Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন
বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ গ্রাম অঞ্চলে এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছুই বর্তমানে হারিয়ে গেছে। একটা সময় গ্রামাঞ্চলে গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহৃত কোন জিনিসই প্লাস্টিকের ছিল না। বর্তমানে প্লাস্টিকের ব্যবহারই অনেক বেশি। ছোটবেলায় দেখতাম বেত শিল্পের সাথে অনেক মানুষ জড়িত ছিল। বেতের তৈরি বিভিন্ন রকম পণ্য গ্রামে গ্রামে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসতেন।
বিশেষ করে যখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হতো তখন এই শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন এগুলো বিক্রি করতে গ্রামে নিয়ে আসতেন। বেতের তৈরি জিনিসপত্র টাকার চাইতে ধানের বিনিময়ে বেশি বিক্রি হত। বর্তমানে বেত শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাছাড়া বেতের তৈরি জিনিসপত্র এখন মানুষজন আগের মতন তেমন একটা ক্রয় করে না। দাম তুলনামূলক একটি বেশি হওয়ার কারণে সবাই প্লাস্টিকের পণ্যের দিকে বেশি আগ্রহী।
এখানে বেতের তৈরি যে ডালিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এই ডালি দিয়ে ধান উঠানো নামানো জন্য বেশি ব্যবহার করা হয়। ছোটবেলায় এগুলো প্রায় বাড়িতেই দেখতাম। এই ডালি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করা হয়। দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে। বেতের তৈরি এই ডালি গুলো অনেক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এগুলো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর না।প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বেত শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন এখনো বেশিরভাগ জায়গায় টিকে থাকতো, যদি আমরা তাদের কাছ থেকে এই জিনিসগুলো ক্রয় করতাম। বেতের তৈরি এরকম জিনিসপত্র আছে,আমরা প্রায় ভুলেই যেতে বসেছি। এখানে যে ডালি গুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো কয়েক বছর আগে ক্রয় করা হয়েছে। এসব ডালির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সবজি রাখা হতো গ্রামের বাড়িতে। কয়েক বছর পরে হয়তো বেত শিল্প পুরোপুরি আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে যাবে। এই পেশার সাথে জড়িত লোকজন আর্থিক সংকটে ভুগতেছে।
এখনো কিছু লোক এই দেশের সাথে জড়িত আছে। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পেশায় আসতে কেউই আগ্রহী না।বেতের তৈরি এই জিনিসপত্র গুলো দেখলে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। আমাদের সকলেরই উচিত বেত শিল্পের সাথে জড়িত লোকজন যেনো তাদের পেশা ধরে রাখতে পারে। আমরা সকলেই প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যগুলো ক্রয় করা থেকে বিরত থাকি।
আমি মো: সেলিম রেজা। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি।ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
You can also vote for @bangla.witness witnesses
Vote for @bangla.witness
বেতের তৈরি ডালি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। এই বেতের তৈরি ডালি আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/amazingvideoni1/status/1676528563938562048
আমাদের বাসায় আগে এরকম কয়েকটি বেতের তৈরি ডালি ছিল তবে বর্তমানে সেগুলো নেই। বেতের তৈরি এসব ডালি দিয়ে দাঁড়িপাল্লা ও তৈরি করা হতো। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
বেতের তৈরি ঢালা নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া। আমাদের বাড়িতে আগে চার থেকে পাঁচটা করে ছিলো। এখন কালের বিবর্তনে আমরা প্লাস্টিকের ঝুড়ি ব্যবহার। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন।
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী বেতের ডালি। এই বেতের ডালি গুলো তেমন দেখা যায় না। আমাদের বাড়িতে আগে বেতের ডালি ছিল। এখন আর নেই বেতের ডালি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ বড় ভাই
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য হলো বেতের তৈরি ডালি।বেতের তৈরি ডালি গুলো আগেকার সময়ে কমবেশি প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে বেতের ডালি।বেতের ডালি নিয়ে অসাধারণ পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ আপু
ঐতিহ্যবাহী বেতের তৈরি ডালা নিয়ে দারুণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।বেতের তৈরি ডালা বর্তমান এখন খুব কম দেখা যায়। আপনি বেতের তৈরি ডালার দারুণ ফটোগ্রাফি করছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
বেত শিল্প আমাদের দেশের একটি ঐতিহ্য ৷ কেননা বেতের তৈরি জিনিসপত্র আমাদের দেশের একটি অন্যরকম চাহিদা রয়েছে ৷ তবে সময়ের সাথে সাথে বেতের শিল্প আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৷ বেতের জিনিসপত্র নিয়ে দারুন একটি উপস্থাপন করেছেন আপনি ৷ সুন্দর ছবি তুলেছেন ভাই ৷ ধন্যবাদ
ধন্যবাদ বড় ভাই
আগেকার দিনে এইসব ডালি প্রচুর সেখা যেতো। কিন্তু এখন আর এগুলো দেখা যায় না। মানুষ বেতের তৈরি ডালির পরিবর্তে প্লাস্টিকের গামলা ব্যবহার করে যেগুলো মোটেও পরিবেশ বান্ধব নয়। দিনে দিনে এই কুটির শিল্পটি হারিয়ে যাচ্ছে। বেতের তৈরি ডালি নিয়ে চমৎকার লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
একসময় বেতের তৈরি জিনিসপত্রের চাহিদা খুব বেশি থাকলেও এখন আর তেমন বেতের জিনিস দেখা যায় না। এই বেতের ডালিগুলো দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর। আপনি বেতের তৈরি ডালি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
অনেক ধন্যবাদ আপু