||সুইচ গেটের পানিতে কিশোরদের গোসল করার দৃশ্য দেখে, নিজের ফেলে আসা শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া ||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
আমাদের দেশের বিভিন্ন উপজেলায় ছোট ছোট নদী এবং খালের উপরে সুইচ গেট নির্মাণ করা হয়েছে। এই সুইচ গেট নির্মাণের ফলে এলাকার মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে। বৃষ্টি ছাড়াও অনেক সময় বড় নদীর পানি অনেক বৃদ্ধি পায় তখন এসব ছোট ছোট নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। এখানে যে সুইচ গেট টি দেখতে পাচ্ছেন এটি ভুয়াপুর উপজেলায় ঝিনাই নদীর উপরে তৈরি করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সুইচ গেটের উপর দিয়ে হাইওয়ে রাস্তা চলে গেছে।
টাঙ্গাইল সরিষাবাড়ী মহাসড়কে এটি। এবছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম তারপরেও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।ভারত থেকে অনেক পানি নেমে এসেছে। এখানে দেখা যাচ্ছে সুইচ গেট দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি প্রবেশ করছে। এলাকার লোকজন বিভিন্ন জাল দিয়ে এখান থেকে মাছ ধরে থাকে। বিশেষ করে এখানে শিপজালের ব্যবহার অনেক বেশি। কয়েকদিন আগে দুপুরবেলা এখানে গিয়েছিলাম।
এখানে দেখলাম এলাকার ছোট ছোট ছেলেরা সুইচ গেটের স্রোতের পানিতে গোসল করতেছে। রাস্তা থেকে পানিতে ঝাপ দিচ্ছে তারা।এসব দৃশ্য দেখে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় গোসল করার সময় গাছ থেকে পুকুরে লাফ দিতাম। তীব্র গরমে যখন সবাই অতিষ্ঠ, সেই গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ছোট ছোট ছেলেরা এভাবে গোসল করতেছে।
ইচ্ছে করতে ছিল এসব কিশোরদের সাথে আমিও পানিতে ঝাঁপ দেই। কিন্তু সেই সুযোগ আর হয়ে উঠল না। এখানে গোসল করার একটা ঝুঁকি রয়েছে। দুপাশে কংক্রিটের ব্লক ফেলে রাখা হয়েছে যদি কখনো পানি কম থাকে তখন যদি কেউ এভাবে ঝাঁপ দেয় তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে। তারপরও এখানকার লোকজন কখন পানি কম বেশি এতটুকু অভিজ্ঞতা সবারই রয়েছে। একজন লোক দেখলাম ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরতেছে। এ বছর যেহেতু বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম মাছের পরিমাণও অনেক কম। উপরে নীল আকাশ,নিচে স্বচ্ছ পানি,চারপাশে গ্রামের বাড়িঘর, ছোট নৌকা ভেসে রয়েছে সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।
শুক্রবার দিন বিকালে এখানে অনেক মানুষ ঘুরতে আসে তাদের পরিবার নিয়ে। ঈদের সময় এখানে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বর্ষাকালে পানির তীব্র স্রোত দেখার জন্য অনেক দূর থেকে মানুষ আসে এখানে। এই সুইচগেট নির্মাণের ফলে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ নিশ্চিন্তে ফসল চাষ করতে পারে।
লোকেশন: টাঙ্গাইল |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আমাদের বাসার সামনে একটি ছোট নদী রয়েছে। ছোট বেলায় এই নদীতে অনেক গোসল করেছি।বড় ভাইয়াদের দেখতাম পুলের উপর থেকে লাফাতে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার শৈশবের স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
অনেক ধন্যবাদ আপু
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1683685117812969472
আমার শৈশবের এমন কোন স্মৃতি নেই। কারণ আমাদের বাড়ির পাশে কোন নদী বা সুইচ গেট ছিল না। তাবে পুকুরে গোসল করার সময় ও অনেকে গাছ থেকে লাফ দেয়। তবে এই কাজগুলো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এতে প্রাণের ঝুঁকি থাকে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার স্মৃতিটি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
অপুর উপজেলায় এই সুইচগেট টি যমুনা নদীর বাঁধ হিসেবে কাজ করে, যমুনা নদী থেকে ঝিনাই নদীতে পানি সরবরাহ করার জন্য এই সুইচগেট
স্থাপন করা হয়েছে। শৈশবের ব্রিজ থেকে লাফাতাম, আপনার ফটোগ্রাফি দেখে সেই দৃশ্য মনে পড়ে গেলো । সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, আমি বেশ কয়েকবার এই সুইচ গেটে গিয়েছি। বর্ষাকালী এর পানি অনেক উত্তাল থাকে। সুন্দর লিখছেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
ছোটবেলায় আমিও নদীতে গোসল করলাম। এখনো করি। তবে এইবছর পরিমানমতো বৃষ্টি না হওয়ায় নদী তেমন পানি নেই তাই গোসল করা হয় নি। ছবিগুলো সুন্দর তুলেছেন। এগুলো দেখে আমারও নদীতে গোসল করার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।
ধন্যবাদ ভাই
এই স্মৃতিগুলো কমবেশি সবার জীবনের শৈশবের সাথে জড়িত। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পুকুর, ডোবা ,নদী এসব জায়গায় এভাবে এখনও গোসল করে । এই সময় গুলো আমরাও কাটিয়েছি। সময়ের সাথে এখন পাল্টে গেছে অনেক কিছু। আপনার পোস্টটি দেখে সে দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট এবং অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া, এবং অনেক সুন্দর করে পোস্টি সাজিয়ে লিখেছেন, বিশেষ করে আপনার শৈশব গুলো আমার সাথে ১০০% মিলে গেছে.. কি সোনালী শৈশব ছিলো আমাদের।
ধন্যবাদ ভাই
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি পুরনো স্মৃতিতে ফিরে গিয়েছি। পিকচার গুলো দেখে মনের ভেতরে অনেক অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ির লোকেদের অবাধ্য হয়ে নদীতে গোসল করতে গিয়ে ছোট থেকে অনেক মার খেয়েছি। আপনার মাধ্যমে অনেক সুন্দর একটি স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
আমি জানিনা কেন জানি সুইসগেট কিংবা রাবার ডেমের আশেপাশে কাউকে গোসল করতে দেখলে আমার ভয় লাগে। আসলে আমাদের নদীমাতৃক এই দেশে নদীতে পড়ে শিশু মৃত্যুর হার অনেক বেশি তাই এই বিষয়টিতে আমার মনের ভিতর ভয় ঢুকে গিয়েছে।তবে আমি ছোটবেলায় এইভাবে নদীতে অনেক গোসল করেছি, সাঁতার কেটেছি। শৈশব কালটাই আসলে অনেক সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি টি করার জন্য ।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্যের জন্য। শৈশব কালে আসলে ভয় বলতে কিছু থাকে না সবকিছুকে জয় করার আকাঙ্ক্ষা থাকে। সত্যিই সে সময় গুলো আর কখনো ফিরে আসবে না। দোয়া রইল আপু আপনার জন্য
😇😇 ভাইয়া
এইসব দেখলেই সেই ছোট্টবেলার কথা মনে পড়ে যায়। যখন আমরা ছোট ছিলাম বর্ষার দিনে আমাদের গ্রামের পাশেই করতোয়া নদীতে ছেলেপেলে একসঙ্গে হয়ে গোসল করতে যেতাম। নদীতে গোসল করার মজাই ছিল অন্যরকম। যত দিন যাইতেছে ততই সেগুলোর প্রতি ইচ্ছা থাকলেও সময় হইতেছে না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ছোটবেলার কিছু দৃশ্য আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য
ধন্যবাদ ভাই