||ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঁটের ছাতা☔ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
☔☔☔☔☔☔☔☔☔☔☔☔☔☔
আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে যেয়ে অনেক কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে। আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে আমরা যেসব জিনিস ব্যবহার করতাম, তার অনেক কিছুই আর ব্যবহার হয় না। এখনো কিছু কিছু জিনিস ব্যবহার হয়, কিন্তু পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে। ছাতা আমাদের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। বৃষ্টির দিনে ছাতা সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হয়। রোদের সময় ছাতা ব্যবহার করা হয় তবে কম। শীতকাল ছাড়া সারা বছর কম বেশি ছাতার ব্যবহার রয়েছে।
এখানে একটি কাঠের বাঁটের ছাতা দেখা যাচ্ছে। ৯০ দশকের ছেলে মেয়েরা এই ছাতার সাথে বেশি পরিচিত। ২০০০ সালের পর থেকে এই ছাতার ব্যবহার কমতে শুরু করে। বিভিন্ন রকম দেশি-বিদেশি ছাতায় বাজার ভরে গেছে। ছোটবেলায় দেখতাম সবার হাতেই এই কাঠের বাঁটের ছাতা। আমাদের বাসায় একটি ছিল। একটা সময় এই ছাতার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। বর্তমানে এরকম ছাতা খুব একটা দেখা যায় না।
বগুড়াতে কয়েকদিন আগে একটি লোকের হাতে আমি এই ছাতা দেখেছিলাম। তার কাছ থেকে ছাতাটি নিয়ে আমি বেশ কিছু ছবি তুলে রাখলাম। তিনি জানালেন ছোটবেলা থেকে এই কাঠের বাঁটের ছাতা তিনি ব্যবহার করতেছেন। তিনি বলেন অন্য ছাতা ব্যবহার করতে তার ভালো লাগেনা। এই ছাতা দেখে আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। বৃষ্টির দিনে যখন হাটে যেতাম, তখন দেখতাম এই ছাতা হাতে নিয়ে সবাই যাচ্ছে।
এই ছাতা তুলনামূলক একটু বড় আকারের হয়। বর্তমানে আমাদের মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটেছে অনেক। এরকম কাঠের বাঁটের ছাতা যদি কারো হাতে দেখা যায়, আমরা সেই ব্যক্তিটিকে একটু অন্যরকম চোখে দেখি। এমনও দেখেছি এই ছাতা হাতে নিয়ে গেলে তার মান সম্মান থাকবে না। প্রয়োজনে বৃষ্টিতে ভিজে যাবে কিন্তু এই ছাতা নিয়ে সে যাবে না।
এই ছাতার সাথে গ্রাম বাংলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এই ছাতার কাঠি দিয়ে বিভিন্ন রকম ফাঁদ তৈরি করতাম ছোটবেলায়। আমি কাঠের বাঁটের একটি ছাতা কিনে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিব। এক সময় হয়তো পুরোপুরি হারিয়ে যাবে এই ছাতা।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
ঐতিহ্যবাহী কাঠের বাঁটের ছাত নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আগেরকার দিনে এই কাঠের বাঁটের ছাতা সব বাড়িতে ছিল। আমাদের বাসায় ও ছিল। এই কাঠের বাঁটের ছাতা তুলনামূলক অন্য ছাতার থেকে বড় হয়।
ধন্যবাদ ভাই
রোদে এবং বৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় জিনিস হলো ছাতা। বর্তমানে কাঠের বাঁটের ছাতা যদি কারো হাতে দেখা যায় তাহলে আমরা তাদের পলিয়া বলে মনে করি। এটা আমদের মানসিক পরিবর্তন। কাঠের বাঁটের ছাতা গুলো বড় হওয়ায় আরামে বৃষ্টির দিনে দুইজন চলা যায় কিন্তু বর্তমানের ছাতা গুলোতে তা সম্ভব হয় না। এখন অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। সেইজন্যই হয়ত ভাইয়া ৯০দশক কে বলা হয় সোনালি অতীত।
ধন্যবাদ ভাই
কাঠের বাঁটের ছাতা এখন পাওয়াই যায় না। আপনি অনেক পুরনো ছাতা সম্পর্কে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ছোটবেলায় দেখেছি আমার দাদাকে এই ছাতা ব্যবহার করতে। আমাদের বাড়িতে ছিল এই ছাতা। এখন আর এই ছাতা দেখা যায় না। এই ছাতা একটু বড় হওয়ার কারণে বৃষ্টিতে ভেজার সম্ভাবনা থাকে না। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা যেসব জিনিস ব্যবহার করছিলাম এসব জিনিস এখন খুঁজেই পাওয়া যায় না, এখন দোকানে গেলে শুধু দেশি বিদেশি ছাতা গুলো দেখায়, এই কাঠের বাঁটের তৈরি ছাতা গুলো এখন তো খুঁজেই পাওয়া যায় না, কাটের বাঁটের ছাতা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন, আপনার পোস্টে পড়ে খুবই ভালো লাগলো, পুরাতন একটি ছাতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
এটি অনেক প্রাচীনকালের ছাতা, এই ছাতা গুলো এখন দেখাই যায় না, ছাতাটি আকারে বড় হওয়ার কারণে স্টুডেন্টরা এই ছাতাটি ব্যবহার করতে চায় না, তবে আমি দেখেছিলাম মুরুব্বীরা সব সময় কাঠের বাঁটের ছাতা ব্যবহার করতেন, বর্তমান যুগে দেশি বিদেশি ছাতা বের হওয়ার কারণে এই ছাতাগুলো বিলুপ্তির পথে, আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট ক্রিয়েট করেছেন ভাইয়া, সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ ভাই
আসলে ভাই এই কাঠের ছাতাগুলো অনেক মজবুত হয়।ছাতাগুলো দেখলেই মনে হয় দাদুদের আমলের ছাতা।ছাতার কাঠি গুলো দিয়ে ফাঁদ তৈরি করতেন শুনে অনেক ভালো লাগলো।আমরা তো কাঠিগুলো দিয়ে মাছ ধরার বর্ষা তৈরি করতাম। দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি, খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
আসলেই ভাইয়া এই ছাতা গুলো এখন আর বেশিটা দেখা যায় না। এগুলো প্রায় ২০-২৫ বছর আগের পুরনো দৃশ্য কিন্তু এখন বর্তমানে এগুলো আর দেখা যাচ্ছে না মানুষ অনেক সুন্দর ডিজাইনের টিপ ছাতা ব্যবহার করতেছে। অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইল
ধন্যবাদ ভাই
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1689503507089629184
বর্তমানে এই কাঠের তৈরি ছাতা তেমন দেখা যায় না। একমাত্র বৃদ্ধ লোকেরাই এই কাঠের তৈরি ছাতা ব্যবহার করে। বর্তমানে যে রংবেরঙের ছাতা বের হয়েছে তরুণ সমাজ সেগুলো ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞানের মতে কালো কাপড়ের এই ছাতা গুলো বেশি তাপ শোষণ করে। যার ফলে গরম কম লাগে।
ধন্যবাদ ভাই