছোট একটি বোতল নিয়ে যেতেন।


IMG_20230705_110713_190.jpg

IMG_20230705_110909_151.jpg

তখন সন্ধ্যার পরে হাটের কার্যক্রম চলত এই বাতির সাহায্যে। নিজেও দেখেছি অনেক বড় বড় কুপি বাতি ব্যবহার করতে। রাতের বেলা অনেক দূর থেকে যখন হাট দেখতাম তখন মনে হতো অসংখ্য আলো দেখা যাচ্ছে একসাথে। এখানে যে কুপি বাতিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি অনেক আগের। অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি বাড়িতে এই কুপি বাতি পেয়েছি। এটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এর সর্বশেষ ব্যবহার কবে করেছে মনে নেই কারো। কুপি বাতিটি অনেক অপরিষ্কার।আমি ইচ্ছে করেই পরিষ্কার করিনি আপনাদের দেখানোর জন্য।


IMG_20230705_111024_044.jpg

IMG_20230705_110927_124.jpg

একসময়ের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিসটি এখন প্রয়োজন শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে অযত্নে পড়ে রয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে কেউ কারো খোঁজ খবর রাখে না। কুপি বাতি বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।এটি কাঁচের তৈরি, পিতল এবং টিনের তৈরিও পাওয়া যায়। ইচ্ছে ছিল এই কুপি বাতি বাতিটি জ্বালিয়ে দেখানোর জন্য কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন কেরোসিন তেল নেই। এক সময় হয়তো এই কুপি বাতি পুরোপুরি হারিয়ে যাবে।


IMG_20230705_110757_444.jpg

ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো এদের আর দেখতে পাবে না। তখন ইন্টারনেটে খোঁজাখুঁজি করতে হবে কুপি বাতি। আমাদের সকলেরই উচিত প্রয়োজন না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এই জিনিস একটি করে নিজের বাড়িতে রেখে দেওয়া।



লোকেশন: বগুড়া
ফটোগ্রাফার : @selimreza1
camera: Tecno pro8




আমার পরিচয়

আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।

ধন‍্যবাদ সবাইকে

You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png

Vote for @bangla.witness

Sort:  
 last year 

একসময় এই কুপি বা হারিকেনই ছিল রাতের বেলা আলোর একমাত্র মাধ্যম।কিন্তু এখন প্রতিটি বাড়িতেই বিদ্যুৎ থাকায় এখন বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক বাল্ব ব্যবহার করা হয়। ছোটবেলায় আমাদের বাসায় ও এইরকম কুপি জ্বালাতে দেখেছি।আপনার তোলা কুপির ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া

 last year 

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

 last year 

ছোটোবেলায় আমিও এই কুপির আলোতে লেখাপড়া করেছি। আমাদের বাড়িতে ২-৩ টা কুপি ছিলো। যখন কারেন্ট যেতো তখন কুপির আলোতে পড়তাম। কুপিগুলো এখন আর দেখা যায় না। কুপি নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ভাই।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

বর্তমান সময়ে এই কুপি বাতি তেমন একটা দেখা যায় না। কয়েক বছর আগে গ্রামে এই কুপি বাতি দেখা যেতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে সব জায়গায় বিদ্যুৎ থাকার কারণে এই কুপি বাতি এখন অচল হয়ে গিয়েছে। সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

গ্রাম অঞ্চলের আগে যখন বিদ্যুৎ ছিলো না, তখন মানুষের একমাত্র ভরসা ছিল কুপি। আমি নিজেও কুপির আলো দিয়ে পড়াশোনা করেছি। খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। আঁধুনিকতায় হারিয়ে গিয়েছে এসব ঐতিহ্য ।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপি বাতি নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।আগের দিনে সবার ঘরে ঘরে কুপি বাতি ছিল বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়ায় এগুলো হারিয়ে গেছে।আপনি সুন্দর লেখছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে কুপির প্রচলন ছিল। তখন বিদ্যুৎ তেমন একটা ছিল না। আর বিদ্যুৎ থাকলেও যখন কারেন্ট থাকতো না তখন এই কুপি ব্যবহার করা হতো। কুপি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

এরকম কাচের একটি কুঁপি বাদে আমাদের বাসায়ও ছিল। এখন কোথায় যে হারিয়ে গেছে খুঁজেই পাইনা। এক সময় কুপি বাতি জ্বালিয়ে বই পড়া হত। বিদ্যুৎ এসে এগুলো আর দেখতে পাওয়া যায় না। অনেক সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ আপু

 last year 

আগেকার সময়ে এই কুপবাতি ছিল একমাত্র ভরসা।এই কুপিবাতি কেরোসিন তেলের সাহায্যে জ্বলে। প্রাচীনকালে কুপিবাতি কমবেশি প্রতিটি বাড়িতেই ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে এই কুপিবাতি। কুপিবাতি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

 last year 

একটা সময় এই কুপি মানুষের দৈনন্দিন রাতের সঙ্গী ছিলো। আমরা ছোটবেলায় এই কুপির আলোতে পড়াশুনা করে বড় হয়েছি। এখন তো অনেক রকমের এলইডি বাল্ব বের হয়ে অন্ধকার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58471.44
ETH 2587.53
USDT 1.00
SBD 2.44