ছোটবেলার ঘুড়ি উড়ানোর স্মৃতি
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক।
ছোটবেলায় ঘুড়ি উড়ানীর স্মৃতি কমবেশী সবারই আছে। আমিও ঘুড়ি উড়িয়েছি। আমি ছোটবেলায় আমাদের বাড়ির পাশের ইট ভাটা থেকে পলিথিন এর কাগজ কেটে নিয়ে আসতাম। তারপর সেটা দিয়ে আমার জেঠাতো ভাই আমাকে ঘুড়ি বানিয়ে দিতো। সেই ঘুড়ি আমি উড়াতাম। এইভাবে প্রতিবছর ঘুড়ি বানিয়ে উড়াতাম। বেশীরভাগ সময়ই পাড়ার ছেলেরা সবাই একসাথে ঘুড়ি উড়াতাম। কার ঘুড়ি বেশী উপরে উঠে এই নিয়ে আমাদের প্রতিযোগিতা হতো। আওবসময় শাকিলের ঘুড়িই বেশী উপরে উঠতো। তারপর আস্তে আস্তে বাজারে বিভিন্ন রকমের ঘুড়ি উঠতে লাগলো। আমার চাচাতো ভাই একটি ঘুড়ি কিনেছিলো বাড়ির মতো। কতো টাকা দিয়ে কিনেছিলো মনে নেই। সে যখন ঘুড়িটা বের করতো তখন পাড়ার সব ছোট ছেলেরা ওর পিছনে পিছনে ঘুরতো।
গত পরশুদিন আমি আমার বন্ধুদের সাথে একটি কাজে দিনাজপুর গিয়েছিলাম। দিনাজপুর থেকে বাড়ি ফেরার আওময় স্টেশনে গিয়ে যখন ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম তখন একটু হাটাহাটি করতেই দেখি যে দুইটা ছোট বাচ্চা ও দুইজন লোক ঘুড়ি উড়াচ্ছেন। আর অনেকগুলো লোক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাদের ঘুড়ি উড়ানো দেখতেছে। সেটা দেখে আমরাও তাদের দিকে গেলাম। গিয়ে ঘুড়ি উড়ানো দেখলাম। ছোটো ছেলেদুটো ভীষণ মজা পাচ্ছিলো। আর লোকদুটো বাচ্চাদুটোকে ঘুড়ি উড়াতে সাহায্য করছিলো। তারা হয়তো বাচ্চা দুটোর চাচা বা মামা হতে পারে। তাদের ঘুড়ি উড়ানো দেখে তৎক্ষনাৎ আমারও ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। সেখানে দাঁড়িয়ে তাদের কয়েকটা ছবি তুললাম। ঘুড়িটা অনেক উপরে ছিলো বলে ছবি তোলার পর আকাশে ঘুড়িটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিলো না।
হলুদ গেঞ্জি পড়া ছেলেটা বেশ ভালোভাবেই ঘুড়ি উড়াচ্ছিলো। ওর ঘুড়িটা বেশী উপরে উঠেছিলো। লাল শার্ট পড়া ছেলেটার ঘুড়ি একবার মাটিতে পড়ে গেছিলো। তারপর ছেলেটার আঙ্কেল আবারো ঘুড়িটি উপরে তুলে দিলো। তাদের ঘুড়ি উড়ানো দেখতে অনেক মানুষই তাদের কাছে চলে আসলো। আস্তে আস্তে যায়গাটায় একটু ভীড় লেগে গেলো। ছোটবেলার এমন অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো আমাদের অন্তরে মিশে আছে। যেগুলো দেখলেই আজও আমাদের অতীতের সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। এই ঘুড়ি উড়ানোর স্মৃতি কখনো ভুলবার নয়। আজকালকার বাচ্চারা ঘুড়ি উড়ায় না এরা ড্রোন উড়ায়।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩ |
---|---|
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
ছোটবেলায় ঘুড়ি উড়ানোর স্মৃতি নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। আগেকার সময়ে দেখা যেত এই ঘুড়ি উড়ানো। ঘুড়ি উড়ানো বেশ ভাল লাগতো। ছোটবেলায় এই ঘুড়ি উড়ানো নিয়ে প্রতিযোগিতা করতাম কে বেশি ঘুরি উড়াতে পারে। ঘুড়িউড়ানো নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপু
https://twitter.com/saikat01718/status/1678794685882712064?t=vlifp5asv0Fmk_p8kmD_wA&s=19
ঘুড়ি উড়ানোর দৃশ্য আর এখন তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। আগেকার দিনে রাস্তার ধারে আমি নিজেও ঘুড়ি উড়ে বেড়াতাম কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা এখন আর ঘুড়ি উড়ায় না তারা বেশিরভাগ সময় মোবাইলে ফ্রী ফায়ার গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে অনেক স্মৃতিময় একটি পোস্ট করেছেন ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
ছোটবেলায় অনেক ঘুড়ি উড়াতাম। নিজেই বানিয়ে ফেললাম ঘুড়ি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সোনালী দিনগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
এমন কোনও ব্যক্তি নাই যে সে ঘুড়ি উড়ায় নাই। আমরা সকলেই কম বেশি এই ঘুড়ি বাজার থেকে ক্রয় করে মাঠে উড়িয়ে বেড়াতাম। তবে এই সময় ঘুড়ি মানুষ খুবই কম ক্রয় করে থাকে।
হ্যাঁ ভাই। এখন তেমন কেউ ঘুড়ি উড়ায়ও না কেনেও না।
এটা সম্ভবত দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনে। আমি বেশ কয়েকদিন আগে এই লোকটি ও ছোট বাচ্চাদেরকে দেখেছিলাম বড় মাঠে ঘুড়ি ওড়াতে। দারুন লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
যতই ঘুড়ি উড়াও রাতে,,, লাটাই তো আমার হাতে। ভাই আমি আগে প্রচুর পরিমাণে ঘুড়ি উড়াইতাম। ঘুড়ির পিছনে আমার অনেক ইতিহাস রয়েছে যা কখনো ভোলার মতো নয়। আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আমি এখনই ঘুড়ি বানাই। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
গ্রামে বাচ্চারা বিশেষ করে ছেলে বাচ্চারা নিজে নিজে ঘুড়ি বানিয়ে উড়ায়। যখন বাতাস বয় তখন ঘুড়ি দিয়ে দৌড় দেয় বাহিরে। করোনাকালীন সময়ে আমরাও ঘরে ঘুরি বানিয়ে ছাদে গিয়ে উড়িয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।