আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক। |
আজ থেকে এক যুগ বা তারও বেশী সময় আগে কবুতর রাখার জন্য বাশ দিয়ে কবুতরের খোপ বানানো হতো। আমার বাবার কবুতর লাগানোর খুব ইচ্ছা ছিলো। তাই ২০১৫ সালে তিনি কবুতর লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। কবুতর রাখার জন্য তাদের আবাসনের দরকার। তাই কবুতর কেনার আগে কবুতরের খোপ বানাতে বা কিনতে হবে। আমাদের গ্রামের এক বৃদ্ধ লোক সম্পর্কে আমার দাদা হয়। তিনি বাঁশ দিয়ে কবুতরের খোপ বানানোর পরামর্শ দিলেন। কবুতরের খোপটা তিনি নিজেই বানিয়ে দিতে চাইলেন। আমার বাবা ওই দাদাকেই কাজটা দিলো। দাদ দুইদিনের মধ্যেই কবুতরের খোপটি বানিয়ে দিলো। তারপর আমার বাবা পুরাতন বাজারে গিয়ে প্রথমে ১০ টি কবুতর কিনে আনলেন।
কবুতরগুলোর জন্য সরিষা, খুদি ও ফিড কিনে আনলেন। কয়েকদিন পর যখন দেখলেন যে কবুতরগুলো কোথাও পালিয়ে যাচ্ছে না তখন আরো ১০ টি কবুতর কিনে আনলেন। তারপর থেকে আস্তে আস্তে আমাদের অনেকগুলো কবুতর হয়ে গেলো। উপরের ছবিগুলোতে যে কবুতরের খোপটি দেখা যাচ্ছে সেটার বয়স ৭-৮ বছর। এতো বছরের পুরনো বাঁশের তৈরি কবুতরের খোপ এখনো নষ্ট হয় নি বা ভেঙে যায় নি। অবশ্য কয়েকবার ঘূর্ণিঝড়ে কবুতরের খোপটা বেকে গেছিলো পরে অবশ্য খুটি দিয়ে সেটাকে আটকানো হয়েছে। আমাদের বাড়িতে এখন মোট কয়টি কবুতর আছে সেটা আমার জানা নেই। তবে বাড়িতে মেহমান আসলে মাঝে মাঝে কবুতরের মাংস রান্না করে।
|
বাঁশের তৈরি কবুতরের খোপ এখন আর দেখা যায় না। এখন মানুষ কাঠ, লোহা ইত্যাদি দিয়ে কবুতরের খোপ বানায়। বাঁশের তৈরি জিনিস আগে খুব ব্যবহার হতো। কিন্তু দিনে দিনে এর ব্যবহার কমে আসছে। আমাদের বাড়িতে বিড়ালও থাকে। তবে তারা কবুতরের কোনো ক্ষতি করে না। আমার আব্বু যখন খেতে বসে তখন কবুতরগুলো খাবার চায় তখন আমার আব্বু তাদেরকে ভাত ছিটিয়ে দেয়। বিড়াল ও কবুতর তখন একসাথে সেগুলো খায়। বৃষ্টির সময় কবুতরগুলো চুপ করে খোপের মধ্যে বসে থাকে। আর মাঝে মাঝে বিড়াল কবুতরের খোপের উপর উঠে থাকে কিন্তু কবুতরের কোনো ক্ষতি করে না। বাঁশের তৈরি জিনিস আমাদের ঐতিহ্যকে বহন করে। এগুলোকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩ |
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | জমির হাট, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। |
গ্রামীণ এলাকায় এই কবুতরের খোপ গুলো দেখা যায় সব থেকে বেশি। কবুতর রাখার জন্য এই খোব গুলো অনেক বিখ্যাত। কবুতর খুব সহজেই এতে বাস করতে পারে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Tweeter link : https://twitter.com/saikat01718/status/1676594705079975944?t=L1Am-bqnBy-ubtzM_nErnQ&s=19
বাঁশের তৈরি কবুতরের খোপ নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। এসব খোপ সাধারণত বাঁশ ও কাঠ দিয়েই তৈরি করা হয়। আমাদের বাসায় ও আমরা আগে কবুতের খোপ ছিল।কিন্তু কবুতর না থাকায় এখন এই খোপটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
বাঁশ দিয়ে কবুতরের খোপ এখন খুব কমই দেখ যায়। এখন সবাই কাঠ দিয়েই অল্প পরিশ্রমে কবুতরের খোপ বানায়। আমাদের পাশের বাড়িতেও কাঠের তৈরি কবুতরের খোপ আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম ও শহরের প্রায় সব জায়গায় কবিতর পালন করার জন্য এরকম খোপ বানানো হয় বাঁশ দিয়ে। খোপের উপরে কবিতর অনেক ভালোবাসে থাকতে পারে। সবথেকে ভালো কথা সেখানে বিড়ালের অত্যাচার থাকে না তাই সহজেই কবিতর পালন করা যায়।
বাঁশের তৈরি কবুতরের খোপ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আমার বাসায় একটা কবুতরের খোপ আছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছে। ধন্যবাদ।
বাঁশের তৈরি কবুতরের খোপ নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আমিও কবুতর লাগাইছিলাম কিন্তু আমি অনেক পাপী তাই আমার ওখানে টিকে নাই উড়ে চলে গেছে। আর আপনাদের কবুতর বিড়ালের মিল দেখে বেশ ভালই লাগলো। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
বাঁশের তৈরি কবুতরের খোপ গুলো গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়। কবুতরের খোপ গুলো কাঠের তৈরি ও আছে। তবে অনেকেই বাঁশের তৈরি খোপ গুলো দেখা যায়।কবুতর রাখার খোপ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
বাঁশের তৈরি কবুতরের খোপ নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।আমাদের এইদিকে কাঠের তৈরি কবুতরের খোপ রয়েছে।কিন্তু বাঁশের তৈরি খোপ দেখি নাই।আপনি দারুণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।