||সিরাতুল জান্নাত জামে মসজিদ সাবগ্রাম, বগুড়া||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
এক সময় বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের মসজিদ গুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না । ২০ বছর আগের গ্রামের মসজিদ আর বর্তমানে মসজিদের মধ্যে অনেক পার্থক্য। গ্রামের মানুষজন সবাই একত্রিত হয়ে টাকা পয়সা উঠিয়ে মসজিদের ভবন গুলো খুব সুন্দরভাবে তৈরি করে। মাঝে মাঝে দেখা যায় গ্রামের লোকজন রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সার সংগ্রহ করতেছে মসজিদ ভবন নির্মাণ করার জন্য। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের মসজিদগুলো অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছে।
এখানে যে মসজিদটি দেখা যাচ্ছে এটি একটি গ্রামে অবস্থিত। এই মসজিদের সৌন্দর্য যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করবে। এই মসজিদের অবস্থান বগুড়া জেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নে। ২০০২ সালে এই মসজিদ প্রথম তৈরি হয়। তখন এই মসজিদ টিনের ঘর দিয়ে শুরু হয়েছিল। শুক্রবার দিন জুমার নামাজে এখানে অনেক ভিড় হয়। বগুড়া - সারিয়াকান্দি হাইওয়ে রাস্তার সাথেই এই মসজিদের অবস্থান। অল্প কিছুদিন আগে বগুড়া সারিয়াকান্দি হাইওয়ে রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। মসজিদ এবং রাস্তা দূরত্ব মাত্র 5 মিটারের মত হবে।
রাস্তার এত কাছে হওয়ার কারণে নামাজের সময় গাড়ির শব্দ এবং হর্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। শুক্রবার দিন অনেক মানুষ রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে এই মসজিদে নামাজ আদায় করে। মসজিদটির ভেতরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মসজিদের ভিতরে পুরোটাই টাইলস করা,দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। এই মসজিদটির পূর্ব এবং আর দক্ষিণ পাশে ধানের জমি রয়েছে। সামনের দিকে কিছুটা অংশ ফাঁকা আর উত্তর দিকে বগুড়া সারিয়াকান্দি হাইওয়ে রাস্তা।
মসজিদের সামনে একটি পেয়ারা গাছ লাগানো আছে। ভবিষ্যতে হয়তো এ মসজিদটি দোতলা করা হতে পারে। বগুড়ার বেশ কিছু গ্রাম আমার দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বেশিরভাগ গ্রামের মসজিদ গুলোই অনেক সুন্দর। দক্ষিণ পাশে যে গ্রাম রয়েছে সেখান থেকে এই মসজিদে আসার কোন পাকা রাস্তা নেই। কাঁচা রাস্তা দিয়েই এই মসজিদে আসতে হয়। সাবগ্রাম উত্তরপাড়া গ্রামটি খুব একটা বড় নয়। এর আশেপাশে সব গ্রামেই মসজিদ রয়েছে।এরকমও আছে এক গ্রামে দুটো মসজিদ।
আশেপাশে খোলা জায়গা থাকার কারণে মসজিদের ভিতরে সব সময় ঠান্ডা থাকে। আসরের নামাজের শেষে গ্রামের বয়স্ক লোকরা মসজিদের বারান্দায় বসে সময় কাটায়। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মসজিদটি অনেক ভালো লেগেছে।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1701090553272946803
যতও দিন যাইতেছে ততও নতুন নতুন কিছু দেখতেছি। আজকে আপনার মাধ্যমে আবারো সিরাতুল জান্নাত জামে মসজিদটি দেখতে পেলাম সাথে তার বিস্তারিত অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তবে রাস্তার কাছে সব মসজিদে একটু গাড়ির শব্দের জন্য সমস্যা হয়। তবুও সেটাকে মনে না করে নিজের মতো এক মন দিয়ে নামাজ পড়লে এ হয়ে যায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি বেশ চমৎকার একটি মসজিদ সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন। এই মসজিদটি বেশ পরিস্কার এবং পরিচ্ছন্ন। সবগুলো মসজিদ এরকম পরিস্কার এবং পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আমাদের এলাকায় কিছু মসজিদ রয়েছে তবে এত বড় এবং চাকচিক্য নয়। তবে এখন গ্রাম অঞ্চলের বেশ বড় বড় মসজিদ তৈরি হচ্ছে। যেমন পার্বতীপুর এর আফতাবগঞ্জে একটি মসজিদ তৈরি হচ্ছে যা আকারে অনেক বড় এবং অনেক টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ পড়তে যায় এবং নামাজ পড়ে অনেকে আবার মসজিদে আরাম করে থাকে। তবে এই মসজিদটি রাস্তার পাশে হওয়ায় রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করলে নামাজ পড়তে একটু সমস্যা হবে মনে হচ্ছে যা আপনি আমাদের জানিয়েছেন। এই মসজিদটি রাস্তার পাশে হওয়ায় অনেক লোক গাড়ি থামিয়ে এখানে নামাজ পড়তে পারে এটি বেশ ভালো একটি বিষয়। আমাদের এলাকায় যে মসজিদগুলো রয়েছে প্রতি শুক্রবার দেখা যায় মুসল্লিরা নামাজ পড়ার জন্য হেঁটে হেঁটে মসজিদে চলে যায় যা দেখতে বেশ চমৎকার লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত সুন্দর একটি মসজিদ নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনি ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন।
জি ভাই সঠিক বলেছেন, এখন কার মসজিদ গুলো সব জায়গায় অনেক উন্নত। মসজিদ মুসলমানদের জন্য উত্তম ইবাদত খানা। সিরাতুল জান্নাত জামে মসজিদ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই, মসজিদটি রাস্তার পাশে হওয়ার কারণে যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনি একটু অসুবিধাও রয়েছে। সুবিধা হচ্ছে মানুষজন রাস্তার পাশে গাড়ি রেখে নামাজ আদায় করতে পারে । দূরদূরান্তের মানুষ যাত্রা পথে নামাজের সময় হলে নামাজ আদায় করে নিতে পারে। আর অসুবিধা হচ্ছে, গাড়ি চলার সময় গাড়ির হর্নের কারণে নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের সমস্যা হয়। অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সিরাতুল জান্নাত জামে মসজিদ নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। মসজিদটি দেখতে অনেক সুন্দর ও চমৎকার। এমন সুন্দর মসজিদে নামাজ পড়তে সকলের মন চাইবে। মসজিদটি রাস্তার পাশে হওয়াতে অনেক দূর-দূরান্তের মানুষও নামাজ আদায় করতে পারে এটা সুবিধা। তবে রাস্তার পাশে মসজিদ হওয়ার জন্য অসুবিধা হলো গাড়ি হর্ণ।
@md-sajalislam.
মসজিদের সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আপনি ঠিক বলেছেন গ্রাম অঞ্চলের আগে মসজিদগুলো তেমনটা উন্নত ছিল না প্রায় ২০ বছর আগে এবং এখনকার মসজিদের মধ্যে ভিন্ন রকম তফাৎ রয়েছে। বর্তমানে মসজিদ গুলো এত সুন্দর এবং মনোমুগ্ধকর করে তৈরি করতেছে যে বলার বাহিরে প্রত্যেকটি মসজিদে এখন টাইলস এবং ভিতরে এসি লাগানো হচ্ছে। যাতে করে মুসল্লিদের নামাজ পড়তে কোন অসুবিধা না হয়। আসলে আমরা মুসলিম হিসেবে আমাদের এটি সৌভাগ্য যে আমরা এত সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে পারতেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল