আসসালামু আলাইকুম
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি নিয়ে। তো চলুন শুরু করা যাক। |
আজকাল মাটির বাড়ি খুব একটা দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো সেই মাটির বাড়িগুলো। এখন সবাই দালানের বাড়ি বানাচ্ছে। মাটির বাড়ির দেখা মিলবে গ্রাম বাংলায়। হাতে গনা গুটি কয়েকটি বাড়ির দেখা মিলবে যেগুলো আমাদের ঐতিহ্যকে বহন করে। আগে মানুষের বসবাসের জন্য মাটির বাড়িই বেশী দেখা যেতো দালানের বাড়ি খুবই কম ছিলো। কিন্তু এখন ঠিক তার বিপরীত দেখা যায়।
মাটির এই বাড়িগুলো বানানো হয় এঁটেল মাটি অথবা এঁটেল ও দোয়াশের সংমিশ্রণে। আমার সাধারণত মাটির বাড়ির ঘরগুলো গরমের সময় ঠান্ডা থাকে যার ফলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।
আমাদের গ্রামেও খুব বেশী একটা মাটির বাড়ি নেই। হাতে গনা ৮-১০ টা মাত্র মাটির বাড়ি আছে। তার মধ্যে আমাদের একটা। আমরা এখনো সেই আমার দাদার আমলের তৈরি মাটির বাড়িতে বসবাস করি। আমার বাবারা মোট ৫ ভাই। তার মধ্যে সবারই দালানের বাড়ি শুধুমাত্র আমাদেরই মাটির বাড়ি। এই তীব্র গরমে যখন কারেন্ট থাকে না আমার চাচাদের বাড়ির রুমের তুলনায় আমাদের বাড়ির রুমগুলো বেশী ঠান্ডা থাকে। এই বাড়ির সাথে আমার দাদা-দাদির স্মৃতি জড়িয়ে আছে। মাটির বাড়িতে থাকতে একটা আলাদা শান্তি মিলে।
বর্তমান সময়ে মাটির বাড়ি যেমন হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। আগে ধনী-গরিব সবারই মাটির বাড়ি ছিলো। কালের ক্রমে আজ মাটির বাড়িগুলো বিলুপ্তপ্রায়।
পুরনো এই মাটির বাড়িগুলো ঠিক যেমন আমাদের ঐতিহ্যকে বহন করে ঠিক তেমনি বর্ষার সময় এই মাটির বাড়িগুলো খুবই বিপদজনক। কারন বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে মাটির দেয়াল ধসে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। গত বছর আমাদের পাশের এলাকায় ফকির বাজার কয়েল পাড়ার এক ব্যাক্তি মাটির দেয়াল ধসে পড়ে মারা গেছেন যা খুবই দুঃখজনক। এটা আমাদের ঐতিহ্য, এটাকে ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। তবে বর্ষার সময় মাটির দেয়ালে যাতে পানি না পড়ে সেই হিসাবে ছাউনি দিতে হবে।
Device | Samsung Galaxy A13 |
Plus code | MXF6+8H |
Photographer | @saikat01 |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। |
ধন্যবাদ সবাইকে💙
Vote for @bangla.witness
এই মাটির বাড়ি উত্তর অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। আমাদের এলাকায় মাটির বাড়ি এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না।মাটির বাড়ি নিয়ে অনেক ভালো লিখেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই। আমার বাড়ি উত্তরাঞ্চলেই।
https://twitter.com/saikat01718/status/1669746363880579076?t=EXZMJqYG6Dp5gOYXWn3Ftg&s=19
ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি নিয়ে সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই, মাটির বাড়িকে গরিবের এসি ঘর বলা হয়। সুন্দর লিখছেন, নিম্নবিত্ত মানুষের ঘর এই মাটির ঘর, যে ঘরে রয়েছে অনেক শান্তি। সুন্দর পোস্ট করছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন বদ্দা।
থাংকু
বর্তমানে আমাদের দেশে মাটির বাড়ি খুবই কম দেখা যায় ৷ কেননা সবাই এখন ফ্ল্যাট বাসা তৈরি করছে ৷ তবে মাটির বাড়িতে অনেক শান্তিতে ঘুমানো যায় ৷ মাটির বাড়ি গরমের সময় ঠান্ডা থাকে ৷ আর বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ লোডশেডিং হচ্ছে তাতে ফ্ল্যাট বাসা বা অন্য কোন ঘরে থাকা খুবই কষ্টকর ৷ মাটির বাড়ি সম্পর্কে খুবই সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ৷
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বাড়ি শুধু মাত্র গ্রাম- অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। আগের যুগে মাটির তৈরি বাড়িঘরের প্রচলন ছিল বেশি।কিন্তু বর্তমানে মাটির বাড়ি বিলুপ্তর পথে।এখন মানুষেরা ইটের তৈরি বাড়ি ব্যবহার করে থাকেন।
হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন।
মাটির বাড়ি নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। আগে গ্রামের বেশি ভাগ বাড়িই তৈরি হতো মাটি দিয়ে। কিন্তু বর্তমানে ইটের তৈরি বাড়িই বেশি।আমাদের গ্রামে এখনো দুটি মাটির তৈরি বাড়ি রয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া মাটির তৈরি বাড়ি নিয়ে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু
মাটির বাড়ি নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। মাটির বাড়ির ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমরাও আগে মাটির বাড়িতে থাকতাম। মাটির বাড়িতে শীতকালে গরম ও গরমকালে ঠান্ডা অনুভূত হয়। মাটির বাড়িতে অনেক আরাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে আমাদের গ্রাম গুলোতেও। তাই আজকে হারিয়ে গিয়েছে গ্রামের মাটির বানানো বাড়ি গুলো। বর্তমানে সকল বাড়ি ইট দিয়ে বানানো হয়েছে। গ্রামে একবারে নিম্ন মধ্যবিত্ত ছাড়া মাটির বাড়ি দেখতে পাওয়া যায় না।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বলছেন।
ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বাড়ি নিয়ে সুন্দর আলোচনা করছেন ভাই। আগের যুগে মাটির তৈরি প্রচুর ছিল। বর্তমান মাটির তৈরি বাড়ি এখন দেখা যায় না। আপনি দারুণ ফটোগ্রাফি করছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই