||বটতলার পুকুর|| গাবতলী, বগুড়া
Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
|
---|
আমাদের দেশের প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামে ছোট বড় পুকুর রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় দেখা যায় অনেক বড় বড় পুকুর রয়েছে। পুকুর পাড়ে বসে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। আমি বগুড়া জেলায় বেশ কয়েকটি বড় বড় পুকুর দেখেছি। সেসব পুকুর পাড়ে বসে বিকেলে সময় কাটানোর সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এখানে যে পুকুরটি দেখতে পাচ্ছেন এই পুকুরের অবস্থান বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে।
আমি এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম যে এরকম বড় একটি পুকুর আছে। এলাকার লোকজন সবাই এই পুকুরকে বটতলার পুকুর নামে চেনে। পুকুরের সাথে একটি বটগাছ রয়েছে। তারপর আমি এই পুকুর দেখার আগ্রহ প্রকাশ করি। গাবতলী থেকে একটি অটো নিয়ে এই পুকুরের উদ্দেশ্যে আসি। এই পুকুর থেকে এক কিলোমিটার দূরে আমাদের অটো থেকে নেমে যেতে হয়। কারণ তারপর মাটির রাস্তা, বৃষ্টি হওয়ার কারণে পুরো রাস্তায় কাদা।
এই পুকুরের আশেপাশে কোন বাড়িঘর ছিল না তাই পুকুরটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছিল। কিছুদিন আগে এই এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তখন এই পুকুর ডুবে গিয়েছিল। পুকুর থেকে অনেক মাছ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। পুকুরের এক পাশের পাড়ের কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। এখান দিয়ে অনেক মাছ বিভিন্ন ফসলের জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি যখন পুকুর পাড়ের সেই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পার হচ্ছিলাম,তখন পাশের জমিতে দেখলাম অনেক মাছ দৌড়াদৌড়ি করতেছে। আমি একজন লোককে জিজ্ঞেস করলাম এত মাছ কোথা থেকে আসলো। তিনি বললেন এগুলো সব পুকুরের মাছ চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইচ্ছে করছিল সেই জমি থেকে মাছগুলো ধরার কিন্তু সেরকম কোন প্রস্তুতি না থাকার কারণে ধরতে পারিনি।
তাছাড়া বৃষ্টিও আসতেছিল তখন। এই পুকুরের পানি অনেক পরিষ্কার। পুকুরপাড়ে একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে পাহারা দেয়ার জন্য। বৃষ্টির কারণে সেই ঘরে আধাঘন্টা অবস্থান করি। পুকুরে কিছু মরা মাছ ভেসে উঠেছে। বিকেল হলে অনেক মানুষ এখানে সময় কাটাতে আসে। এই পুকুরের আয়তন প্রায় ২০ বিঘার কাছাকাছি। একটি নৌকা পাড়ে ভিড়িয়ে রাখা হয়েছে। ইচ্ছে করছিল নৌকা নিয়ে ঘুরতে কিন্তু বৃষ্টির কারণে আর সেটা সম্ভব হলো না। জানতে পারলাম পুকুর পাড়ে আগে অনেক গাছ ছিল কিন্তু পাড় ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে গাছগুলো সব পড়ে গিয়েছিল এবং কেটে ফেলা হয়েছে।
কয়েকটি গাছের গুড়ি দেখতে পেলাম, পুকুরে এখনো আছে। সবকিছু মিলিয়ে এই পুকুর টি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। যেকোনো মানুষ আসলে এখানে তার মন ভালো হয়ে যাবে। গ্রামীন পরিবেশ কোথাও কোন গাড়ির শব্দ নেই। অনেক ভালো সময় কাটালাম এখানে।
লোকেশন: বগুড়া |
---|
ফটোগ্রাফার : @selimreza1 |
---|
camera: Tecno pro8 |
---|
|
---|
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
জায়গাটা অনেক সুন্দর, ছবিগুলোও খুব সুন্দর ভাবে তুলেছেন। ঠিকই বলেছেন ভাই, এরকম মনোরম পরিবেশে বড় বড় কুকুরের সামনে বসে থাকতে খুবই ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে সময় কাটানোর জন্য গড়াই নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকি। বটতলার পুকুর সম্পর্কে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1694594298485071912
২০ বিঘা জমিতে এতো বড় পুকুর খুব কম আছে ভাই। এমন পুকুরের পাশের জমি গুলোতে ভালো মাছ ধরা যায়। আমাদের এলাকায় বড় পুকুর গুলোতে অনেক মাছ থাকে তাই ছেলেরা দোয়া পড়ে কখন পানি দিয়ে ডুবে যায়। আরেকদিন প্রস্তুতি নিয়ে মাছ ধরার জন্য যাইয়েন ভাই। পুকুরে নৌকা দিয়ে খাবার দেওয়া হয় তাই না ভাই? আমি এর আগে একটি পুকুরে নৌকা দিয়ে মাছের খাবার দিতে দেখেছিলাম। পুকুর পাড়ে টঙ বসিয়ে সময় কাটানোর সৌভাগ্য আমারও হয়েছে ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার এলাকায় যেয়ে মাছ ধরবো
অবশ্যই ভাই।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই বিকেল বেলা পুকুর পাড়ে বসে গল্প করতে অনেক ভালো লাগে। আমাদের এখানেও একটা বড় পুকুর রয়েছে মাঝেমাঝে আমিও আমার বন্ধু। সেখানে বসে গল্প করতাম আর পানিতে ঢিল ছুরতাম। বেশ ভালই সময় কাটে সেখানে। বটতলার পুকুর সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই আর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
এসব বড় বড় পুকুরে মাছ যাওয়া আসা করা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার ভাই।পুকুরে যখন পানি বেড়ে যায় তখন জমি থেকে পুকুরে বা পুকুর থেকে জমিতে মাছ যাওয়া আসা করে। বটতলার পুকুরটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক বড়।তবে আপনার ফটোগ্রাফিতে বটগাছ টি দেখতে পেলাম না।যাইহোক পুকুরটি সম্পর্কে দারুন তথ্য দিয়েছেন আপনি আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
ভাইয়া আপনি যে দৃশ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগতেছে। প্রত্যেকটি ফটো অনেক সুন্দর হয়েছে। ভাইয়া আসলেই আপনার সৌভাগ্য অনেক আপনি আপনার বন্ধুর মাধ্যমে এরকম সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে পেরেছেন। যা আপনাকে অনেক আনন্দিত করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের সুন্দর কিছু ফটো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
জি ভাই ঠিক বলেছেন, প্রতিটি গ্রামে পুকুর রয়েছে, সেটা হোক ছোট কিংবা বড়। গ্রামের পুকুরে মাছ চাষ করা হয়। মাছ চাষ করে সাবলম্বী হওয়া যায়, এবং অনেক মানুষের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা যায়। গ্রামের পুকুরের সৌন্দর্য অনেক ভালো লাগে। বিকালবেলা পুকুর এর ধারে বসে থাকতেও ভালো লাগে। অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুণ করেছেন। অনেক ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
জ্বি আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের দেশের সব গ্রামে ছোট বড় অনেক পুকুর রয়েছে। বিকালে বেলা করে পুকুর পাড়ে বসে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া এখন বর্ষাকাল এই সময়ে গ্রামের ছোট বড় সকল পুকুর ঢুবে সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো প্রশংসার দাবিদার। বগুড়ার এই বটতলার পুকুর এর পাড়ের চারপাশ সবুজ ঘাসে ভরা যা আসলেই দেখতে অনেক ভালো লাগছে। অতি বৃষ্টির কারণে যখন পুকুর গুলো ভরে যায় তখন পুকুরের মাছ এভাবেই বিভিন্ন কৃষি জমি গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। গ্রামের এরকম নিরিবিলি ও সবুজে ঘেরা পরিবেশ গুলো যে কাউকেই মুগ্ধ করে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
পুকুরের আশেপাশের পরিবেশটি অনেক সুন্দর। আমি তো অবাক যে,এই পুকুরটি ২০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত। প্রথমে এটিকে দেখে আমার বিল মনে হয়েছিল। পুকুরটির পানিগুলো অনেক স্বচ্ছ। বর্ষাকালে পুকুরগুলো যখন ডুবে যায় তখন এর মাছগুলো কিন্তু বেরিয়ে যায়। যার কারণে আশেপাশের জমিতে মাছের আনাগোনা দেখা যায়। এই পুকুরটির ক্ষেত্রেও এমন ঘটেছে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য