||গৃহস্থালীর বিভিন্ন জিনিস রাখার জন্য ঘরের ভিতরে তৈরি করা মাচা||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী অনেক জিনিসই ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছে একসময় হয়তো ঐতিহ্যবাহী আরো অনেক কিছু হারিয়ে যাবে। আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলো টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। একসময় টিনের ঘরের ভিতরের একপাশে দেখতাম মাচা তৈরি করে রাখা হয়েছে বড় আকারের। বর্তমানে এখন যারা নতুন করে ঘর তৈরি করতেছে তারা আর এরকম মাচা তৈরি করে না। কারণ এখন বেশিরভাগ বাড়িতে মেঝে পাকা করা হয়। তাই এরকম মাচা আর তৈরি করে না। টিনের ঘর তৈরি করলেও এখন মেঝে পাকা করে সবাই।
ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন দেখতাম গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে এরকম মাচা তৈরি করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে অনেক কয়টি বাড়িঘর ঘুরে দেখার পর একটি বাড়িতে এরকম মাচা দেখতে পেলাম। আগে দেখতাম মাটি দিয়ে পিলার তৈরি করে তার উপরে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করা হতো। তারপর কংক্রিটের পিলারের উপরে মাচা তৈরি করতেন। এই মাচার উপরে সাধারণত ধান,চাউল, গৃহস্থলীর কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা হয়।
এখানে যে মাচা দেখা যাচ্ছে, এই মাচার উপরে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র তারা রেখেছেন। এই মাছের উপরে জিনিসপত্র রাখলে অনেক ভালো থাকে আর মেঝেতে জিনিস রাখলে অনেক সময় বিভিন্ন পোকামাকড় আক্রমণ করে। এই মাচা অবশ্য বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। আমি যে বাড়িতে এ মাচার ছবি তুলতে গিয়েছিলাম, তিনি জানালেন ২০ বছর আগে এই ঘর তৈরি করার সময় মাচা তৈরি করা হয়েছে। আর কয়েক বছর পরে এই ঘরটি ভেঙে ফেলা হবে তখন আর এই মাচা থাকবেনা।
ছোটবেলায় বাড়িতে যেয়ে মাচার উপরে অনেক সময় বসে থাকতাম। অনেক সময় লুকোচুরিও খেলতাম।তখনকার সেই অনুভূতিগুলো বলে বোঝানো যাবে না। এই মাচার উপরে বিভিন্ন চিপা জায়গায় অনেক সময় মুরগি ডিম পেড়ে রাখত। দেখা যেত বাড়ির সব মুরগি মুরগির ঘরে ডিম পারতো না কিছু মুরগি ছিল সেগুলো ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ডিম পাড়তে পছন্দ করে।
তাই এরকম মাচা যদি কোন বাড়িতে দেয় দেখা যায় তখন ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে হয়। একসময় পুরোপুরি এগুলো হারিয়ে যাবে কারণ আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে সবাই উন্নত বাড়ি ঘরের কথা চিন্তা করে।
লোকেশন: টাঙ্গাইল |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আগে আমাদের বাড়িতেও এরকম মাচা ছিল,এখন আর নেই। এই মাচাগুলো বিশেষ করে রান্নাঘরে বেশি বানানো হয়। কারণ রান্না ঘরে যাবতীয় সব জিনিস ওই মাচার উপর গুছিয়ে রাখা হয়। মাচা নিয়ে খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1688050065901002752
প্রাচীন কাল থেকে এই বাঁশের মাচার আনাগোনা, গ্রাম অঞ্চলে মানুষজন বাঁশের তৈরি মাচার উপর নানার জিনিস পত্র রেখে থাকেন, প্রতিটি রান্না ঘরে এমন বাঁশের মাচা রয়েছে, মাচা সম্পর্কে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া, এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামগঞ্জের গৃহস্থের প্রত্যেকটি বাড়িতে এরকম মাচা থাকে। যেটাকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় ওগার বলা হয়। ধান এবং অন্য অন্য আসবাবপত্র তুলে রাখা হয়। এই প্রযুক্তি আগের যুগের মানুষ অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করে। সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
গ্রামবাংলায় বাশ ও বেতের তৈরি মাচা গুলো সব থেকে বেশি দেখা যায় ।ঘরের বাইরে ঠিক এক কোণে এই মাচাগুলো দেওয়া হয় এবং সেখানে অনেক জিনিসপত্র রাখা হয়। যেগুলো হরহামেশায় আমাদের কাজে লাগে।খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
গৃহস্থালীর বিভিন্ন জিনিস রাখার জন্য ঘরের ভিতরে তৈরি করা মাচা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই। আমাদের বাসায় ও অনেক আগে মাচা ছিল। এই মাচার উপরে বাসন পত্র রাখা হতো। কিন্তু বর্তমানে এখন আর এই মাচা নেই। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
গ্রামাঞ্চলে এই মাচাগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা যায় । ঘরের এক পাশে এই মাচা গুলোতৈরি করে থাকে মূলত তারা জিনিসপত্র রাখার জন্য। কিন্তু বর্তমানে এগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
এরকম মাচা আমার গ্রাম অঞ্চলে প্রায় সবার বারিতেই রয়েছে, বিশেষ করে রান্নার ঘরে মাচা থাকে এবং সেখানে রান্নার বিভিন্ন জিনিস রাখা হয়, মাচা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া, সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
বাঁশের তৈরি মাচা আগের দিনে সবার ঘরে ঘরে ছিল।এই মাচার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জিনিস রেখে দিতো।আমাদের বাসায় এইরকম একটা মাচা ছিল আমরা বিভিন্ন ধরনের বস্তা রেখে দিতাম।টিনের তৈরি বাড়িতে এগুলো মাচা বেশি লক্ষ করা যায়।বর্তমান মনে হয় এগুলো একটু কম দেখা যাচ্ছে।আপনি সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
মাচা নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া।আগেরকার দিনে গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এই রকম মাচা ছিল।কিন্তু এখন আর খুব একটা দেখা যায় না।আমাদের বাসায় ও এইরকম একটি মাচা ছিল।ছোট বেলায় এই মাচার ঘরে অনেকবার লুকোচুরি খেলেছিলাম। তবে আমাদের গ্রামে খুজলে এখন আর একটিও মাচা খুজে পাওয়া মুশকিল।ধন্যবাদ ভাইয়া মাচা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য