আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। তো চলুন শুরু করা যাক। |
সকাল ১০:২০ মিনিটে বাড়ি থেকে আমি, মাহামুদুল ও শফিকুল বের হলাম। একটা রিকশা নিয়ে শফিকুলের বাড়ি থেকে পল্লী বিদ্যুৎ গেলাম। তারপর সেখান থেকে বাসে করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চলে গেলাম। মেইন গেটে নামতে নামতে সকাল ১১:১৭ বেজে গেলো। মাহামুদুলের পরীক্ষা ছিলো সকাল ১১:৫০ মিনিটে। তাই আগে তাড়াতাড়ি করে মাহামুদুলকে তার পরীক্ষার কক্ষে দিয়ে আসলাম। তারপর শফিকুল আর আমি ভার্সিটিটা ঘুরে দেখতে শুরু করলাম। যেহেতু শফিকুল স্থানীয় আর তার বাড়ির খুব কাছেই ভার্সিটি তাই সবকিছুই ওর চেনা ছিলো।
ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে একটি লেবুর শরবতের দোকানে গিয়ে শরবত খেলাম। কিন্তু সেখানে বেধে গেলো আরেক কাহিনী। দোকানওয়ালা বলে ইস্পি দেয়া শরবত নাকি ২০ টাকা। তারপর শফিকুল তো রেখে গেলো। শেষে ১৫ টা করে ৩০ টাকা দিয়ে আপোস করলাম।
তারপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে কয়েকটা ছবি তুললাম। আবহাওয়া বেশী ভালো ছিলো না যার কারনে ভালো ছবি তুলতে পারি নি। ছবি তোলার পর একটা গাছের ছায়ায় গিয়ে বসলাম। তারপর এনায়েত নামে আরেক বন্ধু ফোন দিলো। ও নাকি ওর মামাতো ভাইকে নিয়ে এসেছে। তারপর এনায়েতের সাথে দেখা হয়ে গেলো। এনায়েত গন-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ১২:৫০ এ পরীক্ষা শেষ হলে মাহমুদুলও চলে আসলো। তারপর সবাই মিলে সেলফি তুললাম। সেলফি তোলার পর কোথাও না গিয়ে ওখানেই একটা বেঞ্চে বসে গল্প করতে শুরু করলাম। এরই মধ্যে এনায়েতের মামাতো ভাই ও আমার বন্ধু সোহাগ চলে এসেছে। ওখানে বসে গল্প করার পর ১:২৫ এ আমি চলে গেলাম পরীক্ষা দিতে। আমার পরীক্ষা ছিলো ১:৫০ মিনিটে। পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে আবার আগের যায়গায় ওদের সাথে দেখা করলাম।
৬৯৭ একরের বিশাল এই ভার্সিটিতে এইদিন লাখ লাখ মানুষ এসেছিলো। যার কারনে ভার্সিটিটি তার প্রকৃত রুপে ছিলো না এই দিন। ভার্সিটির রাস্তায় প্রচুর মানুষের ভীড়। সবাই একটা স্বপ্ন নিয়ে এসেছে কিন্তু এই স্বপ্নটা পূরন হবে মাত্র কয়েক শত শিক্ষার্থীর। তারপর সবাই মিলে সবজির রোল ও মেরিন্ডা খেলাম। তারপর আস্তে আস্তে বাড়ির রাস্তা ধরলাম। আসার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে অমর একুশ ভাষ্কর্যের একটা ছবি তুলে নিলাম। আর হয়তো কোনোদিন আসা হবে না তাই স্মৃতি হিসাবে মেইন গেটের সাথে একটা সেলফি তুললাম। তারপর বাসে চড়ে বাড়ি ফিরে আসলাম।
Device | Samsung Galaxy A13 |
Location | Jahangirnagar University |
Photographer | @saikat01 |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Vote for @bangla.witness
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা চলে তাই সুযোগ পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়। এর আগে আমি ইস্পি দেওয়া সরবতের কথা শুনিনাই নাই। ছবি গুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/saikat01718/status/1671487080684466176?t=S0z0kpuqzigU1uRQNWzqZA&s=19
করি আপনার ভর্তি পরীক্ষাটি ভালো হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অত্যন্ত সুন্দর। ঢাকায় যারা ঘুরতে যায় তারা একবার হলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি ঘুরে আসেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকা শহর থেকে বাইরে এই ক্যাম্পাস।
জাহাঙ্গীর নগর ক্যাম্পাসের লোকেশন কে না জানে!
দুঃখিত আপু। আসলে অনেকে যানে না তো তাই বললাম। কিছু মনে করবেন না।
দোয়া করি তুই যেন এবার চান্স পাইস।আর অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিস।আর অনেক জায়গায় ঘুরেছিস।দেখা হলে ভালো হতো।
চান্স হয় নাই🙂
আপনার পরীক্ষা কেমন হয়েছিল? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। এখানে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন আমাদের অনেকের। ছবিগুলো সুন্দর তুলেছেন।
পরীক্ষা তো ভালো দিয়েছিলাম কিন্তু চান্স হয় নি। ধন্যবাদ ভাই।
পরীক্ষা কেমন হলো ভাইয়া??আমি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম কিন্তু হয়নি।আপনার তোলা প্রতিটি ছবিই দারুণ হয়েছে। আপনার জন্য দোয়া রইল ভাইয়া
রেজাল্ট হয়ে গেছে আপু। চান্স হয় নি।
সব ভার্সিটিতেই পরীক্ষা শেষ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু। সব শেষ। এখন শুধু বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কৃষি গুচ্ছের পরীক্ষা বাকি আছে।
পরীক্ষা কেমন হয়েছে ভাই? জাহাঙ্গীরনগর চান্স পাওয়াটা একটা ভাগ্যের ব্যাপার।আমার এক চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরনগর ভার্সিটির স্টুডেন্ট। সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই। রেজাল্ট দিয়েছে চান্স হয় নি।
পরীক্ষা কেমন দিলেন।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া আসলেই ভাগ্য ব্যাপার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি।
রেজাল্ট দিয়েছে চান্স হয় নি।
আসলে তোর ভাগ্যটাই খারাপ। যাইহোক শুভকামনা রইলো তোর জন্য। পাঠা গুলোর সাথে তো ভালোই মজা করেছিস তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
তোমার এই বন্ধুটা কি চান্স পাইছে কি পায় নাই।
ওনি তোমার শ্রদ্ধেয় বড়ভাই শফিকুল ইসলামের শ্বশুর।