Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
খুরমা আমাদের অনেকেরই প্রিয় খাবার। খুরমা খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। এখনো মাঝে মাঝে খুরমা কিনে খাই। ছোটবেলায় দেখতাম প্রতি শুক্রবারেই মসজিদে প্রায় মিলাদ হতো। মিলাদ শেষে খুরমা দেওয়া হতো। এই খুরমার লোভেই সবসময় মিলাদে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করতাম। খুরমা দেখলে এখনো সেই ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে হয়।
এখানে একজন ভ্রাম্যমান খুরমা বিক্রেতাকে দেখা যাচ্ছে। তিনি বগুড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রতিদিন খুরমা বিক্রি করে থাকে। এই দোকানের একটা বিষয় আমার খুব ভালো লাগলো। কাচ দিয়ে খুব ভালোভাবে ঢেকে রেখেছে, যাতে বাহির থেকে কোন ধুলা বালু প্রবেশ করতে না পারে। তাকে বললাম ভাই আপনি এই ব্যবসা কতদিন ধরে করেন। তিনি বলেন দশ বছর ধরে আমি এই ব্যবসা করতেছি।
বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যবসায় খুব একটা লাভ হচ্ছে না। এই খুরমা তৈরিতে চিনি এবং ময়দার প্রয়োজন । এই উপকরণ গুলোর দাম অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া খুরমার চাহিদা এখন আগের মত নেই। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করলে 300 থেকে 400 টাকার মতো লাভ হয়। খুরমা গুড় এবং চিনি দুটো দিয়েই তৈরি করা যায়। তবে চিনির খুরমা বেশি পাওয়া যায় সব জায়গায়।
তার এই দোকানটির নিচে তিনটি চাকা লাগানো হয়েছে ,তাই তাকে আর কাঁধে নিয়ে ঘুরতে হয় না।তিনি জানালেন এক সময় কাঁধে নিয়ে বিক্রি করতেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করার সময় তিনি ঘন্টা বাজিয়ে থাকেন। এই ঘন্টা শুনে মানুষ বুঝতে পারে কোন খাবারের দোকান এসেছে। দোকানদারের অনুমতি নিয়ে আমি বেশ কিছু ছবি তুললাম। শেষে আমি দোকানদারের একটি ছবি তুলতে চাইলাম তিনি আগ্রহ প্রকাশ করলেন। আমি এই দোকান থেকে খুরমা কিনে বাসার জন্য নিয়ে গেলাম। ভ্রাম্যমান দোকান হলেও এখানকার খুরমা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।
অনেকের মধ্যে একটা নেতিবাচক ধারণা রয়েছে যে ভ্রাম্যমাণ দোকানের খাবারের মান খুব একটা ভালো হয় না। আমাদের এলাকায় খুরমা এখন খুব কম পাওয়া যায়। বিভিন্ন হোটেলে এখন আগের মতন অর্ডার ছাড়া খুরমা তৈরি করে না। ঐতিহ্যবাহী এই খাবারগুলো টিকে থাকুক যুগের পর যুগ।
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
Vote for @bangla.witness
খুরমা অনেকে পছন্দের খাবার একটি। এটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। খুরমা মাঝে মাঝে আমার বাবা মসজিদ থেকে নিয়ে আসতো আবার আমার বাবা বাজার থেকে ও নিয়ে আসতো। কিন্তু বর্তমানে যে দাম খাওয়াই হয় না তেমন। 🙂
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1682217188210655232
আমাদের এলাকায় এটাকে খাগড়াই বলে থাকে। এটা খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার। এক কথায় বলা যেতে পারে মুখোরচর খাবার। আমাদের এলাকায় বিভিন্ন প্রকারের দোয়া মাহফিল শেষে এই খুরমা বা খাগড়াই বিতরণ করা হয়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
আমাদের দেশের মিষ্টি জাতীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারের ভিতর খুরমা হল অন্যতম।খুরমা খেতে প্রায় সবাইকে ভালো লাগে। এসব ভ্রাম্যমান খুরমার দোকান আমাদের এলাকা খুব কম দেখা যায়। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
খুরমা আমার অনেক পছন্দের খাবার। আমি মাঝে মাঝে হাট থেকে খুরমা কিনে বাসায় নিয়ে আসি। খুরমা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
ঠিকই বলছেন ভাই। ছোট বেলায় আমিও খুরমার লোভে মসজিদে অংশগ্রহণ করতাম।
আগের মত এখন খুড়মা পাওয়া যায় না।খুড়মা আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
খুরমা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আমাদের টাংগাইলের খুরমা আমার অনেক সুস্বাদু। অতিথিদের আপ্যায়নে খুরমা দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমান খুরমা মানে খুব একটা ভালো না। তবে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর বাজারের খুরমা অনেক বিখ্যাত। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। সময় হলে আপনাকে সাথে নিয়েই ভাই মির্জাপুর বাজারের খুরমা খাবো।
আমাদের এলাকায় আমরা এটাকে খাগড়াই বলে থাকি। তবে এটার এমন ভ্রাম্যমান দোকান আমি কখনো দেখিনি। আমাদের এলাকায় সভা বা ঈদ হলে খাগড়াই এর দোকান বসে। চাঁদ তাছাড়া হোটেল গুলোতেও অর্ডার দিয়ে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য
মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে খুরমা খেতে ভালই লাগে আমার কাছে। আপনি ঠিকই বলেছেন আগের মতো সচরাচর এই খুরমা গুলো সব দোকানে দেখতে পাওয়া যায় না। খুরমা কেনার আগে অর্ডার দিয়ে রেখে আসতে হয় এবং তারপর গিয়ে কিনতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য
খুরমা একটি জনপ্রিয় খাবার ভাই।অনেক কম টাকায় মিষ্টি মুখ করা যায়। আমাদের এদিকে গ্রামগঞ্জে তাদের দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু তারা ধান বা চালের বিনিময়ে ছাড়া খোরনা দেয় না। তবে আমাদের এলাকায় মসজিদে প্রতি শুক্রবারে খোরমা দিয়ে থাকে যা আমি প্রায় সময় নিয়ে এসে বাসার ছোট বাচ্চাদের দেই। অনেকেই ধারণা করে থাকেন যে ভ্রাম্যমাণ খাবার ভালো হয় না কিন্তু সবার এরকম হয় না ভাই কিছু কিছু মানুষের খাবারের মান অনেক ভালো থাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য