||প্রত্যন্ত গ্রামে মনোরম পরিবেশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি চায়ের দোকান||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
আমরা আড্ডা দিতে সবাই পছন্দ করি। এই আড্ডা দেওয়ার সময় যদি এক কাপ চা থাকে তাহলে তো আরো ভালো হয়। বর্তমানে আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে ছোট ছোট বাজার, যে কোন রাস্তার মোড়ে চায়ের দোকান দেখা যায়। এসব চায়ের দোকানের ক্রেতা সাধারণত ওই গ্রামের মানুষজনই বেশি। গ্রামের মানুষজন বেশিরভাগই কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল।
সারাদিন তারা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকলেও বিকাল হওয়ার সাথে সাথেই তারা আড্ডা দিতে চায়ের দোকানে চলে আসে। এসব দোকানে বসে তারা মোটামুটি রাত 9 টা থেকে 10 পর্যন্ত গল্প করে।গ্রামে বেশিরভাগ চায়ের দোকানে টিভি দেখা যায়। এই টিভিতে বিভিন্ন রকম খবর দেখে আর চা খেতে খেতে সেই খবর নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসব চায়ের দোকানে বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষের আড্ডা দিতে বেশি দেখা যায়।
আমি কয়েকদিন আগে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সন্ধ্যাবাড়ি গ্রামে একটি চায়ের দোকানে গিয়েছিলাম। দোকানের ভিতরে ঢুকেই আমার অনেক ভালো লাগলো। সাধারণত আমরা চায়ের দোকান বলতে বুঝি ছোট একটা দোকান দু একটা বেঞ্চ ফালানো থাকবে এসব। এই দোকানে দেখতে পেলাম অনেক বড় একটি জায়গা নিয়ে করা হয়েছে। দোকানের পাশেই বড় একটি পুকুর রয়েছে। এই দোকানের একটা বিষয় আমাকে খুব মুগ্ধ করেছে। অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখেছে এই দোকানটি।
এখানে বিস্কিট, কেক এবং চা বিক্রি করা হয়। এ দোকানে রং চায়ের চাহিদা খুব কম। গরুর খাঁটি দুধ জ্বাল দিয়ে অনেক ঘন করা হয়।সেই দুধ দিয়ে চা বানানো হয়। প্রতি কাপ চায়ের মূল্য ১০ টাকা করে রাখা হয়। আমি যখন দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম,তখনও দেখলাম অনেক বয়স্ক মানুষ বসে গল্প করছে। দোকানদার আমাকে জানালো দিনে ভিড় একটু কম থাকে কিন্তু সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত অনেক ভিড় থাকে এ দোকানে। এর আশেপাশে আরও দুটো চায়ের দোকান রয়েছে কিন্তু সেগুলোতে মানুষ খুব একটা ভিড় করে না।
এই দোকানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং খাঁটি গরুর দুধের চায়ের কারণেই এখানে মানুষজন বেশি আসে। চা খাওয়া শেষ করে চলে আসার সময় দোকানদারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যে পাত্রে দুধ জ্বাল দেওয়া হচ্ছে সেটার ছবি তুললাম। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই দোকানটি।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আমাদের চিরিরবন্দরের রেল স্টেশনের সামনে একটি চায়ের দোকান রয়েছে যেখানে খাটি গরুর দুধের চা পাওয়া যায়। এই হোটেলটিতে সব সময়েই প্রচুর ভিড় হয়। আপনার তোলূ চায়ের দোকানটি থেকে মনে হচ্ছে খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ধন্যবাদ ভাইয়া চায়ের দোকান নিয়ে সুন্দর পোস্টটি উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1669937278842712064
গল্প করতে করতে যদি একটু গরম গরম চা হয় সেটাও যদি খাঁটি গরুর দুধের তাহলে তো আর কোন ও কথাই নাই৷ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ সন্ধ্যার পর চায়ের দোকানে বসে চা খাবে এবং আড্ডা দেয় ৷ অবশ্য গরুর খাটি দুধের চা খুবই কম পাওয়া যায় ৷ সুন্দর লিখেছেন ভাই ৷ ধন্যবাদ
ধন্যবাদ বড় ভাই
প্রত্যন্ত গ্রামে মনোরম পরিবেশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি চায়ের দোকান নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। দেখে মনে হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি দোকান। এই রমক দোকানে খাবার খাওয়া শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য অপকার হতে পারে না। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাই।
ধন্যবাদ বড় ভাই
বলতে গেলে খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে দোকানদাররা এখন চা বানায় না।খুব কম দোকানে পাওয়া যায় খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে চা।ঠিক বলেছেন যেখানে খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে চা পাওয়া যায় সেখানে মানুষের ভিড় থাকে বেশি।ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি কন্টাক্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য
বাহ ভাইয়া চায়ের রং তো অনেক সুন্দর। আসলেই যেসব হোটেলে খাঁটি গরুর দুধ দিয়ে চা তৈরি করা হয়, সেসব হোটেলে বেশি ভিড় থাকে। আমাদের ভবের বাজারেও এমন একটি চা এর হোটেল আছে। যেখানে সারাদিন প্রচুর ভিড় থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য
জি ভাই এটা একেবারেই সত্য কথা যে দোকানে খাঁটি গরুর দুধের চা পাওয়া যায় সেই দোকানে প্রায় মানুষ ভিড় করে থাকে। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামের হাটবাজার গুলোতো এধরণের চা এর দোকান দেখতে পাওয়া যায়৷ এবার গ্রামে বিয়ে করার প্লান করছি৷ কয়েকদিন আমিও এধরণের পোস্ট করবো 🙂।
পার্বতীপুরের দড়িখামার বিয়ে করেন ভাই। ধন্যবাদ ভাই
শহরের থেকে গ্রামে চায়ের দোকানে অনেক সুন্দর চা পাওয়া যায়। আমাদের এলাকায় একটি দোকান আছে এখানে অনেক ভালো চা পাওয়া যায়। প্রতি দিন অনেক লোক চা পান করার জন্য আসে।
ধন্যবাদ ভাই
কথায় আছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঈমানের অঙ্গ। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দোকানের খাবার আজকাল খুবই কম দেখা যায়। তবে দুধ চায়ের রং দেখে বোঝা যাচ্ছে খাঁটি দুধের চা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই