||ধীরে ধীরে হাত ঘড়ির ব্যবহার কমে যাচ্ছে||
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
৯০ দশকের ছেলেমেয়েরা সবাই কমবেশি হাতঘড়ি ব্যবহার করতেন। তখন হাতঘড়ি ছিল একটি আবেগের নাম। বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েরা হয়তো এই হাত ঘড়ির মর্মটা বুঝবে না। তখন কারো হাতে মোবাইল ছিল না। সময় দেখার জন্য একমাত্র এই হাত ঘড়ি ছিল ভরসা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখতাম এই হাতঘড়ি উপহার দেওয়া হতো। এখানে যে হাত ঘড়ি গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো সব অযত্নে পড়ে রয়েছে। এরকম আরো অনেক হাত ঘড়ি রয়েছে আমার বাসায়।
আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন বেশ কয়েকটি হাতঘড়ি কিনেছিলাম।সে সময় কেসিও ঘড়ির চাহিদা সবথেকে বেশি ছিল। বিভিন্ন দামের হাতঘড়ি তখন বাজারে পাওয়া যেত। কম দামের হাত ঘড়িগুলোতে পানি প্রবেশ করত। আমার মনে আছে একটি ঘড়ি কিনেছিলাম মোটামুটি একটু ভালো দাম দিয়ে।সেই ঘড়িতে পানি ঢুকতো না। ঘড়ির ভিতরে পানি ঢুকলে ঘড়ি নষ্ট হয়ে যেত।
দেশের বাহিরে যদি কারো আত্মীয়-স্বজন থাকতো, তাদের বলতেন ঘড়ি নিয়ে আসার জন্য। বর্তমানে যেরকম সবাই সবকিছুতেই একটি ভালো মোবাইল ফোন প্রত্যাশা করে।সে সময়ও এরকম একটি হাতঘড়ি প্রত্যাশা করত। সবার হাতে হাতে যখন মোবাইল ফোন আসা শুরু করলো তারপর থেকেই এই হাতঘড়ির ব্যবহার কমতে শুরু করলো। যখন পুরোপুরি মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করলাম তখন থেকে আর হাতঘড়ি ব্যবহার করি না। কারণ সময় মোবাইলেও দেখা যায় তাই হাতঘড়িটা ঝামেলা মনে হয় । সেই অভ্যাসটা এখন বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই গড়ে উঠেছে।
মোবাইলের ব্যবহারটা বাটন ফোন দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। এই মোবাইলের কারণেই মূলত হাত ঘড়ির ব্যবহার ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। আগে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কাউকে যদি জিজ্ঞেস করতাম এখন কয়টা বাজে তিনি ঘড়ি দেখে সময় বলতেন। বর্তমানে কাউকে যদি জিজ্ঞেস করি সময় কত তিনি মোবাইল দেখে বলেন।
এক সময় হয়তো হাত ঘড়ির ব্যবহার আরো কমে যাবে। আগে হাত ঘড়ি ব্যবহার করতেন মানুষ প্রয়োজনে, এখন দুই একজন মানুষ হাত ঘড়ি যাও ব্যবহার করে তবে প্রয়োজনে নয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে অনেক কিছুই হারিয়ে যাবে। ৯০ দশকের ছেলেমেয়েদের কাছে এই হাত ঘড়ি একটি আবেগ হয়েই থাকবে।
লোকেশন: টাঙ্গাইল |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
ঠিক বলেছেন ভাই ধীরে ধীরে এই হাত ঘড়ির ব্যবহার মানুষের কাছে কমে যাচ্ছে।এখন মানুষের কাছে হাতঘড়ি অনেকটা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে হয়তো এই হাত ঘড়ি আর থাকবেনা মানুষের কাছে। হাত ঘড়ির দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1687318225883955201
আমি শুনেছিলাম আমার দাদার বাবারা নাকি ঘড়ি রেডিও নিয়ে বিয়ে করত। আসলেই হয়ত তখন ঘড়ির মূল্য অনেক বেশি ছিলো। আমি যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি তখনো অনেকের হাতে ঘড়ি দেখতে পাওয়া যেতো কিন্তু এখন আর যায়না। উল্টো এখন কারো হাতে ঘড়ি দেখলে তাকে পলিয়া বলে গালি দেওয়া হয়। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে হাত ঘড়ি।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
বর্তমানে অনেক ধরনের ডিজিটাল ঘড়ির বের হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে আগের পুরাতন ঘড়িগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মোবাইল ফোন হাতে থাকার কারণে ঘড়ি তেমন ব্যবহার হয় না। ঘড়ি এখন ব্যবহার করা হয় মূলত এ স্টাইল এর জন্য। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
আসলেই ভাইয়া মোবাইল আসার পর থেকে অনেক কিছুই আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, আগে সব মানুষেই হাত ঘড়ি ব্যবহার করতো কিন্তু এখন খুবই কম মানুষ হাত ঘড়ি ব্যবহার করে থাকেন, হাত ঘড়ি নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া, উপস্থাপনা বেশ চমৎকার হয়েছে, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
জি ভাই ঠিক বলেছেন এখন হাতঘড়ি মানুষের হাতে দেখাই যায় না। এক সময় হাত ধরি খুবই জনপ্রিয় ছিল। বিদেশ থেকে কেউ আসলে হাত ঘড়ি নিয়ে আসতো যা দেখে সবাই খুশি হতো। সেই দিনগুলো এখন আর নাই। মোবাইল ফোন নামার পর থেকে হাত ঘড়ির ব্যবহারে একদম কমে গেছে। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আপনি সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।হাত ঘড়ি এক সময় সবার কাছে জনপ্রিয় ছিল।কোনো অনুষ্ঠানে গেলে এইরকম হাত ঘড়ি দেখা যেতো।কিন্তু এখন আফসোস হাত ঘড়ির জায়গায় সবার হাতে হাতে মোবাইল।আপনি ঠিক বলছেন ভাই মোবাইলে সময় দেখতে পাওয়ায় এখন হাত ঘড়ি একটা ঝামেলা মনে হয়।আপনি সুন্দর আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই মোবাইল ফোন থাকায় ঘড়ির ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। তবে হাত ঘড়ি পরতে আমার এখনো অনেক ভালো লাগে। আমি এখনো রোজ কলেজে যাওয়ার আগে হাতঘড়ি পরি। এত সুন্দর একটি পোস্ট গুছিয়ে আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আর এখন সবাই বলে অথেন্টিক প্রোডাক্ট (মেকআপ প্রোডাক্ট) আনতে😐
আসলে প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে সময় দেখে। অনেকে আবার স্মার্টওয়াচ ব্যবহার করে যেটি মাল্টিপল ফাংশনাল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিকই বলেছেন যে হাত ঘড়ির ব্যবহার এখন অনেক কমে গিয়েছে। অনেকেই এখন শুধু এটা ফরমালিটির জন্য ব্যবহার করেন। এখন বর্তমানে সবার হাতে মোবাইল ফোন আসার পর থেকে হাত ঘড়ির ব্যবহার কমে গিয়েছে। কিন্তু ৯০ দশকের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় তখন সবাই হাতে ঘড়ি পড়তেন। আমি এখন শুধু পরীক্ষা দেওয়ার সময় হাতঘড়ি ব্যবহার করি। সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য